ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় - খাবার ও পালন পদ্ধতি

 আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ফাউমি মুরগির বিভিন্ন দিক নিয়ে। আপনি যদি ফাউমি মুরগি পালন করে সাবলম্বী হতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে ফাউমি মুরগির বাচ্চা থেকে ডিম পাড়া পর্যন্ত কিভাবে লালন পালন করতে হয়। এছাড়াও কতদিন পর পর কোন ধরনের ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়
ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়

আবার আপনি চাইলে আমাদের দেখানোর পথ স্মরণ করে অল্প টাকায় খাদ্য তৈরি করে অধিক পরিমাণে ডিম উৎপাদন করতে পারেন। এই আর্টিকেলে যা পেতে চলেছি ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়, ফাউমি মুরগির খাবার তালিকা, ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা, ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি, ফাউমি মুরগি বছরে কতটি ডিম দেয়, ফাউমি মুরগি চেনার উপায়, ফাউমি মুরগির বাচ্চার দাম।

সূচীপত্রঃ ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়

ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়

ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়, এটি নির্ভর করছে ফাউমি মুরগির শারীরিক সুস্থতা এবং খাদ্যের উপর। আপনি যদি পর্যাপ্ত খাবার দিতে পারেন তাহলে দেখা যাবে সাড়ে তিন মাস থেকে চার মাসের মধ্যে ডিম পাড়া শুরু করবে। ফাউমি মুরগি পুরা দমে ডিম আসতে প্রায় ছয় থেকে সাত মাস সময় লাগে এই সময়ে ডিম উৎপাদন খুব বেশি হয়ে থাকে। 

ফাউমি মুরগির ডিম আকারে একটু ছোট কিন্তু এর উপকারিতা অনেক রয়েছে যা দেখলে আপনি নিজেই চমকে যাবেন। এছাড়াও ফাউমি মুরগি বছরে প্রায় আড়াইশো থেকে ৩০০ ডিম দিয়ে থাকে আবার অনেকের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। ফাউমি মুরগির ডিম বৃদ্ধি করার জন্য অনেকেই ঔষধ দিয়ে থাকে। 

ফাউমি মুরগির ডিম বৃদ্ধি করার জন্য মুরগির শারীরিক অবস্থার দিকে নজর দিতে হবে। কারণ ফাউমি মুরগি যদি শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকে তাহলে ডিম আসতে অল্প সময় লাগবে এবং এই ডিম প্রায় আড়াই বছর থেকে তিন বছর পর্যন্ত টানা দিয়ে যাবে।

ফাউমি মুরগির খাবার তালিকা

ফাউমি মুরগির খাবার তালিকা, ফাউমি মুরগি পালন করে সবাই লাভবান হতে পারে। কারণ ফাউমি মুরগির রোগ বালাই অন্যান্য মুরগি থেকে খুবই কম দেখা যায়। এছাড়াও অন্যান্য মুরগি থেকে ফাউমি মুরগি ২-৩ গুণ বেশি ডিম দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বোঝা যায় ফাউমি মুরগি একটি লাভজনক ব্যবসা। এর জন্য আপনার দরকার হবে ফাউমি মুরগির খাবার তালিকা। 
ফাউমি মুরগি প্রায় সব ধরনের খাবার খেয়ে থাকে সোনালী কিংবা দেশী মুরগিকে যে সমস্ত খাবার দেওয়া হয় সাধারণত ফাউমি মুরগিকে সেই সমস্ত খাবার দিতে পারেন। এছাড়াও অনেকেই বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য কিনে ফাউমি মুরগিকে খাওয়াতে থাকে। ফাউমি মুরগিকে কোন কোন খাদ্য খাওয়ালে ভালো হবে সে সম্পর্কে বলার চেষ্টা করব। 

এছাড়াও বিভিন্ন উপাদান দিয়ে কিভাবে পুষ্টিকর খাদ্য তৈরি করা যায় সে সম্পর্কেও বলার চেষ্টা করব তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। ফাউমি মুরগির খাদ্য তৈরি করার সময় যে সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে সেগুলি হল আবহাওয়া, বয়স এবং পালনের উদ্দেশ্য এই সমস্ত বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ফাউমি মুরগিকে সাধারণত তিন থেকে চারটি খাদ্য খাওয়াতে দেখা যায়। 
যেমন প্রথম মাসে দেওয়া হয় স্টার্টার। এরপর দেওয়া হয় গ্রোয়ার এবং যখন ডিম পারা শুরু করে তখন দেওয়া হয় লেয়ার খাদ্য। এছাড়াও আপনারা চাইলে এর পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি লতাপাতা ভুট্টা ধান চাল শুটকি ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন। কারণ সবুজ শাকসবজি খাওয়ালে মুরগির রোগ প্রতিরোধ বেড়ে যায় এতে মুরগি সুস্থ ও সবল থাকে। এখন আপনাদের জানাবো কিভাবে ঘরে বসেই বিভিন্ন উপাদান দিয়ে পুষ্টিকর খাদ্য নিজেই তৈরি করতে পারেন। যেমন

