ঘামাচি পাউডার ঔষধ হোমিও ঔষধ সাবান কোনটা আপনার জন্য ভালো

পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম জানতে ক্লিক করুনঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো, আপনি যদি ঘামাচি নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে থেকে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ একটি আর্টিকেলের মধ্যে ঘামাচি দূর করার জন্য বিভিন্ন ফর্মুলা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এমনকি আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিতে পারেন তাহলে খুব সহজেই বলতে পারবেন ঘামাচি হলে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে।
ঘামাচি


আবার কোন পদক্ষেপ নিলে আপনার ঘামাচি রাতারাতি মারা যাবে সে বিষয়ে ক্লিয়ার ধারণা পেয়ে যাবেন। তাই গরম কালে স্বস্তিতে থাকার জন্য আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাহলে চলুন এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নেই।

পেজ সূচিপ্ত্রঃ ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো

ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো

ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো এটি জানার আগে আপনাদের জানতে হবে ঘামাচি কি এবং কেন হয়।গ্রীষ্মকালে শিশু ও বড়দের মধ্যে ঘামাচির সমস্যাটি সবচাইতে বেশি দেখা যায়। গরম এবং আদ্র আবহাবার কারণে ত্বকের ঘাম নিঃসরণে বাধা সৃষ্টি হলে ঘামাচির সৃষ্টি হয়। এই ঘামাচি ত্বকের লালচে বা সাদা সাদা ছোট ছোট ফোটা আকারে দেখা যায়

যা চুলকানি এবং অস্বস্তিকর মনে হয়। চিকিৎসকের মতে ঘামাচি এক ধরনের চর্ম রোগ। যে স্থানে ঘামাচি আক্রমণ করে এখানে প্রচুর পরিমাণে চুলকায় এবং আপনার শরীর যখন গরমে ঘামবে তখন জ্বালা অনুভূত হয়। এই ঘামাচি মানব দেহের সারা শরীরেই হয়ে থাকে কিন্তু সবচাইতে বেশি দেখা যায় গলায়, ঘারে, কপালে পিঠে এবং বুকে।

এই ঘামাচি বড়দের তুলনায় ছোটদের বেশি হয়ে থাকে। আবার এই ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ঘামাচি পাউডার পাওয়া যায়। কিন্তু সঠিক পাউডারটি নির্বাচন করা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা ত্বকে শীতলতা দেবে এবং ঘামাচি থেকে দ্রুত মুক্তি দেবে।

ঘামাচির কারণ ও প্রতিরোধ

ঘামাচির প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত ঘাম এবং ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া। এই সমস্যাটি সবচাইতে বেশি দেখা যায় শিশুদের মধ্যে তবে বড়দেরও এই সমস্যায় পড়তে হয়। ঘামাচি প্রতিরোধের প্রধান কাজ হলো ত্বক শুষ্ক রাখা এবং বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরিধান করা। এছাড়াও ঘন ঘন ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার

রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। আবার আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের কারণে অকারণে তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম ঝরতে দেখা যায়।আপনার যদি এই সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ঘামে ভেজা পোশাকটি পরিবর্তন করে নিন। কারণ এই ঘামের কারণেই ঘামাচি ছড়িয়ে পড়ে।

আবার আপনি চাইলে ঘামাচি থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন দুইবার করে গোসল করতে পারেন। গোসল করার সময় অবশ্যই স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে গোসল করে নিবেন। এছাড়াও আরেকটি কার্যকারী কথা হলো ঘামাচি হওয়া স্থানে কখনোই নখ দিয়ে চুলকাবেন না বা স্পর্শ করবেন না, যদি করেন তাহলে ইনফেকশন হতে পারে।

ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো

ঘামাচি দমন করার জন্য বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির পাউডার পাওয়া যায়। কিন্তু সব পাউডার মানে ভালো হয় না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে কয়েকটি জনপ্রিয় ঘামাচি পাউডার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
  • ডাবর লাল টালকম পাউডারঃ চর্ম বিশেষজ্ঞ ডক্টর মোহাম্মদ হান্নান হোসেন বলেন ডাবর লাল টালকম পাউডারটি ঘামাচি নিরাময় বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই পাউডারটি ত্বকের তাপমাত্রা কমাতে এবং ত্বককে শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। কারণ এতে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না এবং শিশুদের জন্যও এই পাউডারটি নিরাপদ।
  • মিল্লাত ঘামাচি পাউডারঃ মিল্লাত ঘামাচি পাউডার আমাদের বাংলাদেশে প্রচুর ব্যবহার করা হয়। কারণ এই পাউডারটি আমাদের বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই একটি ব্র্যান্ড হয়ে বসে আছে। এই পাউডারটি ছোট বড় উভয় ব্যবহার করতে পারে। চর্ম বিশেষজ্ঞ মতে মিল্লাত ঘামাচি পাউডার ঘামাচি কমানোর পাশাপাশি কম গরম অনুভূত করতে সহায়তা করে। তাই এই পাউডারটি ব্যবহার করার আগে আপনার শরীরের ঘাম মুছে ফেলে ব্যবহার করতে পারেন।
  • হিমালয়া বেবি পাউডারঃ হিমালয়া বেবি পাউডার একটি জনপ্রিয় ঘামাচি পাউডার হিসেবে পরিচিত, বিশেষ করে শিশুদের জন্য। কারণ এই পাউডারের রয়েছে খনিজ এবং প্রাকৃতিক উপাদান। যা আমাদের শরীরের চুলকানি ও জ্বালা কমাতে সহায়তা করে। আবার এই পাউডারটি ত্বককে শুষ্ক রাখতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • প্যাটার্সনস জেন্টল টাচ পাউডারঃ এই পাউডারটি ত্বকে শীতলতা প্রধান করে এবং ত্বকের ঘাম শুষে নিতে সাহায্য করে। আবার এই পাউডারটি ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে যার ফলে ঘামাচি দ্রুত সেরে যায়। এই পাউডারটির হালকা সুগন্ধ এবং নরম টেক্সচার শিশু ও বড় উভয়ের জন্য উপযোগী করে তুলেছে।
  • বোরোপ্লাস ডাস্টিং পাউডারঃ বোরোপ্লাস ডাস্টিং পাউডার ত্বকের জন্য একটি প্রাকৃতিক এবং অ্যান্টিসেপ্টিক পাউডার যা ঘামাচি নিরাময়ে সহায়তা করে। এই পাউডারটি ত্বকে দ্রুত শীতলতা প্রদান করে এবং দীর্ঘ সময় শুষ্ক রাখে। এতে রয়েছে টিউলসি, নিম, ও মুলতানি মাটি যা ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে সহজেই।

সঠিক পাউডার নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ঘামাচি পাউডার নির্বাচন করার সময় ত্বকের ধরন এবং সমস্যা বিবেচনায় নেওয়া খুবই জরুরী। কারণ শিশুদের জন্য এমন পাউডার নির্বাচন করা উচিত যা ত্বকের জন্য কোমল এবং কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। আপনার জন্য কিংবা আপনার শিশুর জন্য প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ পাউডার ব্যবহার করাই সবচাইতে বেটার হবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন সঠিক পাউডার নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ।

ঘামাচি কমানোর উপায় ঔষধ

ঘামাচি কমানোর উপায় ও ঔষধ সম্পর্কে আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়া খুবই জরুরি। কারণ গ্রীষ্মকালে তীব্র গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে ত্বকের সমস্যা, বিশেষ করে ঘামাচির সমস্যা ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। ঘামাচি সাধারণত ত্বকের ঘর্মগ্রন্থির নিঃসরণে বাধা সৃষ্টি হওয়ার কারণে হয়।

