গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় - গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার
আজকে আমরা জানবো গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় আপনি যদি এই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিতে পারেন। এছাড়াও এই আর্টিকেলে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আবার আপনি চাইলে ঔষধ না খেয়ে
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় |
বিভিন্ন ধরনের ফলমূল শাক-সবজি খেয়ে গ্যাস্ট্রিক থেকে চিরতরের জন্য মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়াও আমরা আলোচনা করেছি কোন কোন ব্যায়াম করলে চিরতরে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি গ্যাস্ট্রিক থেকে বেঁচে থাকতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পড়া শুরু করুন।
সূচীপত্রঃ গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়, গ্যাস্টিকে আক্রান্ত হয়নি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। কারণ গ্যাস্ট্রিক পরিচিত রোগ বলে সবাই চিনে থাকে যে রোগে কম বেশি সবাই আক্রান্ত হয়।চিকিৎসকেরা বলেন বেশিরভাগ সময় খাদ্যভ্যাসের কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। কারণ আমরা অনেক সময় হাট বাজারে গিয়ে
বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া খেয়ে থাকি এছাড়াও অতিরিক্ত জাল, মসলা জাতীয় খাবার খেলেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমাদের শরীরে অনেক সময় ব্যথার অনুভব সৃষ্টি হয় কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না এটা কিসের ব্যথা। তাই আজকে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়।
- গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বুকের মাঝ বরাবর হয়ে থাকে
- আবার অনেক সময় খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা জাগতে পারে
- আবার অনেক সময় দেখা যায় পেটের মাঝখানে চিনচিন করে
- বুকের বাম পাশে কিংবা ডানপাশে গ্যাস্টিকের ব্যথা জাগতে পারে
- পেটের উপরে অনেক সময় ধরে ব্যাথা হতে পারে
- আবার গ্যাস্ট্রিকের কারণে পিঠে এবং পেটে পাঁচ মিনিট যাবত ব্যথা হতে পারে
- এছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের কারণে বুক চিন চিন বুক ধরফর ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু এই ব্যথা সবার ক্ষেত্রে একরকম নাও হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর করার উপায়
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর করার উপায়, গ্যাস্টিক এমন একটি রোগ যখন গ্যাস্ট্রিকের চাপ দেয় শুধুমাত্র তখনই বোঝা যায় কতটা কষ্টদায়ক গ্যাস্টিকের ব্যথা। আমরা অনেকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করে থাকে।
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর করার উপায় |
কিন্তু চিকিৎসকেরা বলেন গ্যাস্ট্রিকের কারণে ঔষধ সেবন করা ঠিক নয়। তাই আমরা আজকে আপনাদের কিছু উপায় সম্পর্কে জানাবো যে উপায় গুলো এপ্লাই করলে সহজেই গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবেন।
পেঁপেঃ পুষ্টিবিদরা বলেন পেটের ব্যথা কমানোর জন্য পেঁপে ঔষধের চেয়ে ভালো কাজ করে।তাই আপনার যদি গ্যাস্টিকের চাপ দিয়ে থাকে তাহলে সাথে সাথে ২-১ ফালা পেঁপে খান। খাওয়ার সাথে সাথে দেখবেন ব্যথা কমে গেছে।
আদাঃ চিকিৎসকেরা বলেন যে ব্যক্তি নিয়মিত আদা খেতে পারবে তাকে কোনদিন গ্যাস্ট্রিক ধরতে পারবে না। তাই আপনার শরীরে গ্যাস্টিকের প্রভাব দেখা মাত্রই একফালি আদা চিবিয়ে খান।
গুড়ঃ আপনার শরীরে যদি গ্যাস্ট্রিকের কারণে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া শুরু করে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যথা কমানোর জন্য এক টুকরা গুড় মুখে নিয়ে চুষতে থাকুন যতক্ষণ না বলে শেষ হয়। তাহলে দেখবেন নিমিষেই গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর হয়ে গেছে কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে গুড় খাওয়া উচিত হবে না।
পুদিনা পাতাঃ পুষ্টিবিদরা বলেন নিয়মিত পুদিনা পাতার রস খেলে গ্যাস্ট্রিক থেকে চিরতরের জন্য মুক্তি পাওয়া যায়। তাই গ্যাস্ট্রিক জাগা মাত্রই পুদিনা পাতার রস খেতে পারেন তাহলে দেখবেন সাথে সাথে ব্যথা কমতে শুরু করেছে।
টকদইঃ খাবার পরে টক দই খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এর সাথে আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে খাবার পর নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। যার ফলে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাবেন।
