গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা - ড্রাগন গাছে ফুল আসার সময়
লটকনের উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে ক্লিক করুনগর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা, আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়। আমাদের মাঝে অনেক গর্ভবতী মায়েরা রয়েছে যারা গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেতে ভয় পায়। কারণ তারা মনে করেন যে গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ আপনি যদি গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা |
তাহলে গর্ভবতী মায়ের পাশাপাশি গর্ভে থাকা শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে গর্ভের শিশু সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। আবার অনেকেই ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে অনেকেই অনেক ধরনের প্রশ্ন করে থাকে তাই আপনার মনেও যদি ড্রাগন ফল নিয়ে নানান প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়া শুরু করুন।
সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা, গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসকেরা তাদের খাবার তালিকার দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে বলে। কারণ এই সময় তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রমণ করতে পারে। অনেক গর্ভবতী মায়েরা ড্রাগন ফল খেতে পছন্দ করেন কিন্তু তারা জানে না ড্রাগন ফল খেলে কি হয়। পুষ্টিবিদদের মতে গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়া খুবই
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা |
উপকারী কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়া ড্রাগন ফল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সারের ঝুকি কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া আরও অনেক ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় ড্রাগন ফলে যা নিচে তুলে ধরা হলোঃ
- ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, ফোলেট ও আয়রন যা গর্ভাবস্থা শিশুর রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা গর্ভের শিশুর হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। গর্ভস্থান নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- ড্রাগন ফলে রয়েছে ফাইবার যা আমাদের দেহের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যাদের ডায়াবেটিসের ঝুকি রয়েছে তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন এতে খুব সহজেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
- আমাদের যখন ৪০-৫০ বছর বয়স হয় তখন দেখা যায় অনেকেরই চোখে ছানি পড়ে। কিন্তু আপনি চাইলে এই ছানির হাত থেকে খুব সহজেই বাঁচতে পারেন এর জন্য নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে হবে। কারণ ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটা ক্যারোটিন যা আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রায় 20 শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের দেহের হাড়কে শক্তিশালী করে। অনেক গর্ভবতী মায়েদের শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা করে এমনকি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাদের জন্য ড্রাগন ফল খুবই উপকারী। একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভপাতের সময় দেহের অনেক ক্যালরি খরচ হয়। তাই গর্ভপাতের সময় সুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসাকেরা ড্রাগন ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
- নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। আমাদের মধ্যে অনেকেরই দেখা যায় বয়স হওয়ার আগেই মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন।
- ড্রাগন ফলে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ থেকে রক্ষা করে।
- আমাদের দেহে অনেক সময় খারাপ ব্যাকটেরিয়ার কারণে খাবার হজম হতে সমস্যা হয়। যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারে কারণ ড্রাগন ফল খেলে শরীরের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যার ফলে আপনার শরীরে হজম ক্ষমতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
- ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেন রয়েছে যা আমাদের দেহে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। এমনকি একজন গর্ভবতী মহিলা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে সরাসরি ব্রণের উপর প্রভাব ফেলবে এবং আপনার বাচ্চা হবে শক্তিশালী।
- যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মত মারাত্মক রোগ রয়েছে তাদের জন্য ড্রাগন ফল খুবই উপকারী।অনেক গর্ভবতী মায়েরা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগে থাকেন পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা নিয়মিত সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো মারাত্মক রোগ আস্তে আস্তে স্বাভাবিক করে তুলবে।
- গর্ভবতী মায়েদের অনেক সময় বমি বমি ভাব হয় যার কারণে পেটে অনেক চাপ সৃষ্টি হয় এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে বমি বমি ভাব আর দেখা দিবে না।
- অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খেয়ে থাকে এমনকি ঔষধও সেবন করে থাকে কিন্তু তাতে কোন কাজ হয় না। সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন কারণ ড্রাগন ফলে ফ্যাটের পরিমাণ নেই বললেই চলে। যার কারণে আমাদের শরীর খুব সহজে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
- অনেক গর্ভবতী মায়েরা বলেন গর্ভকালীন সময় কি খেলে পেটের বাচ্চা বুদ্ধিমান এবং স্বাস্থ্যকর হয়। আপনার পেটের বাচ্চা সুস্থ এবং সবল রাখার জন্য গর্ভকালীন সময় ড্রাগন ফল খেতে পারে। কারণ গর্ভকালীন সময় ড্রাগন ফল খেলে পেটের বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- অনেক শিশু মাতৃগর্ভেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন গর্ভকালীন সময় নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ব্রণের যে সমস্ত পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন সেগুলো পূরণ করে।কারণ ড্রাগনে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড যা গর্ভবতী মায়ের বাচ্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ড্রাগন ফল খেলে কি পায়খানা লাল হয়
ড্রাগন ফল খেলে কি পায়খানা লাল হয়, আমরা অনেকেই মনে করি যে ড্রাগন ফল যেহেতু লাল রঙের ফল সে হতো পায়খানা লাল রং হতে পারে। কিন্তু এই ধারণাটি একেবারেই ভুল পুষ্টিবিদরা বলেন যাদের পেটে হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে পায়খানা লাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা
কিন্তু এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না কারণ ড্রাগন ফল প্রাকৃতিকভাবেই অনেক অংশে লাল হয়ে থাকে। কিন্তু যাদের হজমের সমস্যা নেই তাদের পায়খানা লাল বা গোলাপি হবে না কারণ ড্রাগন ফলে রঞ্জক এর পরিমাণ নেই বললেই চলে। কারণ রঞ্জক পদার্থ পায়খানার রং পরিবর্তন করতে পারে এ থেকে বোঝা যায় ড্রাগন ফল খেলে পায়খানা লাল হয় না।
ড্রাগন গাছে ফুল আসার সময়