স্টার্টার খাদ্যঃ ভূট্টা ৫১ কেজি, সয়াবিন মিল ২৪.৫ কেজি, প্রোটিন ৬০% ৯ কেজি, রাইচ পালিশ ১১ কেজি, লাইমস্টোন / ঝিনুক চূর্ণ ২.৫ কেজি, ডিসিপি ৩৫০ গ্রাম, লবণ ৩৫০ গ্রাম, প্রিমিক্স ২২০ গ্রাম, সালমোনেলা কিলার ৩২০ গ্রাম, এল-লাইসিন ১৫০ গ্রাম, সয়াবিন তেল ২৫০ গ্রাম, ডিএল- মিথিওনিন ১৫০ গ্রাম, কোলিন ক্লোরাইড ৬৫ গ্রাম, টক্সিন বাইন্ডার ১৫০ গ্রাম সর্বমোট ১০০ কেজি।
গ্রোয়ার খাদ্যঃ ভূট্টা ৫৩ কেজি, সয়াবিন মিল ২৩ কেজি, প্রোটিন ৬০% ৯ কেজি, রাইচ পালিশ ১১ কেজি, লাইমস্টোন / ঝিনুক চূর্ণ ২.৫ কেজি, ডিসিপি ৩০০ গ্রাম, লবণ ৩০০ গ্রাম, প্রিমিক্স ২৫০ গ্রাম, সালমোনেলা কিলার ৩০০ গ্রাম, এল-লাইসিন ১০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল ১৫০ গ্রাম, ডিএল- মিথিওনিন ১৫০ গ্রাম, কোলিন ক্লোরাইড ৬০ গ্রাম, টক্সিন বাইন্ডার ১৪০ গ্রাম সর্বমোট ১০০ কেজি।

লেয়ার খাদ্যঃ ভূট্টা ৫৪ কেজি, সয়াবিন মিল ২২ কেজি, প্রোটিন ৬০% ৫ কেজি, রাইচ পালিশ ৮ কেজি, লাইমস্টোন / ঝিনুক চূর্ণ ৯ কেজি, ডিসিপি ৬০০ গ্রাম, লবণ ৩০০ গ্রাম, প্রিমিক্স ৩০০ গ্রাম, সালমোনেলা কিলার ৩০০ গ্রাম, এল-লাইসিন ১০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল ১০০ গ্রাম, ডিএল- মিথিওনিন ১৩০ গ্রাম, কোলিন ক্লোরাইড ৬০ গ্রাম, টক্সিন বাইন্ডার ১৫০ গ্রাম, সোডা ৭০ গ্রাম সর্বমোট ১০০ কেজি।
আশা করি আপনারা যদি এই সমস্ত উপাদান দিয়ে খাদ্য তৈরি করে ফাউমি মুরগিকে খাওয়াতে পারেন তাহলে দেখবেন অল্প বয়সেই প্রচুর ডিম পাড়া শুরু করেছে। নিজের তৈরি খাদ্য খাওয়ালে ফাউমি মুরগি সুস্থ ও সবল থাকে। এছাড়াও নিজে খাদ্য তৈরি করলে খরচও অনেক কম হয় লাভের আশঙ্কা বেশি থাকে।

ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা

ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা, আপনি যদি ফাউমি মুরগির খামার করতে চান তাহলে অবশ্যই ফাউমি মুরগির রোগ প্রতিরোধের দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এছাড়াও বিশেষ করে ভ্যাকসিন নিয়মিত দিতে হবে। কারণ আপনি যদি সঠিক সময়ে সঠিক ভ্যাকসিন না দিতে পারেন তাহলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। 
তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনার ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন করবেন এতে মুরগিতে থাকা রোগ কমে যাবে। এখন আপনাদের জানাবো কোন ভ্যাকসিন কত দিনে দিতে হয় কোন রোগের জন্য কিভাবে দিতে হয় বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।
  • ১-৪ দিন বয়সে আইবি + এনডি চোখে দু তিন ফোঁটা করে দিতে পারেন রাণীক্ষেত + ব্রংকাইটিস রোগের জন্য।
  • ৭-১০ দিন বয়সে আই বি ডি মুখে দু তিন ফোঁটা করে দিতে পারেন গামবোরো রোগের জন্য।
  • ১৫-১৮ দিন বয়সে ল্যাসোটা চোখে দু তিন ফোঁটা করে দিতে পারেন রাণীক্ষেত রোগের জন্য।
  • ১৮-২০ দিন বয়সে আই বি ডি খাবার পানিতে দিতে পারেন গামবোরো রোগের জন্য।
  • ২৫-২৯ দিন বয়সে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা চামড়ার নিচে ইনজেকশনের মাধ্যমে দিতে হয় এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জন্য।
  • ৩০-৩৫ দিন বয়সে ফাউল পক্স ডানায় ইনজেকশনের মাধ্যমে দিতে হয় ফাউল পক্স রোগের জন্য।
  • ৬-৭ সপ্তাহ বয়সে এনডি ঘাড়ের চামড়ার নিচে দিতে হবে রাণীক্ষেত রোগের জন্য।
  • ৭-৮ সপ্তাহ বয়সে ফাউল কলেরা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দিতে হবে ফাউল কলেরা রোগের জন্য।
  • ৮-৯ সপ্তাহ বয়সে করাইজা + সালমোনেলা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ইনফেকশাস করাইজা, সালমোনেলা রোগের জন্য।
  • ১১-১২ সপ্তাহ বয়সে ফাউল কলেরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে দিতে হবে ফাউল কলেরা রোগের জন্য।
  • ১৫-১৬ সপ্তাহ বয়সে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা চামড়ার নিচে দিতে হবে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জন্য।
  • ১৬-১৭ সপ্তাহ বয়সে জি + এনডি +আইবি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে করাইজা, সালমোনেলা, রাণীক্ষেত, ব্রংকাইটিস রোগের জন্য।
আপনি যদি এই ভ্যাকসিনগুলো নির্দিষ্ট সময়ে আপনার মুরগিকে দিতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে গেছে। এছাড়াও এই ভ্যাকসিনের কারণে ফাউমি মুরগির ওজন বৃদ্ধি ছাড়াও টিম বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। তাই আপনি যদি একজন ফাউমি মুরগির খামারি হয়ে থাকেন তাহলে এই সকল ভ্যাকসিনগুলো খুবই কার্যকরী আপনার মুরগির জন্য। 
ভ্যাকসিন ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তার কিংবা পুরাতন খামারির কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। এছাড়াও প্রতি ছয় মাস পর পর ফাউমি মুরগিকে ভ্যাকসিন করাতে হবে এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি

ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি, বর্তমান চাকরির বাজার খারাপ হওয়ার কারণে অনেকেই মুরগির খামার দিয়ে স্বাবলম্বী হতে চাচ্ছে। আপনি যদি মুরগি পালন করে অল্প সময়ে লাভবান হতে চান তাহলে অবশ্যই ফাউমি মুরগি পালন করতে পারেন। কারণ ফাউমি মুরগি অন্যান্য মুরগি থেকে সুস্থ ও সবল থাকে এছাড়াও ফাউমি মুরগি গরম আবহাওয়ায় কোন ধরনের সমস্যা হয় না। 
গরম কিংবা ঠান্ডা সব পরিবেশেই ফাউমি মুরগি পালন করা যায় এতে কোন ধরনের সমস্যা হয় না। কিন্তু আপনি যদি ফাউমি মুরগি পালন করে লাভবান হতে চান তাহলে অবশ্যই খাদ্য এবং বাসস্থানের দিকে নজর দিতে হবে। এই পোষ্টের উপরে দেওয়া আছে কিভাবে অল্প খরচে ফাওমি মুরগির খাদ্য তৈরি করে লাভবান হওয়া যায়। 
আপনি যখন ফাউমি মুরগি পালন করার জন্য খামার তৈরি করবেন অবশ্যই খামারের সামনে অথবা পিছনে কিছু জায়গা রাখার চেষ্টা করবেন এবং সেই জায়গায় সবুজ শাকসবজি লতা পাতা চাষ করতে পারেন।কারণ আপনি যদি ফাউমি মুরগিকে 20 থেকে 30 পারসেন্ট সবুজ শাকসবজি খাওয়াতে পারেন এতে আপনার খরচ অনেকটাই কমে আসবে। 

