পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট ঔষধ সিরাপ ঘরোয়া উপায় জানুন
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম জানতে ক্লিক করুনপায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেটগুলো আমাদের জীবনকে স্বস্তি প্রদান করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যখন কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাচনতন্ত্রের সমস্যায় ভুগি। আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপের কারণে অনেকেই এ সমস্যার সম্মুখীন হন। এই ট্যাবলেটগুলো ল্যাক্সেটিভ উপাদানে সমৃদ্ধ, যা অন্ত্রের কার্যক্রমকে সক্রিয় করে এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণে সহায়তা করে।
তবে, সঠিক ব্যবহারের জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পাশাপাশি এই ট্যাবলেটগুলি আমাদের স্বস্তি ও সুস্থতার পথ প্রদর্শক হতে পারে। এছাড়াও আমাদের পুরো আর্টিকেলে ট্যাবলেটের পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ঘরোয়া উপায় বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম নিয়ে পুরো আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।
পেজ সূচিপত্রঃ পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম
পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম
পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম না জানলেই নয়। কারণ আমাদের মাঝে মধ্যেই এই সমস্যায় পড়তে হয় যা আমাদের কাছে অস্বস্তি লাগে। পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য ফার্মেসিতে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট রয়েছে যে ট্যাবলেটগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনার পায়খানা খুব সহজেই ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
কিন্তু আজকে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব যে ট্যাবলেট গুলো অনেক জনপ্রিয় এবং পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পায়খানা ক্লিয়ার করার জনপ্রিয় ট্যাবলেটের নাম সম্পর্কে।
- ল্যাকটুলোজ ট্যাবলেট
- সোডিয়াম পিকোসুলফেট ট্যাবলেট
- ডুলকোলাক্স
- সেনা ট্যাবলেট
- সেনা ট্যাবলেট
- ইসবগুলের ভুসি ট্যাবলেট
- গ্লিসাপ
আপনার পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য উপরে দেওয়া ৭ টি ঔষধের মধ্যে যেকোনো একটি ঔষধ সেবন করতে পারেন। এই ট্যাবলেট গুলো আপনার পায়খানা নরম করতে সাহায্য করবে। আবার মলের আয়তন বাড়ায় ও মলকে নরম করতে সাহায্য করে। এই ট্যাবলেট গুলো দিনে কত বার খাবেন।
খাওয়ার আগে খাবেন নাকি খাওয়ার পরে খাবেন কত দিন খাবেন এর মধ্যে আপনার জন্য কোন ট্যাবলেট ভালো হবে এই সমস্ত কার্যকরী বিষয়গুলো একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তারপরে খাওয়া শুরু করবেন। কারণ একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার খুব সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার শরীরের জন্য কোন ট্যাবলেটটি সব থেকে ভালো হবে।
আচ্ছা আপনি কি জানেন কোষ্ঠকাঠিন্য কি কারণে হয় যদি না জানেন তাহলে চলুন জেনে নেই।
১। অধিক পরিমাণে ফাস্টফুড খাওয়ার জন্য
২। পরিমাণ মতো পানি পান না করা
৩। পর্যাপ্ত ফাইবার বা আঁশ যুক্ত খাবার না খাওয়া
৪। শুয়ে বসে থাকা মানে অলস জীবন যাপন করা
৫। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে
৬। অধিক সময় গাড়িতে চার্নি করা
৭।অতিরিক্ত ঔষধ সেবন করা
৮। ডায়াবেটিস, নার্ভের অসুখ, আইবিএস সহ অন্যান্য কিছু রোগের এলোপ্যাথি ওষুধ সেবন করা ইত্যাদি।
পায়খানা ক্লিয়ার করার হোমিও ঔষধ
আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ রয়েছে যারা মাঝে মধ্যেই কোষ্ঠকাঠিন্যের মত রোগে ভুগে থাকেন। ডা. শামিম হোসেন বলেন কোষ্ঠকাঠিন্য শুধু শক্ত পায়খানাকে বুঝায় না বরঞ্চ আপনার যদি নরম পায়খানা বের হতে কষ্ট হয় তাহলে সেটিও কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্তর্ভুক্ত হবে।তাই আমরা অনেকেই পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য
বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করে থাকি যা আমাদের শরীরের জন্য খারাপ হতে পারে। কারণ ঔষধে প্রচুর পরিমাণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়। কিন্তু ডক্টর শামীম হোসেন একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন যে পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কি
কারণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তাই আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ঔষধ সেবন করতে পারেন তাহলে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই পায়খানা ক্লিয়ার করতে পারবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ থেকে বেঁচে থাকার জন্য উপরে যে ৮টি কারণের কথা বলা হয়েছে তা যদি আপনার ভেতর থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব বেরিয়ে আসুন। যদি বেরিয়ে আসতে পারেন তাহলে দেখবেন কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ আপনাকে আক্রমণ করতে পারবে না। এখন চলুন ডক্টর শামীম হোসেন এর পরামর্শ অনুযায়ী কিছু জনপ্রিয় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করি।
এই ঔষধ গুলো সেবন করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পায়খানা ক্লিয়ার হয়ে যাবে তাও আবার একদিনের মধ্যেই। তাহলে চলুন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- Opium
- Mag mur
- Alumina
- Lycopodium
- Syphilinum Hydrastis
- Silica
- Cascara sag
- Nux vomica
- colocynth
- Chelid maj
- Merc so
- Ipecac
ডঃ মুহাম্মদ শামীম হোসেনের পরামর্শ অনুযায়ী জনপ্রিয় 12 টি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি যে ঔষধ গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি অথবা দুইটি ঔষধ যেকোন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া শুরু করতে পারেন। যদি এখান থেকে যেকোনো একটি ঔষধ খেতে পারেন তাহলে দেখবেন একদিনের মধ্যে পায়খানা ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
পায়খানা ক্লিয়ার করার ঘরোয়া উপায়
পায়খানা ক্লিয়ার করার ঘরোয়া উপায় জেনে খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে মুক্তি পেতে পারেন। ডা. তাসনিম জারা বলেন খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার বা আঁশ না থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। তাই আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার খাবার তালিকায় ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ তলপেটে টিউমারের লক্ষণ
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার বা আঁশ রয়েছে।যা নিচে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করব। আশা করা যায় এই খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনার পায়খানা ক্লিয়ার করতে সাহায্য করবে।
- পান-পাতাঃ আপনি চাইলে যে কোন খাবার খাওয়ার পরে শুধু পান পাতা চিবাতে পারেন।কারণ খাওয়ার পরে পান খেলে গ্যাস ও পেট ফাঁপা সমস্যা থেকে পাওয়া যায়। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা ক্লিয়ার রাখতে সাহায্য করে।
- পেয়ারাঃ পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের অনেকেরই জানা। এছাড়াও পেয়ারায় রয়েছে ল্যাক্সেটিভ যা মল নিঃসরণ করতে সহায়তা করে। আবার পুষ্টিবিদরা বলেন টাটকা পেয়ারা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- লাউপাতাঃ লাউ পাতায় প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্সেটিভ রয়েছে যা আমাদের পায়খানা ক্লিয়ার রাখতে সহায়তা করে। তাই আপনার দৈনিক খাবার তালিকায় লাউ পাতা ভাজি করে কিংবা চাটনি তৈরি করে খেতে পারেন।