মৌরিঃ মৌরি পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এমনকি গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতেও মৌরি অত্যন্ত কার্যকরী। কারণ মৌরিতে কিছু উপাদান দেখা যায় যে উপাদান গুলো পেটে জমে থাকা গ্যাস শুষে নিতে পারে।
পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ
পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ, আমরা অনেকেই পেটের গ্যাসের ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খুজে থাকি। কিন্তু চিকিৎসকেরা সবসময় গ্যাসের ব্যথা কমানোর জন্য ঔষধ থেকে দূরে থাকতে বলেন।
পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ |
তারপরেও আমাদের যখন অতিরিক্ত পেটে গ্যাসের চাপ দেয় তখন মাথা ঠিক থাকে না যার কারণে ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তাই আপনাদের জন্য জনপ্রিয় কিছু গ্যাসের ঔষধের তালিকা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
- সেকলো
- রেনিটিডিন
- এক্সিলক 20
- নিউ ট্রাক
- ওপি ২০
- সার্জেল
- ওর ট্রাক
- লোসেকটিল
- রাবিপ্রাজল
- মাক্সপ্রো
- ফিনিক্স ২০
- ইসোমিপ্রাজল বিপি
- এসিফিক্স
- প্যারিসেল
- ওমেনিক্স
- প্রোসেপ্টিন
- নেক্সাম
- ইসোরাল
- রেব
- ট্রুপান
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে উপরে দেওয়া যে কোন একটি ঔষধ গ্যাস্ট্রিকের জন্য সেবন করতে পারেন। সেজন্য অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেবেন। কারণ সবার শরীরে সব ধরনের গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ শুট করে না।
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়, আমরা অনেকেই গ্যাসের ঔষধ খেতে আগ্রহী নই তাদের জন্য বেশ কয়েকটি ঘরোয়া উপায় নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আমরা অনেকে জানিনা ঘরোয়া ভাবে গ্যাস্ট্রিক থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।আপনি যদি আমাদের দেওয়া ঘরোয়া উপায় গুলো এপ্লাই করতে পারেন তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় |
তুলসি পাতাঃ তুলসী পাতায় রয়েছে শীতলীকরন এবং বায়ুনাশক উপাদান যা আমাদের শরীরের গ্যাসটির দমন করতে সাহায্য করে। তাই আপনার যদি গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে তাহলে চার থেকে পাঁচটি তুলসীপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।
এলাচঃ এলাচ পাকস্থলীর খিঁচুনি দূর করে এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই তাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা রয়েছে তারা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন দুই থেকে তিনটি এলাচ গুড়ো করে সিদ্ধ করে পানি খেতে পারে।
লবঙ্গঃ আপনার পেটে কিংবা যেকোনো জায়গায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা মাত্র দুই থেকে তিনটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে দেখবেন নিমিষেই গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমে গেছে। কারণ লবঙ্গ গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
কলাঃ আমাদের অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের কারণে পেটে প্রচন্ড ব্যাথা হওয়া শুরু করে যার কারণে আমরা উঠতে পারিনা বসতে পারিনা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কলা খেতে পারেন কারণ কলা খেলে গ্যাসের সমস্যা কমে যায়।
রসুনঃ আপনার যদি প্রতিনিয়ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে তাহলে এই পরিস্থিতিতে সকালে কিংবা দুপুরে এক কোয়া করে কাচা রসুন খেতে পারেন। আপনি যদি এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন খেতে পারেন তাহলে দেখবেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।
পানিঃ আপনি যদি নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে পারেন তাহলে দেখবেন পেটে থাকা অতিরিক্ত গ্যাস বাইরে বের হয়ে যাবে।
অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকারে আসে যা বলে শেষ করার মত নয়। এলোভেরা পেটের গ্যাস্টিকের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
দারুচিনিঃ দারুচিনি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে চিকিৎসকেরা বলেন গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন আধা চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো করে এক কাপ পরিমাণ পানিতে মিশিয়ে সেদ্ধ করে ঠান্ডা করে খেতে পারেন। এই নিয়মটি প্রতিদিন দুইবার ফলো করুন।
শসাঃ শসা আমাদের পেটকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও শসায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং ফ্লেভানয়েড উপাদান যা পেটের গ্যাস্ট্রিক কমাতে সাহায্য করে।
