আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা কেন জানা জরুরি
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা জানতে ক্লিক করুনআনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা না জানলেই নয় কারণ বর্তমান বাজারে এই সুস্বাদু আনারস বারো মাস পাওয়া যায় এবং দামেও সস্তা।বিশেষজ্ঞরা বলেন এই সুস্বাদু আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সুস্থ রাখতে অন্যরকম ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি যদি বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার খাবার তালিকায় আনারস রাখতে পারেন।
আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা |
আমরা অনেকেই আনারস খেতে আগ্রহী নই কারণ আনারস খেতে হালকা টক লাগে এর কারণে আমরা অনেকেই আনারস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু আপনি যদি আনারসের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারেন তাহলে আর কোনদিন আনারস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন না। কারণ চিকিৎসকেরা বলেন আনারসে যে পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা অন্য কোন ফলে পাওয়া যায় না।
পেজ সূচিপত্রঃ আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা
আনারসের পুষ্টিগুণ
আনারস, তার সুস্বাদু স্বাদের পাশাপাশি অসংখ্য পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।আনারসে যা যা পুষ্টিগুণ রয়েছে তা নিচে তুলে ধরা হলোঃ
ভিটামিন সিঃ আনারস ভিটামিন সির একটি চমৎকার উৎস। এই ভিটামিন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, ত্বককে সুস্থ রাখতে এবং লোহার শোষণে সাহায্য করে।ম্যাঙ্গানিজঃ এই খনিজ হাড়ের স্বাস্থ্য, চাপ পরিচালনা এবং শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে সহায়তা করে।
ব্রোমেলাইনঃ আনারসে থাকা ব্রোমেলাইন নামক এনজাইম হজমে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
ফাইবারঃ আনারসে থাকা ফাইবার পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন বিঃ আনারসে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের বিভিন্ন উপাদান রয়েছে, যা শক্তি উৎপাদন এবং স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পটাশিয়ামঃ এই খনিজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আনারসের উপকারিতা
আনারসের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। কিন্তু আপনি আনারসের উপকারিতা সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন। কারণ পুষ্টিবিদরা বলেন আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। আমরা অনেকেই
আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা |
আনারসের উপকারিতা
১। শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে
২। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
৩। দাঁতও মারি মজবুত করে
৪। রাত কানা দূর করে
৫। শরীরের হাড় মজবুত করে
৬। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
৭। ত্বক সুন্দর করে
৮। ঠান্ডা কাশি প্রতিরোধ করে
৯। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে
১০। পুষ্টির অভাব দূর করে
১১। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
১২। কৃমিনাশক হিসেবে দারুন কাজ করে
- শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও আঁশ যা আপনার পেট বেশি সময় ভরা রাখতে সাহায্য করবে। তাই পুষ্টিবিদদের মতে পরিমাণ মতো আনারস খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে খুব সহজেই।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে চিকিৎসকেরা আনারস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কারণ আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম যা আমাদের দেহের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই বদহজম জনিত কোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আনারস খেতে পারেন।
- দাঁত ও মারি মজবুত করেঃ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আমাদের দাঁতের জন্য খুবই উপকারি। তাই আপনি যদি নিয়মিত আনারস খেতে পারেন তাহলে দাতে থাকা জীবাণু আসতে আসতে কমতে শুরু করবে এবং দাঁত ও মাড়ি মজবুত করতে সাহায্য করবে।
- রাত কানা দূর করেঃ আনারসে প্রচুর পরিমাণে বেটা ক্যারোটিন রয়েছে যা আমাদের চোখ অন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা করে। তাই আপনি যদি আপনার চোখ সুক্ষিত রাখতে চান তাহলে আনারস খাওয়া শুরু করতে পারেন।
