পেঁপে চাষের পদ্ধতি - পেঁপের খাওয়ার উপকারিতা
আম গাছে স্প্রে করার নিয়ম জানতে ক্লিক করুনআজকের এই আর্টিকেলে পেপে চাষের সকল পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি হাইব্রিটি পেঁপে চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও আমাদের আর্টিকেলে উল্লেখ করা হয়েছে, পেঁপের বিচ রোপন থেকে শুরু করে পেঁপের চারা রোপন পদ্ধতি সম্পর্কে।
এবং পেঁপে গাছের পাতা কোকড়ানো রোগের সমাধান কিভাবে করবেন এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এবং হাইব্রিড পেপে কিভাবে চাষ করতে হয় তার লিখিত বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এরপর আপনি যদি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে শেষ করেন তাহলে জানতে পারবেন পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা। আরো জানতে পারবেন হাইব্রিড জাতের পেঁপের বৈশিষ্ট্য সমূহ।
সূচিপত্রঃ পেঁপে চাষের পদ্ধতি
- পেঁপে চাষ
- পেপে চাষের পদ্ধতি
- হাইব্রিটি পেঁপে চাষের পদ্ধতি
- পেঁপে গাছের পাতা কোকড়ানো রোগ
- হাইব্রিড জাতের পেঁপের বৈশিষ্ট্য
- পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা
- পেঁপে খাওয়ার অপকারিতা
- শেষ কথা
পেঁপে চাষ
পেঁপে চাষ করতে চাইলে আপনাদের প্রথমে পেঁপে চাষ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে হবে। সম্পূর্ণ পেপে চাষ পদ্ধতি জ্ঞান লাভ করে পেঁপে চাষ করলে আপনি ভাল ফলন ফলাতে পারবেন। সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ না করে আপনি যদি পেঁপে চাষ করতে চান তাহলে ভালো ফলন ফলাতে পারবেন না।
পেপে চাষের পদ্ধতি
আপনি যদি পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করে রোপন করেন তাহলে চারা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। ৬.৫ইঞ্চি . আকারের পলিব্যাগে বালি, মাটি ও পচা গোবরের মিশ্রণ তৈরি করে ব্যাগের তলায় ৫/৬ টি ছিদ্র করে দিন। তারপরে সেখানে পেঁপের বীজ রোপন করুন। পেঁপের বীজ রোপন করা পলিগুলো উর্বর একটি স্থানে রাখুন । এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে সব সময় আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে।
প্রত্যেকটি মাটি, বালি ও গোবর মাখা পলিতে ৫/৭ টি পেঁপের বিচ রোপন করবেন । চারার বয়স দেড় থেকে দুই মাস হয়ে গেলে চারাগুলো তখন জমিতে রোপন করবেন। দেড় থেকে ২ মিটার দূরে দূরে ১ ফুট পরিমাণ গর্ত করে জৈব সার দিয়ে রাখবেন রোপনের ১০ দিন আগে থেকে। আপনি যদি বাণিজ্যিকভাবে পেপে চাষ করতে চান তাহলে বর্গাকার পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
প্রতিটি গর্ততে তিনটি করে চারা রোপন করুন। ফুল আসার পরে একটি স্ত্রী গাছ রেখে বাকি গাছগুলো কেটে ফেলুন। পরাগায়নের সুবিধার জন্য বাগানের স্ত্রী গাছের তুলনায় ১০% পুরুষ গাছ রাখুন ।
হাইব্রিটি পেঁপে চাষের পদ্ধতি
পেঁপে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে চাষ হয়। এটি এমন একটি ফল যা মানুষ কাঁচা অবস্থায় সবজি হিসেবে খেয়ে থাকে এবং পাকলে ফল হিসেবে খায়। পেঁপের অনেক ঔষধি গুন রয়েছে।পেঁপের অনেক জাত রয়েছে তবে বর্তমানে হাইব্রিড জাতের পেঁপের চাষ বেশি হচ্ছে। বেশি লাভের আশায় বর্তমান পেপে চাষিরা হাইব্রিড চাষের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে।
পেঁপের চারা তৈরি
