আম গাছে কি কি সার দিতে হয় - নিয়ম সময় পরিমান জানুন

আমের পোকা দমনের ঔষধ জানতে ক্লিক করুনআজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে আম গাছের বিভিন্ন রোগ নিয়ে এছাড়াও আম গাছে কি কি সার দিতে হয় সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনার আম গাছে যদি বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই আক্রমণ করে থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন কোন সার কখন দিতে হয়
আম গাছ
এবং কত বছর বয়সে কি পরিমান সার প্রয়োগ করতে হয় এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তাই আপনার যদি একটি আম গাছের বাগান থেকে থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে করে নিতে পারেন এতে করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আপনার আম গাছকে খুব সহজে রক্ষা করতে পারেন।

সূচীপত্রঃ আম গাছে কি কি সার দিতে হয়

আম গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি

আম গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে না জেনে আম গাছের ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব নয় কারণ আম গাছের চারা রোপনের পর নিয়মিত সার প্রয়োগ করা আবশ্য। শুধু তাই নয় আম গাছ বৃদ্ধির সাথে সাথে সারের পরিমাণও অনেক অংশে বাড়াতে হবে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে কোন বয়সে কোন ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে তা নিচে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হল।

১। গোবর ১-৪ বছরে ২৫ কেজি, ৫-৭ বছরে ৩৬ কেজি, ৮-১০ বছরে ৪৪ কেজি, ১১-১৫ বছরে ৫২ কেজি, ১৬-২০ বছরে ৭১ কেজি এবং ২০ বছর পর থেকে ৮৬ কেজি গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে।

২। ইউরিয়া ১-৪ বছরে ৪৩৬ গ্রাম, ৫-৭ বছরে ৮০০ গ্রাম, ৮-১০ বছরে ১৪০০ গ্রাম, ১১-১৫ বছরে ১৮০০ গ্রাম, ১৬-২০ বছরে ২৬০০ গ্রাম এবং ২০ বছর পর থেকে ৩৪০০ গ্রাম ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে।

৩। টিএসপি ১-৪ বছরে ৪৪০ গ্রাম, ৫-৭ বছরে ৪৪০ গ্রাম, ৮-১০ বছরে ৮৭০ গ্রাম, ১১-১৫ বছরে ৫৭৫ গ্রাম, ১৬-২০ বছরে ১২০০ গ্রাম এবং ২০ বছর পর থেকে ১৮০০ গ্রাম টিএসপি সার প্রয়োগ করতে হবে।

৪।এমওপি ১-৪ বছরে ১৭৫ গ্রাম, ৫-৭ বছরে ৩৫০ গ্রাম, ৮-১০ বছরে ৪৪০ গ্রাম, ১১-১৬ বছরে ৮৮০ গ্রাম এবং ২০ পর থেকে ১৪.৫০ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।

৫। জিপসাম ১-৪ বছরে ১৮০ গ্রাম, ৫-৭ বছরে ৩৫০ গ্রাম, ৮-১০ বছরে ৪৪০ গ্রাম, ১১-১৫ বছরে ৬১০ গ্রাম, ১৬-২০ বছরে ৭০০ গ্রাম এবং ২০ বছর পর থেকে ৮৮০ গ্রাম দিতে হবে।

৬। জিংক সালফেট ১-৪ বছরে ১৭.৬৫ গ্রাম, ৫-৭ বছরে ১৭.৭০ গ্রাম, ৮-১০ বছরে ২৬.৩০ গ্রাম, ১১-১৫ বছরে ২৬.৩৫ গ্রাম, ১৬-২০ বছরে ৩৬ গ্রাম এবং ২০ বছর পর থেকে ৪৪ গ্রাম জিংক সালফেট দিতে হবে।

৭। বারিক এসিড ১-৪ বছরে ৩৫ গ্রাম, ৫-৭ বছরে ৩৬ গ্রাম, ৮-১০ বছরে ৫৩ গ্রাম, ১১-১৫ বছরে ৫৩.৫০ গ্রাম, ১৬-২০ বছরে ৭২ গ্রাম এবং ২০ বছর পর থেকে ৮৮ গ্রাম বারিক এসিড প্রয়োগ করতে হবে।

আম গাছে সার প্রয়োগের সময়

আম গাছে সার প্রয়োগের সময়, যারা পূর্ব থেকেই আম বাগান নিয়ে কাজ করছে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আম গাছে বছরে দুই থেকে তিনবার সার প্রয়োগ করা জরুরী। তাহলে চলুন জেনে নেই সারা বছরে কি কি সার প্রয়োগ করলে আপনার ফলন বৃদ্ধি পাবে।গোবর, জিংক সালফেট, টিএসপি, বরিক 

এসিড ও জিপসাম আবার এর সাথে মেশাতে হবে অর্ধেক এমওপি এবং অর্ধেক ইউরিয়া। এই সমস্ত সার একত্রিত করে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আম গাছে প্রয়োগ করতে পারেন। এবং বাকি অর্ধেক ইউরিয়া এবং এমওপি সার সমান দুই ভাগে ভাগ করে একবার দিতে হবে মার্চ মাসের ১০ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে 
এবং বাকি অর্ধেক মে মাসের ১০ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে।সার প্রয়োগ করার সময় অবশ্যই আম গাছের গোড়া সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর আম গাছের গোড়ায় কোদাল দিয়ে হালকা করে কুপিয়ে মাটির সাথে সার প্রয়োগ করতে হবে।