ড্রাগন গাছে ফুল আসার সময়, আমরা যারা ড্রাগন ফল চাষ করতে চাচ্ছি তাদের মনে একটি প্রশ্ন সেটি হল ড্রাগন গাছে ফুল কত দিনে আসে। এর উত্তর হল এপ্রিল এবং মে মাসে ড্রাগন গাছের ফুল বেশি দেখা যায়।এমনকি এই ফুল আশার ধারাবাহিকতা অক্টোবর এবং নভেম্বর মাস পর্যন্ত টিকে থাকে এই সময়ের মধ্যে ড্রাগন গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল আসে।
আরো পড়ুনঃ কাঁসার বাসন বিখ্যাত কোথায়
একটি ড্রাগন গাছে ফুল আষার ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ফল আসা শুরু করে। বর্তমানে আমাদের দেশে ড্রাগন ফল চাষ করে অনেক কৃষকই লাভবান হচ্ছে।আবার অনেকেই বলেন ভাইয়া ড্রাগন গাছে ফুল বৃদ্ধি করা যায় কিভাবে এর কয়েকটি উপায় আছে যেমন ড্রাগন গাছ যদি উপর দিকে উঠতে চায় তাহলে সেই গাছ নিচের দিকে হেলিয়ে দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ কাসা ও পিতল চেনার উপায়
এবং এপ্রিল মাসের শুরুতেই ড্রাগন গাছের শক্ত আগাগুলো দুই তিন ইঞ্চি করে কেটে দিতে হবে। এছাড়া এই সময়ে ড্রাগন গাছে কোন ধরনের সার প্রয়োগ করা যাবে না। যদি এই নিয়মগুলো ফলো করেন তাহলে দেখবেন আগের তুলনায় অনেক বেশি ফুল আসা শুরু করেছে।
ড্রাগন ফুল ঝরে যাওয়ার কারণ
ড্রাগন ফুল ঝরে যাওয়ার কারণ, অনেক সময় আমাদের অলসতার কারণে ড্রাগন গাছের ফুল ঝরতে থাকে। কিন্তু আপনার ড্রাগন গাছে যদি তিন থেকে চারটি ফুল ঝরে যায় তাহলে বুঝবেন ড্রাগন গাছে কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। কারণ কৃষিবিদরা জানিয়েছেন ড্রাগন ফুল তিন থেকে চারটি ফুল ঝরে পড়া এটা স্বাভাবিক।
ড্রাগন ফুল ঝরে যাওয়ার কারণ |
যদি এর থেকে বেশি ফুল ঝরে পড়া শুরু করে তাহলে কয়েকটি বিষয়ের উপর আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যা আমরা আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব। ড্রাগন ফুল ঝরে পরার একটি কারণ হলো মাটিতে পানির অভাব। ড্রাগন গাছের ফুল ধরে রাখার জন্য নিয়মিত ড্রাগন গাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে। আমরা অনেকেই অলসতা
করে ড্রাগন গাছের গোড়ায় পানি দিতে চাই না যার কারণে ড্রাগন গাছের ফুল ঝরে পড়তে শুরু করে। তাই আপনি যদি আপনার ড্রাগন গাছের ফুল ধরে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত পরিমান মত পানি দিতে হবে। আবার অতিরিক্ত পানি দিলে ড্রাগন গাছের গোড়ায় ইনফেকশন হতে পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ শিশুদের জন্য কোন ওটস ভালো
অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ড্রাগন ফুল ঝরে পড়তে শুরু করে আপনি চাইলে এই সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন এর জন্য বৃষ্টি বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এরপর বৃষ্টি যখন বন্ধ হবে তখন ড্রাগন গাছের গোড়ায় যে সমস্ত বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে সেই পানিগুলো বের করে দিতে হবে। ড্রাগনের ফুল ঝরে পড়ার আরেকটি
কারণ হলো আমরা অনেকেই ড্রাগন গাছ সূর্যের আড়ালে চাষ করে থাকি। কৃষিবিদরা জানিয়েছেন ড্রাগন গাছ সূর্যের আলোয় চাষ করলে ফলন বৃদ্ধি পায়। তাই ড্রাগনের ফুল ধরে রাখার জন্য অবশ্যই সূর্যের আলোয় গাছ লাগাতে হবে। আপনার ড্রাগন গাছ যদি নেতিয়ে পড়ে কিংবা দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে বুঝবেন আপনার
আরো পড়ুনঃ ওজন কমাতে ওটস খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন গাছে পটাশের অভাব রয়েছে যার কারণে ড্রাগনের সমস্ত ফুল ঝরে পড়তে পারে। তাই আপনার ড্রাগন গাছ যদি দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে সবল করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশ ব্যবহার করবেন তাহলে দেখবেন ড্রাগনের ফুল পড়া বন্ধ হয়েছে। এছাড়াও ড্রাগন গাছের ফুল আসার পরে কোন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না