ডাবের পানিঃ ডাবের পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী ডাবের পানি খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে গ্যাস্টিক থেকে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার
গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার, আমাদের কম বেশি সবারই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। কারণ আমাদের চারপাশে রয়েছে লোভনীয় খাবার যেগুলো নিয়মিত খাওয়ার কারণে শরীরে গ্যাস্ট্রিকের আবির্ভাব দেখা যায়। তাই আমরা গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ট্যাবলেট বা ঔষধ খেয়ে থাকি যার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলেন নিয়মিত বা দীর্ঘদিন যাবত
গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাওয়ার কারণে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগ। তাই আপনি চাইলে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ না খেয়ে গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পারেন। যে খাবার গুলো নিয়মিত খেলে ঔষধ ছাড়াই আপনার শরীর থেকে গ্যাস্ট্রিক দৌড়ে পালাবে। তাহলে চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার সম্পর্কে যা নিচে তুলে ধরা হলো।
আপেল সিডার ভিনেগারঃ হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।আপেল সিডার ভিনেগার খেলে পেট ব্যাথা সহ গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ক্যামোমিল টিঃ আপনি যদি নিয়মিত ক্যামোমিল টি চা খেতে পারেন তাহলে খুব সহজেই গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাবেন কোনরকম ওষুধ ছাড়াই। এছাড়া নিয়মিত ক্যামোমিল টি চা খেলে আলসার থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
কিসমিসঃ চিকিৎসকেরা বলেন নিয়মিত খালি পেটে কিসমিস ভেজানো পানি খেলে তাৎক্ষণিকভাবে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।কিসমিসে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যা পেটের গ্যাস্ট্রিক কমাতে সাহায্য করে।
পালংশাকঃ পালংশাক গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কারণ পুষ্টিবিদরা বলেন পালংশাক খেলে পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার থাকে এবং গ্যাস দূরে চলে যায়।
জিরাঃ আমরা কমবেশি সবাই রান্নার কাজে জিরা ব্যবহার করি। আপনি যদি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এক কাপ পানিতে সামান্য পরিমাণ জিরা মিশিয়ে হালকা ফুটিয়ে ছেকে খেতে পারেন। এতে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা সহ গ্যাস্ট্রিক কমতে শুরু করবে।
লেবুঃ সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার থাকে। যার ফলে আমাদের শরীরে গ্যাস্ট্রিক প্রবেশ করতে পারবে না।
বাদামঃ বাদাম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।এছাড়া আপনি যদি প্রতিদিন পরিমাণ মতো বাদাম খেতে পারেন তাহলে গ্যাস্ট্রিক কাছে আসতে পারবে না। কারণ বাদাম খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে যার কারণে গ্যাস্ট্রিক হয় না।
গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না
গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না, একটু ভাজা পোড়া খাওয়ার জন্য আমাদের পেটে বাসা বাধতে শুরু করে গ্যাস্ট্রিক যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আমাদের চারপাশে এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে নিমিষেই গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না |
আবার অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে খুব দ্রুত গ্যাস্ট্রিক বাড়তে শুরু করে। তাই যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা নিচের খাবারগুলো থেকে দূরে থাকবেন।
চর্বিযুক্ত খাবারঃ যাদের গ্যাস্ট্রিক রয়েছে তাদের চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।কারণ চর্বিযুক্ত খাবার হজম হতে অনেক সময় লাগে যার কারণে পাকস্থলী খালি হতে সময় নেয় যার কারণে পেট ব্যাথা হতে পারে।
পেঁয়াজঃ পেঁয়াজ আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী কিন্তু পেঁয়াজ খাওয়া অনেকের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে কারণ পেঁয়াজে রয়েছে কার্বোহাইড্রেড ফ্রুক্টন যা অনেকের ক্ষেত্রে হজম হতে সময় নেয়। যার কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মুলাঃ আমরা অনেকেই শীতের সিজনে মূলা খেতে পছন্দ করি।কিন্তু যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের মুলা খেলে পেট ব্যথা শুরু হতে পারে।তাই চিকিৎসকেরা বলেন গ্যাস্ট্রিকের রোগী মূলা খাওয়া উচিত নয়।
