পেটে টিউমার চেনার উপায় - তলপেটে টিউমারের লক্ষণসহ বিস্তারিত জানুন

sentix এর কাজ কি জানতে ক্লিক করুনপেটে টিউমার চেনার উপায় আপনার শরীরে যদি টিউমারের আবির্ভাব ঘটে থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ভাইয়েরা টিউমারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে থাকে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলে শুধুমাত্র টিউমার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
টিউমার
পেটে টিউমার চেনার উপায়
আপনি যদি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন তাহলে জানতে পারবেন টিউমার অপারেশন করতে কত টাকা লাগে, আমাদের শরীরে টিউমার কেন হয়, কোন খাবার গুলো খেলে টিউমার ভালো হয়, হোমিওপ্যাথিক ঔষধ দিয়ে টিউমার দমন করা এছাড়াও জানতে পারবেন টিউমার থেকে কি ক্যান্সার হয়।

সূচীপত্রঃ পেটে টিউমার চেনার উপায়

পেটে টিউমার চেনার উপায়

পেটে টিউমার চেনার উপায়, পেটে টিউমার হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায় যে লক্ষণ গুলো দেখে খুব সহজেই বোঝা যায় পেটে টিউমারের সৃষ্টি হচ্ছে। পেটে টিউমার হওয়ার সময় যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় সেগুলো হলো। পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, অস্বস্তি বোধ, হঠাৎ পেট ফুলে যাওয়া, পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত বের হওয়া, 

অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি। এই লক্ষণগুলো যদি টানা পাঁচ থেকে সাত দিন দেখা দেয় তাহলে বুঝে নিবেন আপনার পেটে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অতি তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আপনি যদি এই লক্ষণগুলো দেখামাত্রই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করেন তাহলে কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই বেঁচে যাবেন।

তলপেটে টিউমারের লক্ষণ

তলপেটে টিউমারের লক্ষণ, বর্তমানে ২৫ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের তলপেটে টিউমারের লক্ষণ বেশি দেখা দিচ্ছে। তাই আমাদেরকে এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আপনি যদি শুরুতেই তলপেটের টিউমারের লক্ষণ বুঝতে পারেন তাহলে 
টিউমার
তলপেটে টিউমারের লক্ষণ

কোন ধরনের অপারেশন ছাড়াই তলপেটের টিউমার থেকে মুক্তি পেতে পারেন।তাই আপনাকে বুঝতে হবে তলপেটে টিউমার হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় যা নিচে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
  • তলপেটে টিউমারের লক্ষণ দেখা দিলে ঘন ঘন প্রসাবের চাপ দেয়। আবার অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
  • তলপেটে টিউমার দেখা দিলে অনেক নারীর ক্ষেত্রে গর্ভধারণের সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এমনকি গর্ভধারণে বাধা দিতে পারে।
  • তলপেটে টিউমার হলে নারীদের পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে সাধারণত একজন নারীর পিরিয়ড হলে পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায় কিন্তু তলপেটে টিউমার হলে ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত পিরিয়ড চলতে থাকে। এছাড়া রক্তপাতের পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়।
  • তলপেটে টিউমার হলে সহবাসের সময় অস্বস্তি বোধ কিংবা অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া শুরু করে যা একজন নারীর জন্য খুবই কষ্টদায়ক।
  • তলপেটে টিউমার দেখা দিলে তলপেট আকারে বড় হয় এবং ফুলে যায় এছাড়াও কোমর ব্যথা বা অবসর হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
  • তলপেটে টিউমার হলে রক্তে আয়রনের পরিমাণ অনেক অংশে কমে যায় যার জন্য রক্তের স্বল্পতা দেখা দেয়।
সাধারণত তলপেটে টিউমার হলে এই লক্ষণ গুলো বেশি দেখা যায় তাই আপনার যদি এই সমস্ত লক্ষণ গুলো বেশ কয়েকদিন ধরে দেখা দেয় তাহলে আপনার নিকটস্থ হাসপাতালে কিংবা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। আপনি যদি তলপেটের টিউমার থেকে খুব সহজে মুক্তি পেতে চান তাহলে বেশি
দেরি না করে অতি তাড়াতাড়ি একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। কারণ আপনি যদি এই সমস্ত লক্ষণ গুলো দেখেও ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে থাকেন তাহলে বড় ধরনের সমস্যায় পরতে পারেন। তাই অল্পতেই মুক্তি পেতে লক্ষণগুলো দেখামাত্রই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

