১ মাস থেকে ৯ মাস শিশুর খাবার তালিকা জেনে নিন

এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ১-৯ মাসের  শিশুর খাবার তালিকা সম্পর্কে। প্রথম মাস থেকে নয় মাস পর্যন্ত কি কি খাবার খাওয়ালে শিশু সুস্থ ও সরল থাকে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পোষ্টের ভিতরে।তাই আপনি যদি শিশুর প্রথম মাস থেকে নয় মাস পর্যন্ত খাবার তালিকা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুর খাবার

আমাদের অনেক মায়েরা শিশুর খাবার তালিকা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় থাকে। কারণ তারা বুঝতে পারে না কোন মাসে কি খাওয়াতে হবে। তাই আপনি যদি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়া শুরু করুন।

সূচীপত্রঃ ৩ - ৪ মাসের শিশুর খাবার তালিকা

৩ মাসের শিশুর খাবার তালিকা

৩ মাসের শিশুর খাবার তালিকা, আমরা অনেকেই তিন মাস বয়সী শিশুদের মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য ফলমূল খাওয়াতে থাকি যাতে করে আমাদের শিশু সুস্থ ও সরল থাকে। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা কারণ পুষ্টিবিদরা বলেছেন যে শিশুর জন্ম থেকে ৩-৪ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খেলেই বেটার হবে। 

কারণ অল্পবয়সী শিশুদের হজম শক্তি অনেক অংশেই কম থাকে। তাই আপনি যদি আপনার শিশুকে মায়ের বুকের দুধের সাথে অন্যান্য খাদ্য খাওয়াতে চান সে ক্ষেত্রে শিশুর হজম জনিত সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রমণ করতে পারে। তাই আপনার শিশুকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

৫ মাসের শিশুর খাবার তালিকা

৫ মাসের শিশুর খাবার তালিকা, পাঁচ মাস বয়সী শিশুদের আমরা অনেক সময় মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাদ্যগুলো খাওয়াতে চাই। কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন পাঁচ মাস বয়সী শিশুদের শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে বেশি পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা পাওয়া যায়। 

এছাড়া আপনি চাইলে আপনার শিশুকে কিছু ফলমূল খাওয়াতে পারেন কিন্তু এই ফলমূল খাওয়ানোর সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ৫ মাসের শিশুর খাবার তালিকা সম্পর্কে।

ডিমঃ পাঁচ মাসের শিশুর খাবার তালিকায় নিয়মিত ডিম রাখতে পারেন। কারণ ডিমে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ যা আপনার শিশুর মেধা শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। আপনার শিশুকে ডিম দেওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে সিদ্ধ করে নিবেন।

শাকসবজিঃ বাজারে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি দেখা যায়। আপনার পাঁচ মাসের শিশুকে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খাওয়াতে পারেন। যেমন মিষ্টি আলু, গাজর, লাল শাক, পালং শাক, পুঁইশাক, পেঁপে, বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি সবজি খাওয়াতে পারেন। কারণ পুষ্টিবিদরা বলেন শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা শিশুর শক্তি এবং উচ্চতা হুরহুর করে বেড়ে তোলে। কিন্তু একটি কথা মনে রাখতে হবে শিশুকে আঁশযুক্ত শাকসবজি দেওয়া যাবে না কারণ আঁশযুক্ত শাকসবজি দিলে শিশুর হজমে সমস্যা হতে পারে।

ফলমূলঃ পাঁচ মাস বয়সী শিশুদের বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খাওয়াতে পারেন। যেমন কমলা, আপেল, কিসমিস, খেজুর , পাকা আম, পাকা পেটে, আঙ্গুর, ডালিম, তরমুজ, কলা ইত্যাদি ফল খাওয়াতে পারেন। কারণ ফল মূলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা আপনার শিশুকে শক্তিশালী এবং ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

আবার আপনি চাইলে আপনার শিশুকে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি দিয়ে পাতলা করে খিচুড়ি তৈরি করে খাওয়াতে পারেন। আপনি যদি কিছুদিন পর পর আপনার শিশুকে পাতলা খিচুড়ি খাওয়াতে পারেন। তাহলে দেখবেন সবজিতে থাকা পুষ্টিগুণগুলো আপনার শিশুর ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করছে।

৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকা

৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকা, বাচ্চাদের যখন ছয় মাস বয়স হয় তখন তাদের মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয়। কারণ শিশুরা ৬ মাস বয়স থেকে বাড়তে শুরু করে। তাই বাড়তি শক্তি এবং মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখার জন্য বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবারগুলো খাওয়াতে হবে। 