- খেজুরঃ নিয়মিত সকালবেলা খেজুর খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি নিয়মিত সকালবেলা খেজুর খেতে পারেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন এবং পায়খানা ক্লিয়ার থাকবে।
- ডালঃ পুষ্টিবিদরা বলেন সপ্তাহে দুই তিন দিন ডাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।তাই আপনি যদি পায়খানা ক্লিয়ার রাখতে চান তাহলে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ডাল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আবার আপনি চাইলে বিভিন্ন ফলমূল খাওয়ার মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার বা আঁশ পেতে পারেন। সেই খাবার বা ফল গুলোর মধ্যে রয়েছে গাজর, মটর, আপেল, চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, ওটস, নাশপাতি, ডাল, ছোলা, কমলা ইত্যাদি ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে যা পায়খানা ক্লিয়ার করতে সাহায্য করে। এই খাবারগুলো খাওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম বা হাটা চলাচল করতে হবে।
পায়খানা ক্লিয়ার করার সিরাপের নাম
পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের সিরাপ পাওয়া যায় কিন্তু সব সিরাপ সবার জন্য ভালো নয়। তাই পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য আপনার শরীরের জন্য কোন সিরাপটি সবচাইতে ভালো হবে সেটি নির্ধারণ করতে পারবেন একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার। তাই এ ধরনের ঔষধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা ক্লিয়ার রাখার জন্য নিচে কয়েকটি সিরাপের নাম তুলে ধরার চেষ্টা করব এবং ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করব।
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা ক্লিয়ার করার সিরাপের নাম এ্যাভোলাকঃ এই সিরাপে উপস্থিতি রয়েছে ল্যাক্টুলোজ যা এক ধরনের জোলাপ। এই জোলাপ আমাদের দেহের বিতর প্রবেশ করে পানি উৎপন্ন করতে সহায়তা করে। যার কারণে পায়খানা আগের তুলনায় অনেক নরম হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে পায়খানা ক্লিয়ার হওয়া শুরু করে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা ক্লিয়ার রাখার জন্য এ্যাভোলাক সেবন করতে পারেন।
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা ক্লিয়ার করার সিরাপের নাম ল্যাকটুলোজঃ এটি একটি সাধারণ ওষুধ যা কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি অন্ত্রে জল শোষণ করে মলকে নরম করে এবং মলত্যাগ সহজ করে। তাই পায়খানা ক্লিয়ার রাখার জন্য ল্যাকটুলোজ ব্যবহার করতে পারেন।
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা ক্লিয়ার করার সিরাপের নাম ক্রেমাফিন প্লাস সিরাপঃ ক্রেমাফিন প্লাস সিরাপে রয়েছে লিকুইড প্যারাফিন যা আমাদের পায়খানা ক্লিয়ার রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে এই সিরাপটি পায়খানা ক্লিয়ার রাখার জন্য সব থেকে বেশি ব্যবহার করতে দেখা যায়। তাই আপনিও চাইলে ব্যবহার করতে পারেন।
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা ক্লিয়ার করার সিরাপের নাম বিসাকোডিলঃ বিসাকোডিল একটি শক্তিশালী ল্যাক্সেটিভ যা অপারেশনের আগে বা মলত্যাগে সমস্যা হলে ব্যবহৃত হয়।চিকিৎসকেরা বলেন যাদের ঘন ঘন কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তারা চাইলে এই সিরাপটি সেবন করতে পারেন। কারণ এই সিরাপটি সেবন করার মাধ্যমে পায়খানা ক্লিয়ার রাখা সম্ভব।
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা ক্লিয়ার করার সিরাপের নাম মিল্ক অব ম্যাগনেশিয়াঃ এই সিরাপটি তৈরি করা হয় দুধের সাহায্যে যা আপনারা নাম শুনেই বুঝতে পারছেন। এই সিরাপটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের জন্য ব্যাপক ব্যবহার করা হয়। কারণ এই সিরাপটি সেবন করার মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে পায়খানা ক্লিয়ার করতে সহায়তা করে।