পেটে টিউমার অপারেশন খরচ

পেটে টিউমার অপারেশন খরচ, একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে ২০২৪ সালে এক ফেব্রুয়ারি তারিখে একজন শিশু ঢাকা মেডিকেলে তার পেটের টিউমার অপারেশন করার জন্য ভর্তি হয়। কিন্তু ঢাকা মেডিকেলে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর অপারেশনের তারিখ নির্ধারিত হয় না। যার কারণে ছেলেটার বাবা মা ঢাকা মেডিকেল থেকে 

তার সন্তানকে নিয়ে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হয়। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ৬ তারিখ দুপুর ২ঃ০০ টায় গিয়ে পৌঁছায়। এরপর অধ্যাপক মোঃ আকরাম হোসেনের সাথে পরামর্শ করেন পরামর্শ করার পর আকরাম হোসেন তাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। এবং ভর্তি হওয়ার দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে অপারেশন সাকসেসফুল হয়। 
যে ছেলেটার পেটের টিউমার অপারেশন করা হয় সেই টিউমারের ওজন প্রায় ৮ থেকে ১০ কেজি ছিল। ডক্টর আকরাম হোসেন ছেলেটার বাবা মাকে বললেন আপনারা যদি আর কয়েকটা দিন দেরি করতেন তাহলে আপনার ছেলেকে বাঁচানো যেত না। ডক্টর আকরামের এ সমস্ত কথা শুনে ছেলের বাবা মা কাঁপতে শুরু করে। 

তখন ডক্টর আকরাম হোসেন ছেলেটার বাবা-মাকে বলেন এখন আর ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। অপারেশন করা হয়েছে পেট থেকে টিউমার বের করে দেওয়া হয়েছে আল্লাহ চাইলে খুব শীঘ্রই আপনার ছেলে সুস্থ হয়ে উঠবে। এবং আগের মতই কাজকর্ম এবং চলাফেরা খেলাধুলা করতে পারবেন এটা কোন ধরনের সমস্যা হবে না। 
কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মাত্র ২৫ হাজার টাকায় তার বাবা মা তার ছেলের পেটের ৮ থেকে ১০ কেজি ওজনের টিউমার অপারেশন করেন। সেই প্রতিবেদনে আরো বলেছেন বাংলাদেশেই যদি অন্য কোন বেসরকারি হাসপাতালে এই ধরনের টিউমার অপারেশন করতে চায় সে ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন লাখ টাকা খরচ হয়ে যেত।

পেটে টিউমার কেন হয়

পেটে টিউমার কেন হয়, পেটে টিউমার হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে যেগুলোর কারণে আমাদের পেটে টিউমার হয়ে থাকে। সাধারণত যে সমস্ত কারণে আমাদের পেটে টিউমার হয়ে থাকে তা নিচে তুলে ধরা হলো।

পরিবেশগত কারণেঃ ধূমপান,অ্যালকোহল পান,অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস এছাড়াও কিছু রাসায়নিকের সংস্পর্শে টিউমার হতে পারে।

জিনগত পরিবর্তনঃ জিনগত পরিবর্তন কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিভাজন ঘটাতে পারে, যার ফলে টিউমার তৈরি হতে পারে।
সংক্রমণঃ কিছু ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া টিউমারের বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারে।