কিন্তু অনেক মায়েরাই জানে না ছয় মাসের শিশুর খাবার তালিকা সম্পর্কে। চিকিৎসকের আলোকে আজকে আমরা জানানোর চেষ্টা করব ৬ মাসের শিশু বুকের দুধের পাশাপাশি কি কি খাদ্য খেতে পারে। যাতে করে শিশু সুস্থ ও সবল থাকে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল খাবার সম্পর্কে।

স্যুপঃ আপনি চাইলে বিভিন্ন ডাল দিয়ে স্যুপ তৈরি করে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন।বাজারে অনেক রকমের ডাউল রয়েছে সেখান থেকে যেকোনো ভালো একটা ডাল কিনে সুন্দর করে পরিষ্কার করে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ডাউল গুলো নরম হলে স্যুপ তৈরি করতে হবে। স্যুপ তৈরি করার সময় খেয়াল রাখবেন ডাল যাতে শক্ত না থাকে।

মাছ মাংসঃ ৬ মাস বয়সে শিশুকে মাছ মাংস খাওয়াতে পারেন। যদিও মাংস খেতে সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে মাংস চিবিয়ে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। এতে করে আপনার শিশুর শরীর বৃদ্ধি হতে সাহায্য করবে।

ডিম দুধঃ ছয় মাস বয়সী শিশুকে নিয়মিত ডিম দুধ খাওয়াতে পারেন। কারণ ডিম দুধে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ যা আপনার শিশুর শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। শিশুদের নিয়মিত ডিম দুধ খাওয়ালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়তে সাহায্য করে।

পাকা পেঁপেঃ ছয় মাস বয়সী শিশুকে নিয়মিত পাকা পেঁপের রস খাওয়াতে পারেন। আবার চাইলে পাকা পেঁপেও খাওয়াতে পারে। এছাড়া ছয় মাস বয়সী শিশুকে কাঁচা পেঁপে সিদ্ধ করেও খাওয়াতে পারেন এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।

ওটসঃ আপনার শিশুকে ভালো মানের ওটস খাওয়াতে পারেন। আপনার শিশুর দ্বিগুণ শক্তি বৃদ্ধি করতে ওটসের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। এছাড়াও ওটসের সাথে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল শাকসবজি মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। ওটস পুষ্টিকর খাদ্য যা শরীরের ক্লান্তি দূর করে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

পায়েসঃ আপনার শিশুকে কিছুদিন পর পর পায়েশ খাওয়াতে পারেন। পায়েস রান্না করার সময় অবশ্যই হালকা নরম করে রান্না করতে হবে। যাতে করে আপনার শিশুর খেতে কোন ধরনের সমস্যা না হয় সে দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

সুজিঃ আপনার শিশুকে নিয়মিত সুজি খাওয়াতে পারেন। সুজির সাথে চাইলে গরুর দুধ যোগ করতে পারেন। সুজি এবং গরুর দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে শিশুর উচ্চতা ও ওজন বাড়তে সাহায্য করে।

৭ মাসের শিশুর খাবার তালিকা

৭ মাসের শিশুর খাবার তালিকা, শিশুর বয়স বাড়ার পাশাপাশি তাদের খাদ্য তালিকার দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হয়। কিন্তু কিছু কিছু মায়েরা সাত মাসের শিশুর খাবার তালিকা সম্পর্কে সে রকম ধারণা নেই। তাই আমরা আপনাদের জানাবো সাত মাসের শিশুকে কি ধরনের খাবার দিলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। যে সমস্ত খাবার আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তা নিচে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হলো।

আপেলঃ আপনার শিশুর খাবার তালিকায় নিয়মিত আপেল রাখতে পারেন। আপেলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান যা আপনার শিশুর উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আপেল খেলে ত্বক ও চুল ঝলমলে রাখতে সাহায্য করে।

মসুর ডালঃ পুষ্টিবিদরা সবসময় শিশুকে মসুর ডাল খাওয়াতে বলে। কারণ শিশুদের মসুর ডাল খাওয়ালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।

মধু বা ঘিঃ আপনার শিশুকে ৭ মাস বয়সে নিয়মিত ঘি এবং মধু খাওয়াতে পারেন। এতে আপনার শিশু স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যদি আপনি একটি বুদ্ধিমান সন্তান পেতে চান তাহলে নিয়মিত মধু বা ঘি খাওয়াতে পারেন।