এতে আপনার গাছের জন্য ক্ষতিকর হবে এবং ফুল ঝরতে শুরু করবে। আশা করি আপনি যদি এই নিয়মগুলো ফলো করেন তাহলে দেখবেন ড্রাগন গাছের ফুল ঝরা বন্ধ হয়েছে।
ড্রাগন ফল গাছ লাগানোর নিয়ম
ড্রাগন ফল গাছ লাগানোর নিয়ম, আমরা অনেকেই আমাদের জমির পাশাপাশি বাসার ছাদের উপরেও ড্রাগন ফল চাষ করতে চাই। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা বাসার ছাদে ড্রাগন ফল গাছ লাগানোর নিয়ম সম্পর্কে। আজকে আমরা আপনাদের যে নিয়মে গাছ লাগানো দেখাবো এই নিয়ম ফলো করে জমিতে এবং টপে কিংবা বাসার ছাদে
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়া যাবে কি
সব জায়গায় প্রয়োগ করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমে ১.৫ মিটার গর্ত করে নিতে হবে এরপর গর্তটি ২০-২৫ দিন রোদে রেখে দিতে হবে। তারপর ২৫ দিন পরে ৩০ কেজি গোবর, ২৫০ গ্রাম এমওপি, ১৫০ গ্রাম জিপসাম, ২৫০ টিএসপি, ৫০ গ্রাম জিংক সালফেট।এই সমস্ত সার সুন্দর করে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীরা কি তরমুজ খেতে পারবে
এরপর ১৫ থেকে ২০ দিন পরে প্রতি গর্তে ৫০ সেমি দূরত্বে চারটি করে চারা সোজাভাবে মাছ বরাবর লাগাতে হবে। এবং এক বছর বয়স পর্যন্ত তিন মাস পর পর গর্তের ভেতরে ১০০ গ্রাম করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। আবার প্রয়োজন পড়লে মাঝেমধ্যে পানি দিতে হবে।
ড্রাগন ফলের চারা কোথায় পাওয়া যায়
ড্রাগন ফলের চারা কোথায় পাওয়া যায়, আপনি যদি ড্রাগন ফল চাষ করতে চান তাহলে অবশ্যই ভালো মানের চারা দিয়ে শুরু করতে হবে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল ভালো মানের চারা কোথায় পাবো এর সহজ উত্তর হল আপনি যদি ভালো মানের চারা কিনতে চান তাহলে এমন একজনের কাছে যেতে হবে যে অনেক আগে থেকেই ড্রাগন গাছ চাষ করে লাভবান হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ গাজর খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়
আপনি যদি এমন একজন লোকের সন্ধান করতে পারেন তাহলে তার কাছ থেকেই ভালো মানের ড্রাগনের চারা নিতে পারেন। এছাড়া আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে ড্রাগন ফলের চারা ক্রয় করতে পারেন। কারণ বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ড্রাগন গাছের চারা বিক্রি করে থাকে।
আবার আপনি চাইলে amazon থেকেও ভালো মানের ড্রাগন গাছের চারা ক্রয় করতে পারবেন।কিন্তু সব থেকে ভালো হবে আপনি যদি কোন একটা বাগান থেকে ড্রাগন ফলের চারা ক্রয় করতে পারেন। এই মাধ্যমটি সবচেয়ে ভালো হবে এর জন্য আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কোথায় ড্রাগন গাছের বাগান রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ কোন সবজি খেলে ত্বক ফর্সা হয়
যা অনেকের কাছে ঝামেলার মনে হতে পারে কিন্তু ঝামেলার মনে হলেও আপনার জন্য অনেক ভালো হবে। কারণ আপনি দেখে শুনে কথা বলে চারা গুলো ক্রয় করতে পারবেন।
ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি বাংলাদেশে
ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি বাংলাদেশে, ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি এটি নির্ভর করছে বিভিন্ন অঞ্চল এবং ড্রাগন ফলের কোয়ালিটির উপর। কারণ একাক কোয়ালিটির ড্রাগন ফল একেক রকম দাম হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি হাই কোয়ালিটির ড্রাগন ফল কিনতে চান তাহলে প্রতি
কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আর যদি মাঝারি সাইজের ড্রাগন ফল কিনতে চান সেক্ষেত্রে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আবার দেখবেন কিছু কিছু সময় বাজারে একদম ছোট সাইজের ড্রাগন ফল দেখা যায়। আপনি যদি এই সমস্ত ড্রাগন ফল কিনতে চান
