অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কি গাড়ি চালানো যায়

বায়োমেট্রিক্স এর কাজ কি জানতে ক্লিক করুনআমাদের মধ্যে অনেকেই প্রশ্ন করেন  অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কি গাড়ি চালানো যায় এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পুরো আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। এছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্সের উপর সঠিক ধারণা লাভ করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়া শুরু করুন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কি গাড়ি চালানো যায়

আমরা যারা নতুন নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাই তাদের মধ্যে অনেকেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বিষয়ে তেমন কোন ধারণা রাখি না। যার কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পর বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আপনি যদি কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়া শুরু করুন।

সূচীপত্রঃ অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কি গাড়ি চালানো যায়

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কি গাড়ি চালানো যায়

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কি গাড়ি চালানো যায়, এই কথাটি অনেকের কাছে অজানা রয়েছে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে কিনা।অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালানো যায় কিন্তু কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে শুধুমাত্র নিজের গাড়ি কিংবা বন্ধুবান্ধবের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিয়ে থাকে।

এছাড়া আপনি চাইলে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে কিংবা কোন মালিকের গাড়ি চালাতে পারেন এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। কিন্তু অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে অবশ্যই ভারী কোন গাড়ি চালানো যাবে না। ভারী গাড়ি বলতে বোঝায় বাস, ট্রাক, কন্টেনার ইত্যাদি গাড়িগুলোকে ভারী গাড়ি হিসেবে ধরা হয়।

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে শুধুমাত্র ২৫০০ থেকে ৩ হাজার কেজির গাড়ি চালানোর অনুমতি রয়েছে।যেমন মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, লেগুনা ইত্যাদি গাড়িগুলো অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে চালাতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ভারী গাড়ি চালাতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পেশাদার করার নিয়ম

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পেশাদার করার নিয়ম, অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য একটি কথা মাথায় রাখতে হবে সেটি হল আপনি যখন অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছেন তখন সেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের বয়স অবশ্যই ২১ বছর হতে হবে।

যদি ১৮ কিংবা ১৯ বছর বয়সে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করে থাকেন সে ক্ষেত্রে  পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন না। এরপর আপনার কাছে যে অপেশাদার লাইসেন্স রয়েছে সেই লাইসেন্সের ফটোকপি করে জমা দিতে হবে। এখন আপনাদের জানাবো অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পেশাদার করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি
  • এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
  • ছ ফরম
  • ডোপ টেস্টের রিপোর্ট
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন ফরম
  • পুলিশ প্রতিবেদন
  • পাসপোর্ট সাইজের ছয় কপি ছবি
  • বিআরটিএ সহকারী পরিচালক বরাবর একটি দরখাস্ত
  • পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যাংক জমার কপি
  • যেদিন বিআরটিএ পরীক্ষা দিবেন সেদিন পেশাদার চালকের মান উন্নয়নের একটি ট্রেনিং হয় তার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে
  • ২০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি হলফনামা ছবি সহ নোটারি করা
এই সমস্ত কাগজপত্র একত্রিত করে বিআরটিএ অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে। যদি এই সমস্ত কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকে তাহলে সাথে সাথে আপনাকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর অস্থায়ী অনুমতি পত্র দেওয়া হবে। এবং সেই অনুমতি পত্রের মধ্যে সীল এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার সময়সূচি দেওয়া থাকবে। সেই সময়ের মধ্যে গিয়ে সিল এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিলে স্থায়ী পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কি মোটরসাইকেল চালানো যায়

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কি মোটরসাইকেল চালানো যায়, পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কে একটি ভারী লাইসেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেকোনো কোম্পানি বা মালিকের গাড়ি চালানোর জন্য পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যায়। 
এর উত্তর হল পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে আপনি যেকোনো গাড়ি চালাতে পারেন এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। আপনার যদি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে থাকে তাহলে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য নতুন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হবে না। কিন্তু আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি এক ক্যাটাগরির হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে ঝামেলা হতে পারে।

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত, যাদের বাসায় মোটরসাইকেল কিংবা প্রাইভেট কার রয়েছে তাদের জন্য অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি কত টাকা হয়ে থাকে। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কিংবা মোটরসাইকেলের জন্য লাইসেন্স করলে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা হতে
পারে। অন্যদিকে আপনি যদি মোটরসাইকেলের সাথে আরেকটি মোটরযানের সঙ্গে লাইসেন্স করতে চান সে ক্ষেত্রে ৫২০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা হতে পারে। এবং আপনি যদি স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান দশ বছরের জন্য সে ক্ষেত্রে অপেশাদার ডাইভিং লাইসেন্সের জন্য ফি দিতে হবে ২৫৫০ থেকে ২৬০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম, আপনি যখন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন তখন একটা অনলাইন ফরম দিবে সেই ফরমে উল্লেখ করা থাকবে কি কি পরীক্ষা হবে সমস্ত কিছু দেওয়া থাকবে। আবার ফরমের সাথে এনআইডি কার্ড, জিএসসি কিংবা এসএসসি সার্টিফিকেট এবং বিদ্যুৎ বিলের কাগজ। 