আম গাছের গোড়া থেকে মাটি আলগা করার সময় গাছের গোড়া থেকে কমপক্ষে ১ থেকে ২ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। আশা করি এই নিয়ম ফলো করে আপনার আম গাছের ফলন বৃদ্ধি করতে পারেন। অবশ্যই সার প্রয়োগ করার সময় গাছের বয়স অনুযায়ী সার প্রয়োগ করবেন যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

আম গাছে স্প্রে করার নিয়ম

আম গাছে স্প্রে করার নিয়ম, আম গাছে সাধারণত দুই থেকে তিন বার স্প্রে করলে ফলন বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন আম গাছে মুকুল আসার ১৫ দিন পূর্বে একবার স্প্রে করা খুবই জরুরী এতে মুকুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এরপর মুকুল আসা শুরু করলে আরো একবার স্প্রে করতে পারেন। 

তারপর ছোট ছোট আম আসা শুরু করলে আরো একবার স্প্রে করতে হবে। আপনি যদি এইভাবে তিন থেকে চারবার আম গাছে স্প্রে করতে পারেন তাহলে দেখবেন আগের তুলনায় অনেক অংশে ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আম গাছে স্প্রে করার জন্য আমার দেওয়া ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন।

প্রতি ১ লিটার পানিতে দুই গ্রাম মেনকোজেব ও ১ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক ঔষধ মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন। আশা করি এই নিয়ম ফলো করলে উপকৃত হবেন।

আম গাছে সার প্রয়োগের পরিমান

আম গাছে সার প্রয়োগের পরিমান, আপনি যদি এখনো আম গাছের সার প্রয়োগের সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আম গাছ বৃদ্ধির পাশাপাশি সারও বৃদ্ধি করা খুবই জরুরী কারণ গাছের বয়স অনুযায়ী সার ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজনীয়।
তাই কত বছর বয়সে কতটুকু সার ব্যবহার করলে আপনার আম গাছের ফলন বৃদ্ধি পাবে এ নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি চাইলে উপরে দেওয়া সার গুলোর সাথে পরিচয় হতে পারেন। যাতে করে আপনার আম বাগানে প্রয়োগ করতে পারেন।

আম গাছে কি কি সার দিতে হয়

আম গাছে কি কি সার দিতে হয়, আম গাছে বিভিন্ন ধরনের সার ব্যবহার করে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন আম গাছে সঠিক মাত্রায় সুষম সার প্রতি বছর প্রয়োগ করা জরুরি। তাই আপনাদের জন্য জনপ্রিয় কয়েকটি সুষম সার নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

এক নাম্বার বছরে প্রত্যেকটি গাছের জন্য ২৫০ গ্রাম সিঙ্গল সুপার ফসফেট, ১৬০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ১২৫ গ্রাম মিউরিয়েট অফ পটাশ দিতে হবে। এরপর গাছের বয়স বাড়ার পাশাপাশি ঔষধও বৃদ্ধি করতে হবে। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনু খাদ্যের অভাবে আম গাছের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় 

এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন মলিবডেনাম, বোরণ ও জিঙ্ক। এছাড়াও আম গাছের রাসায়নিক সারের পূর্ণ কার্যকারিতার জন্য প্রতিবছর ৪৫ থেকে ৫০ কেজি জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। তারপর আম গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি দিতে হবে এতে করে আম গাছের গোড়া রসালো হয়ে থাকবে যার কারণে ফলন বৃদ্ধি পাবে।

আম গাছে হরমোন প্রয়োগ

আম গাছে হরমোন প্রয়োগের মাধ্যমে চাষিরা খুব দ্রুত লাভবান হচ্ছে কারণ কালটার বা হরমোন প্রয়োগের ফলে গাছের ফলন অনেক অংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন কালটার বা হরমোন ব্যবহারের ফলে অনেক চাষীদের বাগান নষ্ট হতে শুরু করেছে। 

বিশেষজ্ঞরা আরো জানিয়েছেন যে আম গাছে কালটার বা হরমোন ব্যবহার করলে প্রথম দুই তিন বছর ভালো ফলন দেখা দিলেও পরবর্তীতে কপাল পুড়তে পারে চাষিদের। কালটার বা হরমোন আমাদের বাংলাদেশে এখনো বৈধতা পায়নি যার কারণে অনেক চাষীরাই চুরি করে তাদের বাগানে ব্যবহার শুরু করেছে। 
যারা এই কালটার বা হরমোন ব্যবহার করছে তারা অনেকেই জানিয়েছেন যে এই কালটার আম গাছের জন্য খুবই উপকারী। কারণ কালটার ব্যবহারের ফলে অনেক চাষির প্রতি বছর আম গাছে ফলন দেওয়া শুরু করেছে। তারা জানিয়েছেন কালটার যদি সঠিক পরিমাণে আম গাছে প্রয়োগ করা যায় সে ক্ষেত্রে 