অন্যান্য কারণঃ বয়স, স্থূলতা, প্রদাহ এবং হরমোনের পরিবর্তন টিউমারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন সাধারণত এই সমস্ত কারণেই পেটে টিউমার হয়ে থাকে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে আমাদের পেটে টিউমার হতে পারে। কিন্তু গবেষণায় প্রমাণিত মূলত এই কয়েকটি কারণেই আমাদের পেটে টিউমার বেশি দেখা যায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন পেটে টিউমার কেন হয়ে থাকে।

পেটে টিউমার হলে কোন ডাক্তার দেখাব

পেটে টিউমার হলে কোন ডাক্তার দেখাব, আপনার পেটে যদি টিউমার হয়ে থাকে তাহলে একজন ক্যান্সার/অনকোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে।যারা ক্যান্সার ও অনকোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তারা পাচনতন্ত্রের রোগের বিশেষজ্ঞ যার মধ্যে রয়েছে পেট, অন্ত্র, লিভার, পিত্তথলি এবং অগ্ন্যাশয় অন্তর্ভুক্ত। 
তাই আপনার পেটে যদি টিউমারের আশঙ্কা দেখা দেয় তাহলে নির্দ্বিধায় আপনাদের নিকটস্থ হাসপাতালে কিংবা সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ক্যান্সার/অনকোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে অপারেশন করতে পারেন।

পেটে টিউমার হোমিওপ্যাথি ঔষধ

পেটে টিউমার হোমিওপ্যাথি ঔষধ, পেটে টিউমার হলে অনেকে আস্তে আস্তে ডিপ্রেশনের দিকে চলে যায় কারণ আমরা বুঝতে পারি না কিভাবে আমাদের পেটের টিউমার থেকে মুক্তি পাবো।আপনার পেটের টিউমারের বয়স যদি কম হয়ে থাকে তাহলে কোন ধরনের অপারেশন ছাড়াই শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেয়ে আপনার পেটের টিউমার থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
টিউমার
পেটে টিউমার হোমিওপ্যাথি ঔষধ

কিন্তু আপনার পেটের টিউমার যদি পুরাতন হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেলে পেটের টিউমার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।যেমনঃ calcarean carb, siliquae, Belladonna, causticum,mercsol, calcarea flour, colcynth, colcynth, 
thuja,apis,staphysag, mercsol, acid nit, kreasote, arnica, phytollacca, conium, apocynum ইত্যাদি। একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে এখান থেকে যেকোনো একটি ঔষধ নিয়মিত নিয়ম মেনে খেতে পারেন। তাহলে দেখবেন অল্প কয়েকদিনের ভিতরে আপনার পেটের টিউমার আস্তে আস্তে গোলতে শুরু করেছে।

টিউমার হলে কি খাওয়া নিষেধ

টিউমার হলে কি খাওয়া নিষেধ, স্বাভাবিকভাবে টিউমার রোগীদের তেমন কোন খাবার নেই যেগুলো খাওয়া নিষেধ। কিন্তু এর মধ্যেও টিউমার রোগীদের কয়েকটি খাবার না খাওয়াই বেটার হবে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবার সম্পর্কে। যে খাবারে অতিরিক্ত তেল যুক্ত থাকে সেই খাবারগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। ফ্রিজের খাবার খাওয়া যাবে না। 
যে খাবার কাচাযুক্ত সেই খাবার খাওয়া যাবে না। অধিক পরিমাণে চিনি খাওয়া যাবেনা এবং আচার খাওয়া যাবে না। এছাড়াও প্রক্রিয়াজাত মাংস থেকে দূরে থাকতে হবে। আপনি চাইলে এই সমস্ত খাবার এড়িয়ে চলতে পারেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টিউমার হলে কোন খাবার খাওয়া বাধা নেই বললেই চলে তারপরেও আপনি চাইলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে খাবার খেতে পারেন।