বার্লিঃ সাত মাস বয়সে শিশুকে বার্লি খাওয়াতে পারেন। বার্লিতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ যা আপনার শিশুর দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে। তাই শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য বার্লি খাওয়াতে পারেন।

পনিরঃ আপনার শিশুর খাবার তালিকায় পনির রাখতে পারেন। কারন পনিরে রয়েছে প্রচুর ফ্যাট, ভিটামিন এবং প্রোটিন যা আপনার শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

৮ মাসের শিশুর খাবার তালিকা

৮ মাসের শিশুর খাবার তালিকা, আপনার শিশুর বয়স যখন আট মাস হবে তখন তার খাবার তালিকার দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। কারণ এই সময় আপনার শিশু খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করবে।তাই আপনি যদি এই সময় আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত খাবার না দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে বৃদ্ধি হতে বাধা দিতে পারে। 

সেজন্য শিশুর বয়স বৃদ্ধির পাশাপাশি খাবার তালিকা বৃদ্ধি করতে হয়। কিন্তু আমরা অনেকে জানিনা ৮ মাসের শিশুকে কি কি খাদ্য দিতে হয়। ৮ মাসের শিশুকে নিয়মিত ভাত খাওয়াতে পারেন। যদি আপনার শিশুর ভাত গিলতে কোন ধরনের সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে ভাতগুলো চটকিয়ে দিতে পারেন। তাহলে দেখবেন খুব সহজেই আপনার শিশু ভাত খেতে পারছে। 

এই ভাবে নিয়মিত ভাত খাওয়ালে শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের খাদ্য আপনার শিশুর খাবার তালিকায় রাখতে পারেন যা নিচে তুলে ধরা হলো।

মটরশুঁটিঃ আট মাসের শিশুকে মটরশুঁটি ভর্তা করে তার খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। ৮ মাসের শিশুকে মটরশুঁটির খাওয়ালে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় কারণ মটরশুঁটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, উচ্চ প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ সমস্ত পুষ্টিগুণ শিশুর পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

ব্রকলিঃ ব্রকলি দেখতে কিছুটা ফুল কপির মত এবং এই সবজিটি সবুজ রঙের হয়ে থাকে। ৮ মাসের শিশুর খাবার তালিকায় এই সবজিটি রাখতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সেলেননিয়াম। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার যা আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

সাবুঃ সাবুদানাকে আমরা অনেকেই সাবু নামে চিনে থাকি। তাই আপনি যে নামেই চিনে থাকেন না কেন আপনার শিশুর খাবার তালিকায় এই সাবুদানা খাবারটি রাখতে পারেন। সাবুদানাতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং মাঝারি পরিমাণে রয়েছে ফাইবার এছাড়াও একদম কম প্রোটিন ও ফ্যাট রয়েছে যা আপনার শিশুর শরীর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।

দই ভাতঃ ৮ মাস বয়সে আপনার শিশুকে দই ভাত খাওয়াতে পারেন। গরম ভাত এবং দই একসাথে মিক্সড করে চটকিয়ে খাওয়াতে হবে। এতে দেখবেন খুব সহজেই আপনার শিশু গিলতে পারছে। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে দুই তিন দিন করতে পারেন।

সবজিঃ ৮ মাস বয়সে আপনার শিশুকে বিভিন্ন ধরনের সবজি খাওয়াতে পারেন সপ্তাহে একদিন অথবা দুই দিন। সবজিগুলো রান্না করার সময় অবশ্যই সুন্দর করে রান্না করতে হবে। যদি ভালো করে সিদ্ধ না করতে পারেন তাহলে আপনার শিশুর ডায়রিয়া হতে পারে।

মিলেট পরিজঃ মিলেট পরিজ একটি পুষ্টিকর খাদ্য। মিলেট পরিজ এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং খুনের সহ প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ যা আপনার শিশুর মেধা শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এই খাদ্যটি সপ্তাহে দুই এক দুই দিন আপনার শিশুর খাবার তালিকা রাখতে পারেন।

ডোসাঃ চাল এবং খামির দিয়ে তৈরি করা হয় ডোসা এই ডোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যা আপনার শিশুর শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। আপনার শিশুর খাবার তালিকায় সপ্তাহে দুই তিন দিন এই খাবারটি দিতে পারেন।