আম গাছের ফলন অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এই কালটার বা হরমোন প্রয়োগ না জানলে আম গাছের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে এবং ফলন আগের তুলনায় অনেক কমে যেতে পারে। কালটার ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি হলো আম গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করা

তাই আপনি যদি আপনার আম বাগানে কালটার ব্যবহার করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিমাণ মতো ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার আম বাগানের ফলন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

আম গাছের পাতা পোড়া রোগ

আম গাছের পাতা পোড়া রোগ, আম গাছে নিয়মিত সার প্রয়োগ না করার কারণে পাতা পোড়া রোগ দেখা যায়। তাই আপনার আম গাছে যদি এই সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে প্রথমে পাতাগুলো কেটে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর ছত্রাক নাশক কিংবা কীটনাশক ঔষধ ব্যবহার করে স্প্রে করে নিতে হবে। 
আরো পড়ুনঃ আমের উকুন পোকা
ছত্রাকনাশক এবং কীটনাশক কিছু জনপ্রিয় ঔষধ তুলে ধরার চেষ্টা করব এই ঔষধ গুলো থেকে যেকোনো একটি ঔষধ ব্যবহার করে আম গাছের পাতা পোড়া রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ছত্রাক নাশক ঔষধের মধ্যে রয়েছে নেমেসপোর, পেনকোজেব ৮০ ডব্লি পি,

ইনডোফিল এম, সানকোজেব ৮০ ডব্লি পি, গোল্ডেন এম ৪৫, ডাইথেন এম ৪৫।কীটনাশক ঔষধের মধ্যে রয়েছে রিপকর্ড, কট, সিনসাইপার, জুবাস, রিভা, ক্যারেটে।এখান থেকে যেকোনো একটি ঔষধ নিয়ে স্প্রে করতে পারেন।

আম গাছের আগা মরা রোগ

আম গাছের আগা মরা রোগ, আম গাছে প্রয়োজন মত সার প্রয়োগ না করলে আম গাছের আগা মরা রোগ খুব ভয়ংকর আকারে ছড়িয়ে পড়ে। তাই যাদের আম বাগান রয়েছে তারা অবশ্যই নিয়ম মেনে প্রতিনিয়ত সার দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এখন কথা হল আম গাছের আগামরা রোগ থেকে কিভাবে রক্ষা পাবো।

এর জন্য প্রথমে আগামরা ডালপালা গুলো কেটে পরিষ্কার করে নিতে হবে। কারণ আপনি যদি আম গাছের আগা মরা ডালগুলো কেটে না দেন তাহলে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। এরপর আগা মরা ডালগুলো কাটা হয়ে গেলে সুষম মাত্রায় জৈব সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে 

এবং নিয়মিত সেচ প্রদান করতে হবে। এরপর ছত্রাক নাশক কুপ্রাভিট ব্যবহার করতে পারেন। ৭ গ্রাম কুপ্রাভিট এর সাথে এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে এরপর নতুন পাতা গজালে ব্যাভিস্টিন ১ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ৮ থেকে ১০ দিন পর পর তিন থেকে চারবার স্প্রে করতে হবে।

আম গাছের আঠা ঝরা রোগ

আম গাছের আঠা ঝরা রোগ একটি মারাত্মক রোগ কারণ এই রোগের কারণে অনেক গাছ মারা যায়। কিন্তু আপনি চাইলে খুব সহজেই এই রোগ থেকে আপনার গাছকে রক্ষা করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আম গাছের আঠা কোন কিছুর সাহায্যে পরিষ্কার করে নেওয়া এরপর ছত্রাকনাশ কুপ্রাভিট ৭ গ্রামের সাথে এক লিটার পানি দিয়ে স্প্রে করতে হবে।

তারপর কপার অক্সিক্লোরাইট হালকা পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে এরপর সেই পেস্ট যেখানে আঠা ঝরে সেখানে লাগিয়ে দিতে হবে। আশা করি এই নিয়ম ফলো করে খুব দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন।

আম গাছে কি কি সার দিতে হয় শেষ কথা

গ্রামে বা শহরে এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে আম গাছ নেই তাই আম গাছের রোগ বালাই সম্পর্কে প্রত্যেকটা মানুষের জেনে রাখা খুবই জরুরী। আম গাছের এমন এমন রোগ রয়েছে যে রোগ আমরা অনেকে কোনদিন চোখেই দেখিনি। তাই আমরা অনেকেই বলে থাকি আম গাছে কি কি সার দিতে হয়। এর সহজ উত্তর হল আপনার আম গাছে কি ধরনের সমস্যা হয়েছে 

সেই সমস্যা দেখে সার নির্বাচন করতে হবে। কারণ আমগাছে বিভিন্ন ধরনের সার ব্যবহার করা যায় তাই আপনি যদি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিতে পারেন তাহলে আম গাছের অনেকগুলো রোগ সম্পর্কে জানতে পারবেন। এমনকি সেই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঔষধের নাম সহ কিভাবে ব্যবহার করতে হবে সকল কিছু জানতে পারবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url