কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা - কচু খেলে গলা চুলকায় কেন
আজকের আর্টিকেলটা লেখা হয়েছে কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।পুষ্টিগুণে ভরপুর কচুর লতি। তাই কচুর লতির উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের আর্টিকেলটি এক্ষুনি সম্পূর্ণ পড়ে নিন।তাছাড়া আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনারা জানতে পারবেন, কচু শাকের উপকারিতা
কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা |
ও অপকারি্তা, গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা, কচু খেলে গলা চুলকায় কেন,কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা,এবং কচুর শাক খেলে এলার্জি হয় কেন। বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে নিন।
সূচীপত্রঃ কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা
কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা.কচু এমন একটা সবজি যার আগাগোড়া কিছুই ফেলতে হয় না সবই খাওয়া যায়।কচুর গোড়া থেকে শুরু করে পাতা ফুল সবই সবজি হিসেবে খাওয়া যায়।কচুর অনেক ধরনের জাত রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো
- মান কচু
- দুধ কচু
- মুখি কচু
- জল কচু
- ওল কচু
- পঞ্চমুখী কচু
- জাত কচু ও আজাদ কচু , ইত্যাদি আরো অনেক রকমের কচু রয়েছে।
কচু শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে।আর ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।তাছাড়া কচুর শাকের মধ্যে আরও রয়েছে স্যাপোনিনস, কার্বোহাইড্রেট,টেনিনস এবং ফ্লাবনয়েড যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কচুর ডাগু এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণের জল থাক।গ্রীষ্মকালীন সময় গরোমে আমাদের শরীরের জল শুকিয়ে যায়
তাই কচুর ডাঁটি রান্না করে খেলে জলের ঘাটতি পূরণ হয়। নিয়মিত কচুর শাক খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।কচুর সাথে রয়েছে ভিটামিন সি। তাই এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।তাছাড়াও কচুর শখ হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়ন। যার রক্তশূন্যতা রোধ করে। রক্তের চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
যারা রক্তশূন্যতাই ভোগে তাদের জন্য কচু বিশেষ উপকারী।নিয়মিত কচু খাওয়ার ফলে ব্লাড ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। কচুর মধ্যে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন,থায়ামি্ন,ফোলেট।এই উপাদান গুলো আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারি।
প্রতি ১০০ গ্রাম কচু শাকের রয়েছে
- জিংক-- ০.২৭ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম–৪৮৪ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস— ৭৬ মিলিগ্রাম
- ম্যাঙ্গানিজ— ০.৪৪৯ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম —৩০ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন ই — ২.৯৩ গ্রাম
- ভিটামিন এ — ৪.৫ গ্রাম
- আয়রন —১০ মিলিগ্রাম
- ফ্যাট— ০.১১ গ্রাম
- ফাইবার— ৫.১ গ্রাম
- শর্করা—৬.৮ গ্রাম
- প্রোটিন—৩.৯ গ্রাম
- ভিটামিন বি ১—০.২২ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি ২—০.২৬ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন সি—১২ মিলিগ্রাম
- ফ্যাট—১.৫ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম—-২২৭ মিলিগ্রাম
- খাদ্য শক্তি–৫৬ কিলো ক্যালরি
এবার আমরা জানবো কচু শাকের উপকারিতা
১.কচুশাক দাত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে
কচুর শাক দাঁত ও হাড় গঠনের সাহায্য করে। কেননা, কচু শাকের মধ্যে আছে বিপুল পরিমাণের ক্যালসিয়াম, ম্যাগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ও ফসফরাস।যা আমাদের দাঁত এবং হাড় গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও ক্ষয় প্রতিরোধ করতে কচু শাকের তুলনা অপরিসিম।তাই দাঁত এবং হার ভালো রাখতে আমরা প্রতিনিয়ত কচুর শাক খাব।
২. কচু শাক রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
কচুর শাক রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে কারণ কচুর শাকের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়ন। আর এ আয়ন আমাদের রক্তশূন্যতা রোগে বোগা থেকে রক্ষা করে। যে সমস্ত রোগীরা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তারা নিয়মিত কচুর শাক খাবেন এবং প্রয়োজনের ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
৩.কচুর শাক রাত কানা রোগ প্রতিরোধ করে।
কচুর শাকের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিন এ। আর ভিটামিন এ আমাদের রাতকানা চোখে ছানি পড়া এছাড়াও অন্যান্য চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে তোলে। রাতকানা রোগ সারিয়ে তুলতে কচু শাকের তুলনা অপরিসীম।
৪.কচুর শাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
কচুরসা কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে কারণ কচু শাকের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা খাবারকে খুব সহজেই হজম করে। যে সমস্ত রোগীরা কোষ্ঠকাঠিন্যতায় ভুগছেন তারা নিয়মিত কচুর শাক খাবেন। কচু শাক খেলে আপনার সমস্যার সমাধান হবে।