9 মাসের শিশুর খাবার তালিকা

9 মাসের শিশুর খাবার তালিকা, আপনার শিশুর বয়স যখন ৯ মাস হবে তখন দেখবেন দুই একটা করে দাঁত উঠতে শুরু করেছে তার মানে হল এখন তার শক্ত খাদ্য খাওয়ার প্রয়োজন হবে। নয় মাসের শিশুকে আপনি নিয়মিত মাছ-মাংস খাওয়াতে পারেন এতে তার ক্যালরি বাড়তে শুরু করবে। যদিও প্রথম প্রথম মাছ-মাংস খেতে আপনার শিশুর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। 

এমনকি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে কারণ নতুন খাবার হজম হতে একটু সময় লাগে এতে ঘাবড়ানোর দরকার নেই। কারণ আপনি যখন নিয়মিত আপনার শিশুকে মাছ-মাংস খাওয়াতে থাকবেন তখন দেখবেন আস্তে আস্তে হজম হওয়া শুরু করেছে। এছাড়া আপনার শিশুর অতিরিক্ত শক্তি জোগাতে নিচে দেওয়া খাবারগুলো খাওয়াতে পারেন।

অটের প্যানকেকঃ অটের প্যানকেক একটি জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর খাবার এই খাবারটি খুব সহজেই তৈরি করা যায়। এই খাবারটি তৈরি করার জন্য ওটমিল, ডিম, দুধ, বেকিং পাউডার এবং লবণ দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায়। এই খাবারটি আপনার শিশুর খাবার তালিকায় সপ্তাহে দুই তিন দিন রাখতে পারেন।

ব্রেডস্টিকঃ ব্রেডস্টিক হল লম্বা পাতলা এবং নরম রুটি যা বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে পরিবেশন করা যায়। এই খাবারে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২,বি৩  এবং আয়রন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এছাড়া বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে ভরা। এই খাবারটি আপনার শিশুর খাবার তালিকায় সপ্তাহে একদিন রাখতে পারেন।

খিচুড়িঃ নয় মাস বয়সী শিশুকে গাজরের জোলা খিচুড়ি খাওয়াতে পারেন। এতে গাজরে থাকা ভিটামিন শিশুর মস্তিষ্ক এবং পেশি শক্তিশালী করে। এই খিচুড়ি সপ্তাহে একদিন দিতে পারেন।

ঘি ভাতঃ আপনার শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য নিয়মিত ঘি ভাত খাওয়াতে পারেন।কারণ ঘি তে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকে যা আপনার শিশুর কোলেস্টরেল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। তাই আপনার শিশুর খাবার তালিকায় নিয়মিত ঘি ভাত রাখতে পারেন।

চেরিঃ আপনার শিশুর খাবার তালিকায় নিয়মিত চেরি ফল রাখতে পারেন। কারণ চেরি খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা আপনার শিশুকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

কাঠবাদাম কাজুবাদামঃ কাঠবাদাম কাজুবাদাম রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। প্রতিদিন আপনার শিশুকে তিন-চারটি করে কাঠ বাদাম এবং কাজুবাদাম খাওয়াতে পারেন। খাওয়ানোর সময় অবশ্যই পরিমাণটি মাথায় রাখতে হবে।

কিসমিসঃ আপনি চাইলে আপনার শিশুকে শুকনা কিসমিস কিংবা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়াতে পারেন। এই ফর্মুলাটি সাত দিন ব্যবহার করলে দেখতে পাবেন আপনার শিশুর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না, প্রতিদিন 10 থেকে 12 টি কিসমিস খাওয়া যেতে পারে।

৩ - ৪ মাসের শিশুর খাবার তালিকা শেষ কথা

৩ - ৪ মাসের শিশুর খাবার তালিকা নেই বললেই চলে কারণ এই সময়ে তাদের হজম শক্তি খুবই দুর্বল থাকে। তাই পুষ্টিবিদরা তিন থেকে চার মাসের শিশুকে নিয়মিত তার মায়ের বুকের দুধ পান করতে বলা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত করে আপনি পাকা কলা চটকিয়ে খাওয়াতে পারেন কিন্তু পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে। 

কারণ অতিরিক্ত খাওয়ালে আপনার শিশুর ডায়রিয়া হতে পারে। অল্প বয়সী শিশুকে যেকোনো ফল কিংবা শাকসবজি অতিরিক্ত খাওয়ানো যাবে না এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেকোনো ফল বা সবজি পরিমাণ মতো খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url