কি খেলে টিউমার ভালো হয়

কি খেলে টিউমার ভালো হয়, এখন আপনাদের জানাবো কোন প্রকার ঔষধ কিংবা অপারেশন ছাড়াই আপনার পেটের কিংবা যে কোন জায়গার টিউমার ভালো করতে পারেন। এইমাত্র কয়েকটি খাবার খেয়ে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবার সম্পর্কে যেগুলো খেলে টিউমার দূরে চলে যাবে।

মৌসুমী শাকসবজিঃ মৌসুমের সময় বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি দেখা যায় আপনার খাবার তালিকায় নিয়মিত সবুজ শাকসবজি যোগ করতে হবে। মৌসুমী সবুজ শাকসবজির মধ্যে রয়েছে পালং শাক, লেটুসপাতা, ফুলকপি, ওলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, গাজর, সিম জাতীয় সবজি, এছাড়া সেই সমস্ত সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল যুক্ত খাবার টিউমার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
হলুদঃ হলুদ আমরা প্রত্যেকেই রান্নার কাজে ব্যবহার করি কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা হলুদ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী কারণ ুদ হলুদ আমাদের শরীরের অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে ক্যান্সারের মত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এছাড়াও সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দুধের সাথে মিশিয়ে এক টুকরা কাঁচা হলুদ খেতে পারেন এতে টিউমার থেকে মুক্তি দিবে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

পানিঃ আপনি যদি নিয়মিত প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার শরীরে থাকার টিউমার আস্তে আস্তে গোলতে শুরু করেছে। কারণ অতিরিক্ত পানি পান করলে শরীরে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়া পানির সাহায্যে বাইরে চলে আসে।
ছোট মাছঃ আপনি যদি টিউমার থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ খেতে পারেন কারণ ছোট মাঝে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল যা টিউমার দমন করতে সাহায্য করে।

মাশরুমঃ আপনার শরীরে থাকা টিউমারকে দমন করার জন্য নিয়মিত মাসরুম খেতে পারেন কারণ মাসরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনের এসিড যা আপনার শরীরে থাকা টিউমারকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
বেলঃ আপনার শরীর থেকে টিউমার কে সরিয়ে ফেলতে বেল খেতে পারেন কারণ বিশেষজ্ঞরা বলেন নিয়মিত বেল খেলে টিউমার গোলতে সাহায্য করে।

দুধঃ টিউমার থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন ধরনের দুধ জাতীয় খাবার খেতে পারে না কারণ দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

টিউমার থেকে কি ক্যান্সার হয়

টিউমার থেকে কি ক্যান্সার হয়, যাদের শরীরে টিউমার আক্রমণ করে তারা অনেকেই ভয় পায়। কারণ আমাদের আশেপাশের অনেকেই বলেন যে টিউমার থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলেন সব টিউমার থেকে ক্যান্সার হয় না। টিউমার হলো শরীরের কোন অংশে অস্বাভাবিকভাবে কোষের জমা হওয়া। 

টিউমার সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে তার মধ্যে একটি হলো বেনাইন টিউমার এবং অপরটি হল ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। আপনার যদি বেনাইন টিউমার হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে ক্যান্সার হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ বেনাইন টিউমার সাধারণত ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং আশেপাশের টিস্যুতে ছড়াতে পারে না। 
কিন্তু আপনার যদি ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ম্যালিগন্যান্ট টিউমার দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং আশেপাশের টিস্যুতে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।তাই আপনার যদি ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হয়ে থাকে 

তাহলে যত দ্রুত সম্ভব একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। কারণ ম্যালিগন্যান্ট টিউমার দীর্ঘ সময় থাকলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন টিউমার থেকে কি ক্যান্সার হয়।