বিচ থেকে বংশবিস্তার করাতে হবে। বীজের প্যাকেট কেটে দুই ঘণ্টা বীজ রোদে শুকাতে হবে। তারপর ঠান্ডা করে ৮ থেকে ১২ ঘন্টা পানিতে ভেজানোর পর পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করতে হবে। পলিথিন বেগে চারা তৈরি করলে রোপনের পর চাড়া দ্রুত বৃদ্ধি পায় । এরপর ৬.৫ইঞ্চি . আকারের পলিব্যাগে বালি, মাটি ও পচা গোবরের মিশ্রণ তৈরি করে ব্যাগের তলায় ৫/৬ টি ছিদ্র করে নিন।
তারপরে সেখানে পেঁপের বীজ রোপন করুন। পেঁপের বীজ রোপন করা পলিগুলো উর্বর একটি স্থানে রাখুন । মনে রাখবেন সেখানে যেন আলো বাতাস সম্পূর্ণভাবে পায়। প্রত্যেকটি মাটি, বালি ও গোবর মাখা পলিতে ৫/৭ টি পেঁপের বিচ রোপন করবেন।
পেঁপে রোপনের সময়
আশ্বিন সেপ্টেম্বর - অক্টোবর এবং পৌষ মাস, ডিসেম্বর- জানুয়ারি মাসে পেঁপের বীজ বপণের উপযুক্ত সময়। বীজ বপণের ৪০ থেকে ৫০ দিন পর চারা রোপনের উপযুক্ত সময়।
পেঁপে চারা রোপন
দের থেকে দুই মাস বয়সে চারা রোপন করা যায়। এক শাড়ি থেকে অন্য শাড়ির দূরত্ব ২ মিটার পর পর হতে হবে । চারা রোপনের ১৫ দিন পূর্বে ২ মিটার দূরে দূরে এক ফুট করে গর্ত করে রাখতে হবে। তারপর পানি দেওয়ার জন্য দুই শাড়ির মাঝখানে ৫০ সেমি লালা রাখতে হবে।
সার ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি
চারা লাগানোর পর নতুন পাতা গজালেই ইউরিয়া ও এমপি সার ৫০ গ্রাম করে প্রতি এক মাস অন্তর প্রয়োগ করতে হবে। গাছে ফুল আসলে সারের মাত্রা দ্বিগুণ করতে হবে। এমন কি শেষ ফল সংগ্রহ করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সাড় দিতেই হবে।
পেঁপে গাছের পরিচর্যা
পেপে বাগান সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। গাছের গোড়া থেকে আগাছা দূর করে ফেলে দিতে হবে। প্রতিটা গাছের গোড়ার মাটি কোদাল দিয়ে হালকা করে উড়বর করে দিতে হবে। গাছে অতিরিক্ত ফল ধরলে কিছু ফল ছিড়ে দিতে হবে এবং বাকি ফল বড় হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।আবার পেঁপে গাছে বিভিন্ন রকমের হরমোন প্রয়োগ করে বেশ ফুল পাওয়া যেতে পারে ।
পেঁপে গাছের পাতা কোকড়ানো রোগ
পেঁপে গাছের পাতা কোকড়ানো রোগ হলে, উপরের দিকের পাতাগুলো ক্রমাগত নিচের দিকে ও ভিতরের দিকে মুখ করে গুটিয়ে যায়। পাতার শিরা গুলো মোটা হয়ে যায় ও মধ্যবর্তী স্থানে ফাঁকা হয়ে যায়। পাতাগুলো চামড়ার মত খসখসে হয়ে যায়। পাতা মোচড়ের ফলে গাছের বৃদ্ধি কমে যায়। এবং মাত্র কয়েকটি ছোট ও বিকৃত আকারের ফল গাছে অবস্থান করে।
জৈব রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ
সাদা তেলের নির্যাস ১ % স্প্রে করলে জাব পোলার মাধ্যমে এই ভাইরাসটির বিস্তার বাঁধা পাপ্ত করা যাবে।পেঁপে গাছের পাতা কোকড়ানো রোগে যৌগিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ভাইরাসে আক্রান্ত বিরুদ্ধে কোন রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।
আরো পড়ুনঃ আম গাছের ছত্রাক নাশক ঔষধ
তবে সাদামাছির বংশবিস্তার সীমিত রাখার মাধ্যমে এই রোগের তীব্রতা কোমানো যেতে পারে। এবং ডাইমেথোয়েট DIMETHOATE বা মেটাসিস্টক্র METASYSTOX ৪-৫ বার পাতায় স্প্রে করলে সাদামাছি বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
হাইব্রিড জাতের পেঁপের বৈশিষ্ট্য
১। হাইব্রিড জাতের প্রত্যেকটি গাছেই প্রচুর পরিমাণে পেঁপে ধরে।
২। হাইব্রিড জাতের পেঁপে গাছ সর্বোচ্চ ১০ ফিট হয়ে থাকে।
৩। গাছের উচ্চতা ৬০-৭০ সেন্টিমিটার হলেই ফল ধরা শুরু করে।
৪। প্রতিটি গাছে ৬০ থেকে শুরু করে ১৩০ পর্যন্ত পেঁপে ধরে।
৫। ৪-৫ মাসের মধ্যেই ফুল আসে এবং প্রথম ফল পাওয়া যায় ৭-৮ মাসের মধ্যে।
৬। হাইব্রিড জাতের পেঁপে আকারে বেশ বড় হয়।