৫.কচুর শাক শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
কচু শাকের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি। আর এর ফলে লৌহ উপাদান আমাদের দেহে আবির্ভাব হয়ে যায়।ভিটামিন সি আমাদের শরীরের ক্ষত সারাতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।তাই আমরা বাচ্চাদেরকে ছোট থেকেই কচুর শাক খাওয়ানোতে অভ্যস্ত করব।
৬.কচুর শাক অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
আমাদের শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে কচুর শাক প্রচুর পরিমাণ প্রয়োজন।এই কচুর শাকের মধ্যে রয়েছে আয়ন এবং ফোলেট।যা আমাদের শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।এর ফলে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিকঠাক থাকে।এতে উপস্থিত ভিটামিন রক্তপাতের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৭.কচুর শাক উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
কচুর শাক রক্তে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য কচু শাক উপকারী একটি খাদ্য।নিয়মিত কচু শাক খেলে সব ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
৮.কচু শাক হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
কচুর শাকের মধ্যে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।তাই কষ্ট কাঠিন্য দূর করতে নিয়মিত কচুর শাক খাওয়া প্রয়োজন।হজম শক্তি বাড়াতে আমরা কচুর সাক খাব। কচুর শাক খেলে কারো কারো গলা চুলকানি হতে পারে কারণ কচু শাকের মধ্যে আছে এক্স সিলেট নামক একটি উপাদান এজন্য কচুর শাক বা কচু রান্না করার সময় লেবুর রস দিয়ে রান্না করতে হবে।
যাদের শরীরে চুলকানি এলার্জির মত সমস্যা আছে তাদের কচুর শাক না খাওয়াটাই ভালো কারণ অতিরিক্ত কচুর শাক খেলে গ্যাস অম্বলের মত সমস্যা হতে পারে
গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা.গর্ব অবস্থায় কচুর শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য আজকে আপনাদেরকে আমরা জানাবো।গর্ভ অবস্থায় মহিলাদের খাদ্য প্রণালীতে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।তাই কচুর শাক খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিলে ভালো হবে।কচুর শাক প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে।
তাই গর্ব অবস্থায় কচুর শাক খাওয়া অনেক উপকার রয়েছে।কচুর শাক একটি পুষ্টি কার সবজি যা ভিটামিন, খনিজ, ফোলেট, আয়রন এবং আমিনো এসিড প্রদান করে।এটি গর্ভবতী মা বোনদের জন্য মৌলিক পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। গর্ভকালীন সময়ে এবং সন্তান প্রসবের পর কচুর শাক খাওয়ার একাধিক উপকারিতা আছে।
জন্মের পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিশুর প্রধান খাবার হল মায়ের বুকের দুধ। কিন্তু অনেক সময় মায়ের বুকে শিশুর খাওয়ার জন্য দুধের ঘাটতি দেখা যায়।এক্ষেত্রে পরপর তিন থেকে চারদিন কচুর শাক খেলে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি হয়। গর্ভকালীন অবস্থায় মা-বোনদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির প্রয়োজন হয়,এক্ষেত্রে দারিদ্র পরিবারের মহিলারা প্রোটিন ড্রিঙ্ক ও
ভিটামিন ক্যাপসুল এর পরিবর্তে কচুর শাক গ্রহণ করতে পারেন। কচুর শাকে ক্যালসিয়াম থাকার জন্য গর্ব অবস্থায় কচুর শাক খেলে সন্তানের হাড়ের বিকাশ তাড়াতাড়ি ঘটে।
কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা
চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না কচুর লতি তরকারি স্বাদের তুলনা হয়না। অনেকেই চিংড়ি মাছের সঙ্গে নারকেল দিয়েও রান্না করে কচুর লতি। এছাড়াও ছুরি, লইট্টা, ফাইস্যা, বা চিংড়ির শুটকি দিয়ে রান্না কচুর লতি তুলনা হয় না।এত সাধের সবজিটির গুনাগুন সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।অভিজাতক সবজির মধ্যে কচুর লতির স্থান নেই।অথচ পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজি।
কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি লোহা ও ভিটামিন বি। কচু আস দেহ থেকে বর্জ্য বের করে দিতে সাহায্য করে,এবং খাদ্য হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে।যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান তারা কচুর লতি খেতে পারেন।মুখি বা কচুর থেকে লতিতে শর্করার পরিমাণ কম থাকে।যারা সরকারি পরিহার করে চলেন তারা কচুর লতি খেতে পারেন।
কচুর লতির ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন শক্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা আয়োডিন ও ভিটামিন বি মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে। কচুর লতি ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। কচুর লতিতে থাকা ভিটামিন সি মানব দেহের রোগ প্রতিরোক্ষ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। কচুর লতিতে আছে প্রচুর পরিমাণে লোহা,যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন কচুর লতি তাদের জন্য ভালো একটি খাবার হতে পারে। কচুর লতিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যা সংক্রমণ রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখে।
কচু খেলে গলা চুলকায় কেন