এই সমস্যাটি শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সবার মধ্যেই দেখা দিতে পারে। তাই ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু সহজ পদ্ধতি ও কার্যকরী ঔষধ রয়েছে যা ব্যবহার করে আপনি দ্রুত স্বস্তি পেতে পারেন। চলুন প্রথমে আপনাদের জানিয়ে দেই কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া উপায় খুবই কার্যকর

কুলিং বা শীতলতা প্রদানঃ ঘামাচি কমানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ত্বককে শীতল রাখা। তাই গরমের মধ্যে ঘামের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমনঃ
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে দিনে দুইবার গোসল করা বা ত্বক ধুয়ে ফেলা।
  • এয়ার কন্ডিশনার বা ফ্যানের নিচে থাকা
  • পাতলা, ঢিলেঢালা এবং সুতি কাপড় পরিধান করা
  • ত্বককে শুকনো রাখার চেষ্টা করা এবং অতিরিক্ত ঘাম তৈরি হওয়া থেকে বিরত থাকা
মুলতানি মাটিঃ মুলতানি মাটি একটি প্রাকৃতিক শীতলকারক, যা আমাদের ত্বকের জ্বালা ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। মুলতানি মাটির সাথে পানি মিশিয়ে একটি পেজ তৈরি করে আপনার ত্বকে লাগিয়ে নিন। দেখবেন খুব দ্রুত ত্বকের অতিরিক্ত তাপমাত্রা শোষণ করতে সহায়তা করবে।

বেকিং সোডাঃ নামাজি দূর করার জন্য বেকিং সোডা বেশ কার্যকরী। এর জন্য প্রথমে হালকা ঠান্ডা পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। তারপর একটি পরিষ্কার কাপড় সেই পানিতে ভিজিয়ে ঘামাচি স্থানে সাত থেকে দশ মিনিট রেখে দিন। ১০ মিনিট হয়ে গেলে হাত দিয়ে মুছে দিন।

অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা জেল ঘামাচি দমন করার জন্য প্রান্ত কার্যকরী। এলোভেরা ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং শীতলতা প্রদান করে। যার ফলে ঘামাচির চুলকানি ও জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

শসা ও পুদিনা পাতাঃ শসা বা পুদিনার পাতা পেস্ট করে ঘামাচি স্থানে লাগালে ত্বকের তাপমাত্রা কমে এবং ঘামাচির সমস্যাও হ্রাস পায়।
বৃষ্টির পানিঃ বৃষ্টির পানি ঘামাচি দূর করতে সহায়তা করে। কিন্তু ঝুম ঝুম বৃষ্টিতে ভিজলে ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। যখন দেখবেন হালকা হালকা বৃষ্টি পড়ছে তখন চাইলে বুঝতে পারেন এতে উপকার পাবেন।

নিমপাতাঃ নিমপাতা দিয়ে ঘামাচি বা চুলকানি দমন করার প্রক্রিয়াটি অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। ঘামাচি বা চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দিনে একবার করে নিমপাতা দিয়ে গোসল করে নিন। চর্ম বিশেষজ্ঞদের মতে নিমপাতা দিয়ে টানা ৩ দিন গোসল করলে ঘামাচি বা চুলকানির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আবার আপনি চাইলে গোলাপজলের সাথে নিমপাতার রস মিশিয়ে ঘামাচির ওপর লাগাতে।