এর জন্য দরকার হবে খামারের সামনে অল্প কিছু জমি বা জায়গা যে জমি বা জায়গাতে শাকসবজি চাষ করে প্রতিদিন বিকাল বেলা সব মুরগি খামার থেকে বের করে সবুজ শাকসবজি খাওয়াতে পারেন ৩০-৪০ মিনিট যাবত। এতে ফাউমি মুরগি শারীরিক ভাবে সুস্বাস্থ্য থাকবে আশা করি বুঝতে পেরেছেন ফাউমি মুরগি কিভাবে পালন করলে লাভবান বেশি হওয়া যায়।

ফাউমি মুরগি বছরে কতটি ডিম দেয়

ফাউমি মুরগি বছরে কতটি ডিম দেয়, ফাউমি মুরগি একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে ফাউমি মুরগি বছরে কয়টি ডিম দেয়। ফাউমি মুরগি সাধারণত বছরে ২৫০ থেকে ৩০০ ডিম দিয়ে থাকে যদি ফাউমি মুরগি সুস্থ সবল থাকে। এছাড়া যারা ফাউমি মুরগির ডিম উৎপাদনের জন্য 
বিভিন্ন খাদ্য বা ঔষধ ব্যবহার করে থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই ডিমের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। ফাউমি মুরগির ডিম আকারে একটু ছোট হয়। ফাহমি মুরগি প্রায় দুই বছর থেকে তিন বছর পর্যন্ত সমানভাবে ডিম দিয়ে থাকে এরপর আস্তে আস্তে ডিম দেওয়া কমতে শুরুইয়।করে।

ফাউমি মুরগি চেনার উপায়

ফাউমি মুরগি চেনার উপায়
ফাউমি মুরগি চেনার উপায়
ফাউমি মুরগি চেনার উপায়, আমরা যারা নতুন অবস্থায় ফাউমি মুরগির ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছি তাদের একটি সমস্যা হচ্ছে সেটি হল ফাউমি মুরগি কিভাবে চিনব। কারণ বর্তমান বাজারে ফাউমি মুরগি নামে অন্যান্য মুরগিও চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি বুঝতে পারবেন যে এই মুরগি ফাউমি মুরগি সেজন্যে পোস্টটি ধারাবাহিকভাবে পড়া শুরু করুন।
  • ফাউমি মুরগির পা কালছে রঙের হয়।
  • লোম গুলো সাদা কালো হয়।
  • চোখ হয় বাদামি কালার।
  • নক হয় কালো কালার।
  • গলার নিচে সাদা।
  • পেট এবং পিট কালছে রঙের  হয়।
আপনি যদি এই সমস্ত বিষয়গুলো ভালো করে ফলো করেন তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে এটি ফাউমি মুরগি অন্য কিছু। এছাড়াও আপনি আরেকটি কাজ করতে পারেন সেটি হলো আপনি যখন ফাউমি মুরগি কিনতে যাবেন তখন মুরগি নেওয়ার আগে উপরে দেওয়া বৈশিষ্ট্য গুলো মিলিয়ে নিবেন। যদি মিলে যায় তাহলে মনে করবেন এটি ফাউমি মুরগি আর যদি না মিলে যায় তাহলে মনে করবেন এটি ফাওমি মুরগি নয়।

ফাউমি মুরগির বাচ্চার দাম

ফাউমি মুরগির বাচ্চার দাম, ফাউমি মুরগির বাচ্চার দাম নির্ভর করছে তার বয়সের উপর। কারণ বাজারে বিভিন্ন রকমের বাচ্চা পাওয়া যায় এর মধ্যে যে বাচ্চার একটু বয়স বেশি থাকে সেই বাচ্চার দাম তুলনামূলক বেশি হয়। 
একদিন বয়সি বাচ্চার দাম বর্তমান বাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়াও ১৫ দিনের বাচ্চাও পাওয়া যায় তার দাম হলো ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং ৩০ দিনের বাচ্চার দাম ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা হয়ে থাকে।

ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় শেষ কথা

আপনি যদি মুরগি পালন করে সাবলম্বী হতে চান তাহলে নির্দ্বিধায় ফাউমি মুরগি পালন করতে পারেন। ফাউমি মুরগি পালন করে খুব সহজেই লাভবান হওয়া যায় কারণ ফাউমি মুরগি সব পরিবেশেই সুস্থ ও সবল থাকে হোক ঠান্ডা কিংবা গরম। আপনি যদি বাণিজ্যিকভাবে ফাউমি মুরগি পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই দুই থেকে তিন মাসের একটি প্রশিক্ষণ করে নেবেন।

তাহলে ফাউমি মুরগি পালন করতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। আর আপনার যদি প্রশিক্ষণ নিতে কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে পুরাতন খামারির কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ফাউমি মুরগির ব্যবসা শুরু করে সহজেই স্বাবলম্বী হতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url