৭। ফলের রং লাল ও সবুজ আকৃতির হয়ে থাকে।
৮।হাইব্রিড জাতের পেঁপের ওজন দুই থেকে তিন কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর থেকে বেশি হয়।
আরো পড়ুনঃ আমের মাছি পোকা দমন
৯। হাইব্রিড জাতের পেপের মাংস বেশ পুর, গাড়ো লাল রঙের, খেতে মিষ্টি এবং সুগন্ধযুক্ত হয়ে থাকে।
১০। পাকা এবং কাঁচা উবাই রকমের পেঁপেই বাজারজাত করা যায়।
১১। হাইব্রিড জাতের পেঁপে পাকা অবস্থায় সহজে নষ্ট হয় না। তাই দূর দূরান্তে বাজারজাত করা যায়।
১২।হাইব্রিড জাত পেঁপে রিং স্পট ভাইরাস রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
১৩। হাইব্রিড জাতের পেঁপের জীবনকাল দুই বছরের অধিক হয় ।
পেঁপের খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
গ্রাম বাংলার খুব পরিচিত একটি ফল পেঁপে। এই ফলের পুষ্টিগুণ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ফলটি খুবই কার্যকরী। কারণ এই হৃদ যন্ত্র ভালো রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এবং হজম শক্তি বাড়ানোসহ অনেকগুলো শারীরিক উপকারিতা রয়েছে। পেঁপের খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বলে শেষ করার মত নয় এবং খেতে খুবই সুস্বাদু।
আরো পড়ুনঃ আম গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি
এই পেপেতে প্রতি ১০০ গ্রামে ৩৯ ক্যালোরি রয়েছে এবং প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আশ ও ভিটামিন এ,বি,সি, ডি রয়েছে।এছাড়াও পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও অ্যালবুমিন এনজাইম রয়েছে পেঁপেতে। পেঁপে অনেক রোগ সারাতে কার্যকারী এটি শত শত বছর ধরে প্রমাণিত হয়ে আসছে। হজম শক্তির জন্য পেপে খুবই উপকারী।
মাঝেমধ্যে পোকা মাকড়ের কামড় অল্প পোড়া ক্ষতস্থানে পেঁপের জুস লাগালে উপকার পাওয় যায়। সারা বিশ্বে কসমেটিক তৈরিতে পেঁপের ব্যাপক ব্যবহার হয়ে আসছে। কারণ পেপে লিবার ও ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে। আবার আস্তে আস্তে ক্ষতিকর উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। পেঁপে খেলে শরীর সতেজ হয় এবং যৌবন শক্তি ফিরে পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ আম গাছে সার প্রয়োগের পরিমান
আপনার যদি পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড দেখা দেয় তাহলে পেপে খাওয়ার মাধ্যমে এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাই যারা গ্যাস্টিক ও বুক জ্বালায় ভুগছেন তাদের জন্য পেঁপে খুব উপকারী একটি ফল। বারণ তো শিশুদের জন্য পেঁপে একটি আদর্শ মানের খাবার বলে সবাই চিনে থাকি।
পেঁপের উপকারিতা
চলুন পেঁপের আরো উপকারিতা জেনে আসি- পেঁপে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,সম্প্রীতি জাপানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপে খেলে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিজেন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আরো প্রমাণিত হয়েছে যে, পেঁপে গাছের মূল ও ফুল কিডনি রোগ ব্রংকাইটিস ও জন্ডিস সারাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও আথ্রাইটিস সারায়,বেশ কিছু গবেষণায় জানা গেছে কাইমোপ্রাপিন নামক এনজ়াইম থাকাই পেঁপের ওসটিওআথ্রাইটিস ও রিউমেটয়েড রোগ সারাতে দুর্দান্ত কাজ করে। নারীদের রজ়স্রাপ সমস্যায়, যেসব নারীর অনিয়মিত মাসিক হয় তাদের জন্য পেঁপের জুস খাওয়া অনেক উপকার রয়েছে। এক্ষেত্রে কাঁচা পাকা উভয় সমস্যার সমাধান করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ আম গাছের পাতা পোড়া রোগ