ঘামাচির ঔষধ ও চিকিৎসা

যদি ঘামাচি খুব বেশি হয় বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে মুক্তি না পাওয়া যায়, তখন কিছু ঔষধ ও চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। চিকিৎসকরা সাধারণত নিম্নলিখিত ঔষধগুলোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
  1. ক্যালামাইন লোশনঃ ক্যালামাইন লোশন কামাস এর চিকিৎসায় খুবই কার্যকরী একটি লোশন আপনি চাইলে এটি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ ক্যালামাইন লোশন ত্বকে শীতলতা প্রদান করার পাশাপাশি ফুসকুড়ি ও লালভাব কমায় অল্প দিনে। এই লোশনটি সরাসরি ত্বকের আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করতে হবে।
  2. হাইড্রোকর্টিসন ক্রিমঃ হাইড্রোকর্টিসন ক্রিম ঘামাচির তীব্র প্রদাহ ও চুলকানি কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ক্রিম ত্বকের লালভাব, ফোলাভাব এবং অস্বস্তি কমাতে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। তবে, এই ক্রিমটি ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, বিশেষ করে যখন শিশুদেজখঞ্জন্য ব্যবহার করবেন।
  3. অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেটঃ যদি ঘামাচির কারণে ত্বকে চুলকানি এবং অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট কার্যকর হতে পারে আপনার জন্য। কারণ এটি ত্বকের চুলকানি কমিয়ে আরাম দেয় এবং ঘামাচি থেকে দ্রুত মুক্তি দেয়।
  4. অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল পাউডারঃ যদি ঘামাচির কারণে ত্বকে সংক্রমণ হয় বা ঘামাচি মারাত্মক আকার ধারণ করে, তখন চিকিৎসকরা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল পাউডার ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারেন। এই ধরনের পাউডার ত্বকের জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে এবং নতুন ঘামাচি হওয়ার আশঙ্কা কমায়।

ঘামাচির হোমিও ঔষধ

ঘামাচি নিরাময় করার জন্য প্রথমেই ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়। চর্ম বিশেষজ্ঞদের মতে ঘামাচি হলে প্রথমে ঘরোয়া উপায় গুলো ফলো করা উচিত। আবার এমন ঘামাচি রয়েছে যেগুলো কোনো চিকিৎসা ছাড়াই ঠিক হয়ে যায়। তাই ঘামাচি ওটার সাথে সাথে ঔষধ খাবেন না। যদি দেখেন যে না ৭ থেকে ৮ দিন পার হয়ে গেছে তাও ঠিক হচ্ছে না তখন চাইলে হোমিওপ্যাথি ঔষধ খেতে পারেন
একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে। কারণ ঘামাচির হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রাকৃতিক উপাদানের ভিত্তিতে তৈরি এবং এটি মূলত শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। ঘামাচি নিরাময়ের জন্য হোমিওপ্যাথি ঔষধ খুবই কার্যকরী, কারণ এটি ত্বকের ভেতর থেকে সমস্যার সমাধান করে এবং দীর্ঘস্থায়ী উপশম দেয়।

ঘামাচির জন্য জনপ্রিয় হোমিও ঔষধসমূহ

  1. Natrum Muriaticum: ঘামাচির সমস্যায় সবচেয়ে পরিচিত এবং কার্যকরী হোমিও ঔষধগুলোর মধ্যে একটি হলো Natrum Muriaticum। যখন ঘামাচির কারণে ত্বক শুষ্ক, চুলকানিযুক্ত এবং লালচে হয় তখন এটি ব্যবহার করা হয়।
  2. Sulphur: যারা অত্যধিক চুলকানি এবং গরম অনুভব করেন, তাদের জন্য এই ঔষধটি বেশ উপকারী। কারণ এটি ত্বকের প্রদাহের পাশা পাশি ঘামাচি কমিয়ে দ্রুত আরাম দেয়।
  3. Rhus Toxicodendron: অনেক সময় দেখা যায় ঘামাচি পেকে ফেটে যায় এবং চুলকানি বা জ্বালা বেশি হয়। তখন এই ঔষধটি ব্যবহার করতে পারেন। দেখবেন ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে আরাম পাবেন।
  4. Apis Mellifica: ঘামাচি প্রতিরোধ করার জন্য এই ওষুধটি বেশ কার্যকারিতা বয়ে আনে। চিকিৎসকের মতে ওষুধটি খাওয়ার মাধ্যমে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ঘামাচি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
  5. Graphite's: যদি ঘামাচির কারণে ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং সেই ক্ষত থেকে তরল নিঃসরণ হতে থাকে, তখন Graphite's ব্যবহার করবেন। কারণ এটি ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং ক্ষত দ্রুত শুকিয়ে ফেলে। এছাড়াও এই ঔষধটি ত্বকের শুষ্কতা কমায় এবং ত্বককে নমনীয় করে তোলে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে।
  6. Rhus Tox: Rhus Tox ঔষধটি ছোট ছোট ফোস্কা সারাতে চমৎকার কাজ করে। তাই প্রাথমিক অবস্থায় এই ঔষধটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। যে কোন ঔষধ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। কারণ আপনার শরীরের জন্য কোন ঔষধটি সবচেয়ে ভালো হবে সেটি নির্ধারণ করবে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার।
এখানে প্রায় ছয়টি হোমিওপ্যাথিক জনপ্রিয় ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনি চাইলে এখান থেকে যেকোনো একটি ঔষধ আপনার ঘামাচি দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই।