টিউমার কোথায় কোথায় হয়

টিউমার কোথায় কোথায় হয়, এই প্রশ্নটি নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন তাই আজকে আমি আপনাদের ক্লিয়ার করার চেষ্টা করব। টিউমার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে হতে পারে আজকে আমরা আলোচনা করব কমন কিছু স্থান নিয়ে সেখানে বেশিরভাগ সময় টিউমার দেখা যায়। তার মধ্যে রয়েছে
মাথা ও ঘাড়, ফুসফুস, স্তন, কোলন এবং মলদ্বার, প্রোস্টেট, ত্বক, হাড়, মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ড ইত্যাদি জায়গায় টিউমার সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করে। এগুলো ছাড়াও আপনার শরীরের যেকোনো অঙ্গে প্রত্যঙ্গে টিউমার হতে পারে।

টিউমার ফেটে গেলে কি হয়

টিউমার ফেটে গেলে কি হয়, টিউমার ফেটে গেলে কি হবে তা নির্ভর করছে টিউমারের ধরন, অবস্থান এবং আকারের উপর। চিকিৎসাকেরা বলেন টিউমার ফেটে গেলে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হতে পারে যা জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে। আবার টিউমার ফেটে গেলে জীবাণু প্রবেশ করে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। 

এছাড়া টিউমার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাছাকাছি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ফেটে গেলে অঙ্গটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমনকি কিছু ক্ষেত্রে টিউমার কেটে গেলে মৃত্যুও হতে পারে।

মস্তিষ্কের টিউমার ফেটে গেলে মস্তিষ্কে রক্তপাত হতে পারে, যার ফলে স্থায়ী স্নায়বিক ক্ষতি বা মৃত্যু হতে পারে।

ফুসফুসের টিউমার ফেটে গেলে ফুসফুস ভেঙে পড়তে পারে, যার ফলে শ্বাসকষ্ট এবং মৃত্যু
হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পেটের টিউমার ফেটে গেলে পেটের গহ্বরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে জীবন-হুমকির অবস্থা তৈরি করতে পারে।

তাই আপনি যদি চিন্তা করে থাকেন যে টিউমার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু একটা দিয়ে আঘাত করে টিউমার ফাটা দেব তাহলে আজকেই এই সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে আসুন। কারণ আপনি যদি এই কাজটি করতে যান তাহলে আপনার বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে যা আপনি সামাল দিতে পারবেন না।

টিউমার দেখতে কেমন হয়

টিউমার দেখতে কেমন হয়, টিউমার দেখতে বিভিন্ন রকম হতে পারে কারণ এগুলো শরীরের যেকোনো টিস্যুতে বৃদ্ধি পেতে পারে। কিছু টিউমার শক্ত এবং গোলাকার হয় এবং অন্যগুলো নরম এবং ছত্রাক হয়। আবার কিছু টিউমার মসৃণ এবং সমতল, অন্যগুলি খাড়া এবং অসম হয়।

টিউমারের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখে বোঝা যায় যেমন একটি গিঁট বা ফোলাভাব, ত্বকের রঙের পরিবর্তন, ব্যথা, রক্তপাত, ক্লান্তি, ওজন কমানো ইত্যাদি। এছাড়া কিছু টিউমার কোন ধরনের লক্ষণ দেখা যায় না শুধুমাত্র ইমেজিং পরীক্ষার সময় আবিষ্কৃত হয়।

শেষ কথা

চিকিৎসকেরা বলেন আপনার শরীরে যদি কোন ধরনের টিউমার হয়ে থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করে নিন। কারণ টিউমার দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু আপনি যদি টিউমারের লক্ষণ দেখা মাত্রই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা শুরু করেন

তাহলে কোন প্রকার অপারেশন ছাড়াই টিউমার থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কারণ যে টিউমারের বয়স একেবারেই কম সে সমস্ত টিউমার বিভিন্ন খাবার বা ঔষধ খেয়ে দমন করা সম্ভব। তাই আপনি যদি টিউমার থেকে বেঁচে থাকতে চান তাহলে টিউমারের লক্ষণ দেখা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আল্লাহ হাফেজ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url