যেহেতু এই ফল শরীর উত্তপ্ত করে তাই এটি হট ফুট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, পেঁপেতে প্রচুর ভিটামিন ই,সি ও ফলেট থাকায় মল ত্যাগের সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কাঁচা পেঁপে ও তার জুস হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। পেপেতে থাকা আশ বাওয়েল মুভমেন্ট স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ আম গাছের আঠা ঝরা রোগ
এতে করে মলত্যাগের সমস্যা সমাধান হয়। বার্ধক্য দৃষ্টি শক্তিহীনতা দূর করে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ায় যে আশঙ্কা দেখা দেয় তা দূর করে নিয়মিত পেঁপে খাওয়া মাধ্যমে। পেপেতে থাকা বিটা ক্যালোরিটিন নামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের যন্ত্রণা সারায়, এতে থাকা কামুকেপিন ও প্যাপিন এনজ়াইম শরীরের যন্ত্রণা সারাতে সাহায্য করে।
শরীরের কোথাও পুড়ে গেলে পেঁপের নির্যাস ব্যবহার করে স্বস্তি পাবেন। ব্রণ সারাতে সাহায্য করে পেঁপে,মুখ মন্ডলে ময়লা জমার কারণে যে ব্রণ সৃষ্টি হয়,নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার মাধ্যমে তা দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও পেঁপের ভিতরের অংশ মাক্স হিসেবে ব্যবহার করে মুখের ব্রণ দূর করতে পারবেন।
পেঁপের অপকারিতা
পুষ্টিবিদরা বলেন পেঁপে খাওয়ার তেমন কোন অপকারিতা দেখা যায় না। কিন্তু আপনি যদি পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত খেতে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা রোগ বাসা বাধতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেই কাদের জন্য পেঁপে খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। যে সমস্ত মা-বোনেরা গর্ববতী হয় তাদের জন্য পেঁপে ক্ষতিকর।
আরো পড়ুনঃ এমিস্টার টপ কখন দিতে হয়
পেটে সন্তান থাকা অবস্থায় মা-বোনেরা পেপে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। পেটে সন্তান থাকা অবস্থায় পেঁপে খেলে সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পেঁপের কালো বিচিগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পেঁপের বিচিতে টক্সিক এনজাইম কারপাইন দেখা যায়। যা মস্তিষ্কে অসাড়তা তৈরি করে এবং কার্ডিয়াক ডিপ্রেশন বা প্যারালাইসিস তৈরি করতে পারে।
কাঁচা পেঁপের কস বিষাক্ত ও ক্ষতিকর হয়। কাঁচা পেটের কষ শরীরে চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। এটি প্রাণ করলে বিষক্রিয়া ও বদ হজম হতে পারে।
শেষ কথ
আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের পাশে থেকে প্রতিনিয়ত আপনাদের সেবা করে যাওয়। আপনাদের জীবন যাত্রার নানাবিদ সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ় করে যাওয়া। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পর্কে যেমন পেঁপে চাষের পদ্ধতি থেকে শুরু করে পেঁপের চারা রোপণ এবং হাইব্রিড পেঁপের বৈশিষ্ট্য, পেঁপে গাছের পাতা কোকড়ানো রোগের সমাধান, এবং পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এরকম হাজারো অজানা তথ্য আমাদের কাছ থেকে জানতে পারবেন। তাই আমাদের পেজটাকে ফলো দিয়ে রাখুন ভালো লাগলে শেয়ার করুন। আর আপনার কোন বিষয়ে জানার প্রয়োজন আছে আমাদেরকে কমেন্ট করে বলতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url