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়া যাবে কিনা
তাহলে প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া আপনি যদি কোন শহরে থেকে থাকেন তাহলে এর থেকে অনেক অংশে কম পাবেন। কারণ গ্রামের তুলনায় শহরে ড্রাগন ফলের দাম কম পাওয়া যায়।
ড্রাগন ফল গাছের দাম
ড্রাগন ফল গাছের দাম, ড্রাগন ফল গাছের দাম কত এটি নির্ভর করছে কোথা থেকে নিতে চাচ্ছেন। কারণ আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইট থেকে ড্রাগন গাছ কিনতে চান সেক্ষেত্রে একরকম দাম হবে। আবার আপনি যদি কোন বাগান থেকে ড্রাগন গাছ কিনতে
চান সে ক্ষেত্রে অন্যরকম দাম হবে। আজকে আমরা আপনাদের জানাব কোথা থেকে কিনলে কি রকম দাম নিতে পারে। আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাগন গাছ ক্রয় করতে চান সে ক্ষেত্রে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আবার কোন কারনে এর দাম কম বেশিও
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে আমড়া খেলে কি হয়
হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি সরাসরি বাগান থেকে ড্রাগন ফল গাছ কিনতে চান সেক্ষেত্রে ৮০০ থেকে ১,৩০০ টাকা পর্যন্ত নিতে পারে। আবার কিছু কিছু সময় গাছের ধরন অনুযায়ী এর দাম কম বেশি হতে পারে।
ড্রাগন গাছের পরিচর্যা
ড্রাগন গাছের পরিচর্যা, আপনি যদি ড্রাগন গাছের সঠিক পরিচর্যা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে চান তাহলে মনোযোগ দিয়ে পড়া শুরু করুন। ড্রাগন গাছের সঠিক পরিচর্যা না করার কারণে ফলন অনেক কমে যায়। ড্রাগন গাছ লাগানোর সময় অবশ্যই সূর্যের আলো দেখে ড্রাগন গাছ লাগাতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়
কারণ সূর্যের আলোয় ড্রাগন ফল মিষ্টি এবং সুস্বাদু হয় এছাড়াও ফলন বেশি হয়। এরপর ড্রাগন গাছ লাগানোর পরে যখন কিছুটা বড় হতে শুরু করবে তখন ড্রাগন গাছকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য খুঁটি কিংবা পিলার ব্যবহার করতে হবে। এবং সেই খুঁটি কিংবা পিলারের মাথায় গোলাকার করে দিতে হবে এর জন্য গাড়ির টায়ার ব্যবহার করতে পারেন।
তাহলে দেখবেন খুব সহজেই ড্রাগন গাছ নিচের দিকে হেলতে শুরু করেছে। তারপর ড্রাগন গাছে ফুল আসার একমাস আগে ড্রাগন গাছের আগা তিন থেকে চার ইঞ্চি কেটে দিতে হবে।এছাড়াও ড্রাগন গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি দিতে হবে কিন্তু পানি পরিমাণ মতো দিতে হবে বেশি পানি দিলে ড্রাগন গাছের গোড়ায় ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়
যার ফলে ড্রাগন গাছের ফুল ঝরতে শুরু করে। এরপর আপনাকে ড্রাগন গাছের গোড়া নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। আশা করি আপনি যদি এই নিয়মগুলো ফলো করেন তাহলে ড্রাগন গাছের ফল অনেক বৃদ্ধি পাবে।
লেখক এর মন্তব্য
গর্ভস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা কি ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন যদি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার কারণে যে সমস্ত বিষয়ের উপর জ্ঞান লাভ করতে পেরেছেন সেগুলো হলো। গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা, ড্রাগন ফল খেলে কি পায়খানা লাল হয়, ড্রাগন গাছে ফুল আসার সময়,
ড্রাগন ফুল ঝরে যাওয়ার কারণ, ড্রাগন ফল গাছ লাগানোর নিয়ম, ড্রাগন ফলের চারা কোথায় পাওয়া যায়, ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি বাংলাদেশে, ড্রাগন ফল গাছের দাম, ড্রাগন গাছের পরিচর্যা। আশা করি এই সকল বিষয়ের উপরে ক্লিয়ার একটা ধারণা পেয়েছেন এরপরেও যদি কোন জায়গায় বুঝতে কোনো ধরনের সমস্যা হয় তাহলে আমাকে পার্সোনালি মেসেজ করতে পারেন।
মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url