এই সমস্ত কাগজপত্র একত্রিত করে কোন এক শো রুম কিংবা অনলাইন দোকানে জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করতে পারেন। এরপর বিআরটিএ অফিসে গিয়ে দুই হাতের চার আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে এরপর লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। তারপর মোটরসাইকেল চালাতে পারেন কিনা সেটার পরীক্ষা দিতে হবে।
মোটরসাইকেল চালানো শেষ হলে মৌখিক কিছু প্রশ্ন করা হবে ট্রাফিক লাইন সম্পর্কে। এরপর আপনাকে বিআরটিএ থেকে একটি লার্নার কাগজ দেওয়া হবে। সেই লার্নার কাগজ দিয়ে ড্রাইভিং করতে পারবেন এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। 

এরপর স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কমপক্ষে ছয় থেকে সাত মাস সময় লাগতে পারে যা আপনার লার্নার কাগজের মধ্যে ডেট দেওয়া থাকবে। সেই ডেটে গিয়ে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স তুলে আনতে পারবেন।

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স মেয়াদ কতদিন

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স মেয়াদ কতদিন, অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে এবং কত বছর মেয়াদ এই দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফি আগে তুলনায় ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা বাড়তি। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ সাধারণত ১০ বছর হয়ে থাকে।
তাই আপনি যদি ১০ বছরের জন্য একটি অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান সে ক্ষেত্রে ৪৫০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। এই ফ্রি যেকোনো সময় ওঠানামা করতে পারে।

হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কি কি গাড়ি চালানো যায়

হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কি কি গাড়ি চালানো যায়, হালকা ডাইভিং লাইসেন্স দিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি চালাতে পারেন। যদি এক কথাই বলতে চাই তাহলে বলা যায় রাস্তায় যত রকমের চার চাকার গাড়ি রয়েছে সমস্ত গাড়ি হালকা ডাইভিং লাইসেন্স দিয়ে চালাতে পারবেন এটা কোন ধরনের সমস্যা হবে না। 
এছাড়াও হালকা ডাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ৭ টোন ওজনের গাড়ি চালাতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশে ৭ টন ওজনের গাড়ি শুধুমাত্র রাতে চালাতে পারবেনন এবং দিনের বেলায় আড়াই থেকে তিন টনের মত ভারি গাড়ি চালাতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন হালকা ডাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কি কি গাড়ি চালানো যায়।

পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পার্থক্য

পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পার্থক্য, আমরা যারা নতুন নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাই তাদের একটি কমন প্রশ্ন হল পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করব নাকি অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করব। এখন আপনাদের বলব পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলতে কি বুঝায় এবং অপেশাদার ডাইভিং লাইসেন্স বলতে কি বুঝায়।

পেশাদারঃ পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে সব ধরনের গাড়ি চালানো যায় দেশে এবং বিদেশে। আপনি যদি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করেন তাহলে নিজের গাড়িত চালাতে পারবেন এবং পাশাপাশি আপনি চাইলে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে যেকোনো কোম্পানিতে চাকরি করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি বিদেশে যান সেখানেও 
এই পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে চাকরি করতে পারবেন। আপনি যদি ডাইভিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে তাহলে যত বড় গাড়ি হোক না কেন আপনি চালাতে পারবেন এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে কাজ করে।

অপেশাদারঃ আপনি যদি অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনার ব্যক্তিগত গাড়িগুলো চালাতে পারবেন। আবার আপনি যদি অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করেন তাহলে বড় কোন গাড়ি চালাতে পারবেন না। এবং অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে অন্য কোন কোম্পানিতে কিংবা মালিকের গাড়িতে চাকরি করতে পারবেন না। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে আপনি ২৫০০
কেজি ওজনের গাড়িগুলো চালাতে পারবেন। এক কথায় বললে শুধুমাত্র চার চাক্কার গাড়িগুলো চালাতে পারবেন এবং মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন। তাই আপনি যদি ডাইভিং পেশা হিসেবে নিতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। আর যদি বলেন যে না শুধুমাত্র আমি আমার ব্যক্তিগত গাড়ি চালাবো সেক্ষেত্রে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারেন।

লেখক এর মন্তব্য

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কি কি গাড়ি চালানো যায় আশা করি বুঝতে পেরেছেন যদি আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন। বর্তমান সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোন গাড়ি ডাইভিং করা একদম নিষিদ্ধ। যার কারণে আমরা অনেকেই রাস্তাঘাটে পুলিশের হাতে বিভিন্ন ধরনের মামলা খেয়ে থাকি। তাই আপনি যদি মোটরসাইকেল কিংবা অন্যান্য গাড়ি

চালাতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে হোক সেটা পেশাদার কিংবা অপেশাদার। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কি এবং অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কি এই সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url