পাতাকপিঃ যাদের গ্যাস্ট্রিক বা বদহজম রয়েছে তাদের জন্য পাতাকপি খাওয়া উচিত নয়।কারণ পাতাকপির হজম শক্তি কম রয়েছে যার কারণে গ্যাস্ট্রিকের রোগী পাতাকপি খেলে পেট ব্যথা করতে পারে।
কাঁচা ছোলাঃ আমরা অনেকেই সকালে খালি পেটে কাঁচা ছোলা খেয়ে থাকি কারণ নিয়মিত কাঁচা ছোলা খেলে শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। কিন্তু যাদের বদহজম কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কাঁচা ছোলা খাওয়া উচিত নয়। কারণ কাঁচা ছোলা হজম হতে সময় নেয়।
আপেলঃ পুষ্টিবিদরা বলেন গ্যাস্ট্রিকের রোগীদের আপেল না খাওয়াই ভালো যদিও আপেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। আপেল গ্যাস্ট্রিকের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যার কারণে গ্যাস্ট্রিকের রোগীদের আপেল খাওয়া উচিত নয়।
গমঃ আমরা অনেকেই গমের বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি কিন্তু যাদের গ্যাস্ট্রিক রয়েছে তাদের জন্য গমের তৈরি খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ অনেকের ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
পপকর্নঃ পপকর্ন জনপ্রিয় খাবার কিন্তু এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার তাই যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের পপকর্ন খাওয়া উচিত হবে না। তাই আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ফাইবার যুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন।
মাংসঃ আবার অনেক সময় দেখা যায় গরুর মাংস খেলে গ্যাস্টিকের চাপ দেয়। এর কারণ হলো মাংসে থাকা প্রোটিন পাকস্থলীতে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে যার কারণে গ্যাস্ট্রিকের সৃষ্টি হয়। কিন্তু আপনি যদি মাংস ভালো করে চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে এই সমস্যা দেখা দিতে নাও পারে।
ওটসঃ আমরা অনেকেই ওজন কমানোর জন্য ওটস খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনার যদি হজমতন্ত্র দুর্বল বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে ওটস থেকে দূরে থাকুন।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম, গ্যাস্ট্রিক এমন একটি রোগ যা অনেক সময় ঔষধ খেয়েও দমন করা যায় না। এছাড়াও পুষ্টিবিদরা বলেন দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বসা বাড়তে শুরু করে। তাই গ্যাস্ট্রিক দমন করার জন্য প্রাকৃতিক খাবার এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন।
কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কি কি ব্যায়াম করলে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমরা আলোচনা করব বিশেষ কয়েকটি ব্যায়াম নিয়ে। যে ব্যায়ামগুলা করলে খুব সহজেই গ্যাস্ট্রিক থেকে দূরে থাকতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম |
আপনি যদি ছবিতে দেওয়া ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার শরীরে থাকা গ্যাস্ট্রিক নিমিষেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়, আপনি যদি গ্যাস্ট্রিক থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনার খাবার তালিকার দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার শরীর থেকে গ্যাস্ট্রিক চিরতরের জন্য দূর হয়ে গেছে। কিন্তু আপনি যদি একজন গ্যাস্ট্রিকের রোগী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে উপরে দেওয়া খাবারগুলো আপনার খাবার তালিকায় যোগ করতে পারেন
তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কিন্তু আপনি যদি চিরতরের জন্য গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে উপরে দেওয়া খাবার গুলো খাওয়ার পাশাপাশি ব্যায়াম করতে হবে। আপনি যদি এই দুটি কাজ একসঙ্গে নিয়মিত করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে গ্যাস্ট্রিক প্রবেশ করতে পারবে না।
আবার এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আমাদের শরীরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এমন খাবার খাওয়া যাবেনা যে খাবারগুলো খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দেয়। কোন কোন খাবার খেলে আমাদের শরীরে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে তা উপরে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আপনি চাইলে সেই খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে পারেন।
মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url