- শরীরের হাড় মজবুত করেঃ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ যা আমাদের দেহের হাড়কে মজবুত ও শক্তিশালী করে তোলে। তাই আপনি চাইলে আপনার খাবার তালিকায় আনারস রাখতে পারেন। এতে আপনার দেহের জন্য অনেক উপকার হবে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করেঃ ক্যান্সার হলে আমাদের অনেকের খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কারণ ক্যান্সার হলে বাচার আশা অনেকে ছেরেই দেয়। কিন্তু আপনি যদি খাবার তালিকায় আনারস রাখতে পারেন তাহলে এই ক্যান্সার রোগ আপনার কাছে গেস্তে পারবে না। কারণ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের মত কঠিন রোগ দেহে প্রবেশ করতে দেয় না।
- ত্বক সুন্দর করেঃ ত্বকের উজ্জলতা বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকায় আনারস রাখতে পারেন। কারণ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা ত্বকের মৃত কোষ আস্তে আস্তে দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বক কুঁচকে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে। আবার তৈলাক্ত ত্বক ও মুখেরব্রণ দূর করতে সহায়তা করে।
- ঠান্ডা কাশি প্রতিরোধ করেঃ ছোট বেলায় দেখতার যদি আমাদের জ্বর হত তাহলে বাজার থেকে বাবা আনারস কিনে আন্ত। কারণ বাবা বলত আনারস খেলে জ্বর অনেকটা কমে যায়। কিন্তু আমরা ছোট বেলায় এটা বিশ্বাস করতাম না কিন্তু এখন বড় হয়ে জানতে পারলাম আনারসে শুধু জ্বর নয় জ্বর ছাড়া ঠান্ডা কাশিও প্রতিরোধ করে। কারণ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আমাদের দেহের জ্বর, ঠান্ডা, কাশি থেকে মুক্তি দেয়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করেঃ আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের মত রোগে ভূগে থাকেন তাহলে আপনার খাবার তালিকায় আনারস রাখতে পারেন। কারণ চিকিৎসকেরা কোষ্ঠকাঠিন্য রুগীদের সব সময় আনারস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আনারস রাখতে পারেন।
- পুষ্টির অভাব দূর করেঃ আপনি যদি পুষ্টির অভাবে ভূগে থাকেন তাহলে নিয়ম করে আনারস খেতে পারেন। কারণ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা আমাদের দেহের নানা পুষ্টির অভাব পূরণ করে থাকে। তাই আপনার শরীরে যদি পুষ্টির অভাব থেকে থাকে তাহলে নিয়মিত আনারস খেতে পারেন।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ চিকিৎসকেরা বলেন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আনারসের কোনো তুলনা হয় না। তাই আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপে ভূগে থাকেন তাহলে আপনার নিয়মিত খাবার তালিকায় আনারস রাখতে পারেন। এতে এই সমস্যা থেকে খুব সহজেই রেহাই পাবেন।
- কৃমিনাশক হিসেবে দারুন কাজ করেঃ আমাদের অনেক সময় দেখা যায় হঠাত করে পেটে কৃমির আবির ভাব শুরু হয়। কিন্তু আপনি যদি নিয়ম করে সকাল বেলা আনারসের রস খেতে পারেন তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এর জন্য সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই আনারসের রস খেতে পারেন যদি টানা ৩ দিন খেতে পারেন তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আনারসের অপকারিতা
আনারসের অপকারিতা না জেনে আনারস খাওয়া আমাদের দেহের জন্য নানা রকম ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই আমরা যারা আনারসের অপকারিতা সম্পর্কে অবগত নই তাদের অবশ্যই আনারসের অপকারিতা গুলো জেনে রাখা প্রয়োজন। তাহলে চলুন এই সুস্বাদু আনারসের অপকারিতা গুলো জেনে নেই।
১। অ্যালার্জিঃ আনারস খেলে অনেকের ক্ষেত্রে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন চুলকানি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২। প্রাকৃতিক চিনিঃ এই সুস্বাদু ফল আনারসে প্রচুর পরিমাণে চিনি রয়েছে যার কারণে আমরা যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের জন্য আনারস খাওয়া মোটেই উচিত হবে না। যদি খেতে চান অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
আরো পড়ুনঃ রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
৩। অ্যাসিটিকঃ পুষ্টিবিদরা বলেন আনারস একটি অ্যাসিটিক ফল। যার কারণে অতিরিক্ত খাওয়া আমাদের দেহের জন্য উচিত হবে না। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খেতে থাকেন তাহলে পেট ব্যথা হতে পারে।
৪। বাতের ব্যথাঃ যাদের বাতের ব্যথা রয়েছে তাদের জন্য আনারস না খাওয়াই ভালো। কারণ পুষ্টিবিদরা বলেন আমাদের শরীরে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল নালী নামক একটি জায়গা রয়েছে সেই জায়গায় আনারস পৌঁছালে অ্যালকোহলে পরিনত হয়। যার কারণে যাদের বাতের ব্যথা রয়েছে তাদের বাতের ব্যথা অতিরিক্ত হতে পারে।
৫। দাঁতের জন্য ক্ষতিকরঃ আপনার দাতে যদি কোনো ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অতিরিক্ত আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এতে আপনার দাঁতের জন্য ভালো হবে।