কচু খেলে গলা চুলকায় কেন, কচু খেলে অনেকেরই গলা চুলকায়। এর কারণ কচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে র্যাফাইড,যা কচু খাওয়ার সময় গলায় আটকে যায়। এর ফলে আমাদের গলা চুলকাইয়। কি এই র্যাফাইড.এর বৈজ্ঞানিক নাম হল ক্যালসিয়াম অক্সালেট।কচু গাছের মূলে তো থাকেই কান্ড এবং পাতাতেও এই যৌগ থাকে।এগুলো হলো গাছের রেচন পদার্থ।
এর গঠন অনেকটা সূচের মত। তাই খাওয়ার সময় এগুলো গলায় ভিদে যায। আর যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।অতিরিক্ত উত্তাপে এই র্যাফাইডের বেশির ভাগ।ই গলে যায়।ফলে রান্না করা কচু থেকে গলা চুলকায় না। আবার অনেক সময় কিছু পরিমাণের র্যাফাইড অক্ষত থেকে যায়। এবং তা গলা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার অনেক সময়,
এই র্যাফাইড অনেক সময় রক্তে মিশে কিডনি পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে।যা পরবর্তী সময়ে কিডনির পাথর জমার কারণও হতে পারে। কি করে সাবধান হবে কচুর এইর্যাফাইডের থেকে। কচু খাওয়ার আগে তার গায়ে লেবু বা তেতুলের রস লাগিয়ে নিতে পারেন। টক জাতীয় ফলে সাইট্রিক এবং টার্টারিক অ্যাসিড থাকে।এবং সেগুলো র্যাফাইডকে গলিয়ে দেয়।ফলে গলার অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা
কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা, সবজি হিসেবে পুষ্টিগুণে ভরপুর কচুর মুখি।মাটির নিচে জন্মায় সুস্বাদু কচুর মুখি।আমাদের দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কচুর মুখের কম বেশি চাষাবাদ হয়ে থাকে। এক সময়কার মৌসুমী সবজি হলেও এখন সারা বছরই পাওয়া যায় কচুর মুখি। শুধু সাধেই নয় পুষ্টি গুনে বর পুরো এই সবজি।
চলুন জেনে নেই কচুর মুখির কিছু গুনাগুন
হজম শক্তি বৃদ্ধিতেঃ একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের সারা দিনের চাহিদা প্রায় ২৭ শতাংশ ফাইবার থাকে কচুর মুখিতে। এ কারণে এটি হজমে সাহায্য করে। এছাড়া অতিরিক্ত গ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিপাকেও সাহায্য করে। এছাড়া ডায়রিয়ার জন্য এটি বিশেষ উপকারী সবজি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কচুর মুখি তুলনা নেই। কচুর মুখেতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যার শরীরের কার্যক্ষমতার জন্য দারুন উপযোগী।
হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখেঃ কচুর মুখি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। কচুর মুখে শরীরের রক্ত চলাচল সহজ করে। এতে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ কচুর মুখিতে আয়ন ও কপার রক্তের লৌহিত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এই কারণে কচুর মুখি রক্তস্বল্পতা দূর করতে দারুন ভূমিকা পালন করে।
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেঃ কচুর মুখি তে থাকায় এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। এতে বিদ্যমান থাকা উচ্চমানের ভিটামিন এ, সি এবং অন্যান্য এন্টিঅক্সিজেন সেল বা কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে সুরক্ষা করে। এছাড়াও কচুর মুখীতে বিদ্যমান ভিটামিন ই এবং এ ত্বক সুরক্ষায় দারুণভাবে ভূমিকা পালন করে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ এতে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ কচুর মুখিতে থাকা উপকারি ফাইবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করেঃ কচুর মুখিতে থাকায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
কচু শাক খেলে কি এলার্জি হয়
কচু শাক খেলে কি এলার্জি হয়,কচুর শাক খেলে কি এলার্জি হয় এই বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো। বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আমি জানতে পেরেছি কচুর শাকের এলার্জি আছে।তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ভিন্ন হয়ে থাকে।অনেক রকমের খাবারের মধ্যে অনেকের এলার্জি হয়ে থাকে।
কচুর সাকে এলার্জি আছে কিনা তা জানতে হলে আমাদেরকে আগে কচুর শাক খেতে হবে।যদি গা চুলকায় তাহলে বুঝতে হবে যে কচুর থাকে এলার্জি আছে। আর যদি গান না চুলকায় তাহলে বুঝবেন কচুর সাথে আপনার অ্যালার্জি নেই।
লেখক এর মন্তব্য কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে কচুর লতির উপকারিতা সম্পর্কে এবং আনুষাঙ্গিক আরো গুনাগুন সম্পর্কে বেশ কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পুরো আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যেই আপনি জানতে পেরে গেছেন কচুর উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে।
এছাড়াও জানতে পেরেছেন গর্ব অবস্থায় কচুর উপকারিতা, কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিত, কচু খেলে কি অ্যালার্জি হয়। যদি আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে ধন্যবাদ।আর যদি না পড়ে থাকেন তাহলে এক্ষুনি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আসুন।আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি কথা হবে অন্য কোন টপিক্স নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন খোদা হাফেজ।
মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url