ঘামাচি মারার সাবান

যে সাবান গুলো ব্যবহার করার মাধ্যে আপনার শরীরের ঘামাচি মারা যাবে ২ দিনে। আসলে কি এমন সাবান আছে। আমি জানি অনেকে বিশ্বাস করবেন না কিন্তু আপনি যদি এই সাবান গুলো ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে নিজেই বুঝতে পারবেন।
তাই আপনি যদি ঘামাচি থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে প্রতিদিন গোসল করার সময় অন্যান্য সাবান দিয়ে গোসল না করে এখান থেকে এখান থেকে আপনার পছন্দমত একটি সাবান ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তারপর যদি মনে হয় যে না আমি উপকার পাচ্ছি না তাহলে ব্যবহার করা বাদ দিতে পারেন।

ঘামাচি মারার কার্যকরী সাবানসমূহ

  • নিম সাবানঃ নিম পাতার গুনাগুন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। নিমে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল যা ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করে এবং ঘামাচির সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই নিম সাবান নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক সুস্থ থাকে এবং ঘামাচি দ্রুত কমে যায়।
  • ডেটল সাবানঃ ডেটল সাবানের গুণাবলী আমরা সবাই জানি। ডেটল সাবান একটি সুপরিচিত অ্যান্টিসেপ্টিক সাবান। যা ত্বককে ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণু থেকে রক্ষা করে ১০০%। তাই আপনার শরীরের ঘামাচি মেরে ফেলার জন্য ডেটল সাবান নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
  • মুলতানি মাটি সাবানঃ মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ময়লা শুষে নেয়, ফলে ত্বক পরিষ্কার থাকে এবং ঘামাচি কমে যায়। মুলতানি মাটি সাবান ত্বকের ঘামাচি, ফুসকুড়ি এবং প্রদাহ কমাতে সহায়ক। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলো পরিষ্কার রাখে এবং ত্বককে শীতলতা প্রদান করে।
  • মেনথল সাবানঃ গরমের সময় মেনথল সাবান ব্যবহার করলে ত্বক সতেজ থাকে এবং ঘামাচির সমস্যা দ্রুত হ্রাস পায়। এই সাবান ত্বককে শুষ্ক রাখে এবং অতিরিক্ত ঘাম শুষে নেয়।
  • হিমালয়া বেবি সাবানঃ শিশুদের জন্য নরম ও কোমল সাবান ব্যবহার করা উচিত। জনসনস বেবি সাবান এবং হিমালয়া বেবি সাবান শিশুদের ত্বকে খুবই মৃদু এবং ঘামাচি কমাতে কার্যকরী। এ ধরনের সাবান ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
এই সাবান গুলো ঘামাচি বা চুলকানি প্রতিরোধ করার জন্য খুবই কার্যকারী ভূমিকা পালন করে তাই আপনার শরীরে যদি চুলকানি কিংবা ঘামাচির আবির্ভাব ঘটে তাহলে নিয়মিত গোসলে এখান থেকে যেকোনো একটি সাবান নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে নিম সাবান কিংবা ডেটল সাবান ব্যবহার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url