রাতে আনারস খেলে কি হয়
রাতে আনারস খেলে কি হয় এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই সঠিক তথ্য জানি না।কারণ অনেকে বলেন আনারসে অতিরিক্ত অ্যাসিড থাকার কারণে রাতের বেলায় খেলে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা ও বদ হজমের মত নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।আবার অনেকে বলেন রাতের বেলায় আনারস খেলে পেট ব্যথার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ কিসমিস খেলে কি মানুষ ফর্সা হয়
কিন্তু আপনি কি জানেন কোনটি সত্য এবং কোনটি মিথ্যা।চিকিৎসকের আলোকে বললে বলা যায় রাতের বেলায় আনারস খেলে তেমন কোনো সমস্যা দেখা দিবে না। কিন্তু চিকিৎসকেরা রাতের বেলায় অতিরিক্ত আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন। তাই আমার মতে রাতে আনারস না খাওয়াই ভালো হবে।
খালি পেটে আনারস খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে আনারস খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করার মত নয় কারণ আনারসে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান যা আমরা এই পোষ্টের শুরুতে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করেছি। এছাড়াও আনারসের যত রকমের উপকারিতা রয়েছে সব উপকারিতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাই আপনি যদি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে কিংবা সকালের নাস্তা শেষ করে আনারস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক বেড়ে যাবে।এছাড়াও উপরে যে সমস্ত উপকারিতার কথা বলা হয়েছে ওই সকল উপকারিতা ও পেয়ে যাবেন। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বলেন আনারস আপনি যেভাবেই খান না কেন এর উপকারিতা পাবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন খালি পেটে আনারস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
আনারসে কোন এসিড থাকে
আনারসে কোন এসিড থাকে এ সম্পর্কে বললে বলা যায় আনারসে সাধারণত দুই ধরনের এসিড পাওয়া যায়। যেমনঃ ১। সাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে প্রায় 87%, ২।ম্যালিক অ্যাসিড রয়েছে প্রায় 4,5
আনারস খেলে কি ক্ষতি হয়
আনারস খেলে কি ক্ষতি হয় এর সহজ উওর হলো হ্যাঁ। কারণ আপনি যদি সঠিক মাত্রায় আনারস খেতে না পারেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য নানা রকম ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনি যদি আনারস খেতে পছন্দ করেন তাহলে আমার লেখা এই আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন। কারণ এই একটি আর্টিকেলের মধ্যে আনারসের সকল কথা তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কাদের জন্য আনারস খাওয়া ভালো হবে কাদের জন্য আনারস খাওয়া খারাপ হবে সব কিছু জানতে পারবেন। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন আপনি যদি সঠিক পরিমাণে আনারস খেতে পারেন তাহলে কোনো ধরনের ক্ষতি হবে না আপনার শরীরে বরং আরো বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পারেন।
আনারস কোন ভাষার শব্দ
আনারস শব্দটি মূলত পর্তুগিজ ভাষা থেকে এসেছে। পর্তুগিজ ভাষায় আনারসকে "ananas" বলা হয়। পর্তুগিজরা যখন বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যাত্রা করত, তখন তারা এই ফলটি নিয়ে যেত এবং যেখানে যেত, সেখানকার ভাষায় এই ফলটির নামকরণ করত। এইভাবেই পর্তুগিজ শব্দ "ananas" বিভিন্ন ভাষায় পরিবর্তিত হয়ে আজকের আনারস শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে।
বিভিন্ন ভাষায় আনারসের নামঃ
ইংরেজি: Pineapple
স্প্যানিশ: Piña
ফরাসি: Ananas
আরবি: أناناس (Ananas)
হিন্দি: अनानास (Ananas)
গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি হয় আপনি কি জানেন যদি না জেনে থাকেন তাহলে চলুন জেনে নেই। আমরা অনেকে মনে করি গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। কিন্তু চিকিৎসকের মতে গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে তেমন কোনো সমস্যা দেখা দেয় না, যদি পরিমাণ মতো খেতে পারেন। চিকিৎসকেরা বলেন গর্ভাবস্থায় সঠিক মাত্রায় আনারস খেলে মায়ের ও সন্তানের জন্য
অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই আপনি যদি একজন গর্ভবতি মা হয়ে থাকেন তাহলে ডাক্তারের পরার্মশ নিয়ে আনারস খেতে পারেন এতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। কিন্তু একটি কথা মনে রাখবেন গর্ভাবস্থায় আনারস অতিরিক্ত খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এতে আপনার ও আপনার সন্তানের জন্য ক্ষতি হতে পারে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি হয়।
মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url