আপনি চাইলে আপনার নিকটস্থ কোনো ফার্মেসিতে গিয়ে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে এখান থেকে যেকোনো একটি সিরাপ আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। কারণ আপনি যদি পায়খানা ক্লিয়ার রাখতে না পারেন তাহলে আপনার শরীর আস্তে আস্তে নষ্ট হওয়া শুরু করবে।
আরো পড়ুনঃ পেটে টিউমার অপারেশন খরচ
তাই এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এখান থেকে যেকোনো একটি সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন আপনার সুস্থতার জন্য।
পায়খানা ক্লিয়ার করার ব্যায়াম
পায়খানা ক্লিয়ার করার ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে চাইলে ধারাবাহিকভাবে আর্টিকেলটি পড়া শুরু করুন। প্রতিদিন সঠিক সময়ে পায়খানা হওয়া খুবই জরুরী। কারণ আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা তিন দিন চার দিন পর পর পায়খানা করে। আবার অনেকে রয়েছেন যাদের প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার পায়খানা হয়।
তাই পুষ্টিবিদরা বলেন অতিরিক্ত পায়খানা হওয়া কিংবা ঠিক সময় পায়খানা না হওয়া এটি একটি খারাপ লক্ষণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।আমাদের ঠিকমতো পায়খানা না হওয়ার বিভিন্ন কারণ হতে পারে। যেমন ঠিকমতো না ঘুমানো, খাবারে অতিরিক্ত তেল বা মসলা ব্যবহার করা, অসময়ে খাবার খাওয়া,
আরো পড়ুনঃ sentix এর কাজ কি
ঠিক সময়ে না ঘুমানো ইত্যাদি সমস্যার কারণে আমাদের অনেক সময় পায়খানা ক্লিয়ার হয় না। তাই আপনি যদি পায়খানা ক্লিয়ার রাখতে চান তাহলে এই সমস্ত অভ্যাসগুলো এড়িয়ে চলুন। আর আমি আপনাদের কয়েকটি ব্যায়ামের কথা বলব যে ব্যায়ামগুলো করলে সহজেই
পায়খানা ক্লিয়ার রাখা সম্ভব হবে।পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য কিছু কার্যকর ব্যায়াম আছে যা আপনার পাচনতন্ত্রকে সচল রাখতে সহায়ক হতে পারে। নিচে কয়েকটি ব্যায়ামের কথা উল্লেখ করা হলঃ
কাট্টাচাক্রাসন (কাঠের চাকতিঃ পিঠে শুয়ে কোমরকে বাঁকিয়ে বাম এবং ডান দিকে ঝুঁকুন। এটি পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় করে।
বলাসনঃ এই ব্যায়ামটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। পুষ্টিবিদদের মতে এই ব্যায়ামটি নিয়মিত করতে পারলে পেটের নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি পায়খানা ক্লিয়ার রাখতে চান তাহলে এই ব্যায়ামটি নিয়মিত দুই থেকে তিন মিনিট করতে পারেন।
সাইকেল ক্রাঞ্চঃ শুয়ে পড়ে পা ও হাতের অবস্থান পরিবর্তন করুন, যেন সাইকেল চালাচ্ছেন।
পায়ে হাঁটাঃ প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন, এটি পাচনক্রিয়া উন্নত করে।
মলাসনঃ পায়খানা পরিষ্কার করার জন্য এই ব্যায়ামটি অত্যন্ত কার্যকারী এবং উপকারী।নিয়মিত এই ব্যায়ামটি করলে পায়খানা ক্লিয়ার হওয়ার পাশাপাশি পেট পরিষ্কার করতে সহায়তা করবে।
বর্জ্রাসনঃ এই ব্যায়ামটা নিয়মিত করলে পায়খানা ক্লিয়ারের পাশা পাশি পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে নিয়মিত এই ব্যায়ামটি করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। মনে রাখবেন এই ব্যায়ামটি করার সময় 10 থেকে 15 মিনিট যাবত এই ব্যায়ামটি করতে হবে। আপনি যদি এই ব্যায়ামটি নিয়মিত করতে পারেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবেন।
আপনাদের সুবিধার্থে এখানে টোটাল আটটি ব্যায়ামের কথা বলা হয়েছে। আপনি যদি এখান থেকে যেকোনো একটি ব্যায়াম নিয়মিত করতে পারেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না। কারণ এই কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্যই আমাদের পেটে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনি যদি পায়খানা ক্লিয়ার রাখতে চান তাহলে এই ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করতে পারেন।
রাতে কি খেলে পেট পরিষ্কার হয়
আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে প্রথম শর্ত হল পেট পরিষ্কার রাখা। কারণ আপনার যদি হজমে সমস্যা থাকে এবং বর্জ্য সঠিক প্রক্রিয়ায় বের করতে না পারেন তাহলে আপনার শরীরে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হবে। তাই নিজেকে সুস্বাস্থ্য রাখার জন্য রাতের বেলায় কি কি খাবার গ্রহণ করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
রাতের খাবার আমাদের পেটের স্বাস্থ্য ও হজম প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সঠিক খাবার নির্বাচন করলে এটি পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করতে পারে। রাতে কি খাবার খাবেন তা নিয়ে কিছু টিপস নিচে উল্লেখ করা হল।
আরো পড়ুনঃ রিবোফ্লাভিন এর অভাবে কি হয়
রাতে ঘুমানোর আগে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। শাকসবজি, ফল এবং শস্য পণ্যগুলি ফাইবারের ভালো উৎস হতে পারে। যেমনঃ পালং শাক, গাজর, টমেটো, চিনাবাদাম, কাঠবাদাম এবং কলা। আমরা কম বেশি সবাই জানি ফাইবার পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে পাশা পাশি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
প্রোবায়োটিক খাবার যেমন দই, আচার এবং কেফির অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এই ধরনের খাবার অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সহায়তা করে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
পেট পরিষ্কার রাখার জন্য ফাইবার যুক্ত বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়া যেতে পারে। যেমন কমলা, নাশপাতি, আপেল, কলা, খেজুর, পেয়ারা ইত্যাদি। আপনি যদি নিয়মিত এই ফলগুলো পরিমাণ মতো খেতে পারেন তাহলে দেখবেন মলত্যাগের সময় আর কোন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে না।
২ থেকে ২.৫ লিটার জল পান করতে হবে প্রতিদিন। রাতে খাবারের পরে পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজম প্রক্রিয়া মসৃণ হয় এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। জল শরীরে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে, যা রাতের খাবারের পরে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা।
হালকা ও স্বাস্থ্যকর প্রোটিন খাওয়া খুবই জরুরী যেমন মুরগির মাংস, মাছ বা ডাল আপনার খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি হজমকে সহজ করে এবং পেটের সমস্যার সম্ভাবনা অনেক অংশে কমিয়ে আনে।
চিকিৎসকের মতে হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য মশলা দুর্দান্ত কাজ করে। যেমন আদা, হলুদ, এবং জিরা যুক্ত খাবারও হজমে সহায়তা করে। এগুলি পেটের অস্বস্তি কমাতে এবং হজম ক্রিয়াকে উন্নত করতে পারে।
সবশেষে, রাতের খাবারের সময় অতিরিক্ত তৈলাক্ত, মিষ্টি বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা কারণ এগুলি পেটের সমস্যা বাড়াতে পারে।
সুতরাং, বুঝতেই পারছেন সঠিক খাবার নির্বাচন করলে রাতের খাবার পেট পরিষ্কার রাখতে এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক হতে পারে। এটি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেট পরিষ্কার রাখতে চান তাহলে নিয়মিত এই খাবারগুলো খেতে পারেন।
পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম শেষ কথা
আশা করি আপনারা ইতিমধ্যে পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেটের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করেছেন যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন।কারণ আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য বেশ কয়েকটি ফর্মুলা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাই আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিতে পারেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন। আবার আমরা অনেকে পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য ঘন ঘন ট্যাবলেট খেয়ে থাকি এটি করা উচিত নয়। আপনি চাইলে ঘরোয়া ভাবে কিংবা বিভিন্ন ব্যায়াম করার মাধ্যমে পায়খানা ক্লিয়ার করতে পারেন।
মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url