আমড়া পাতার উপকারিতা - আমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আতা ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে ক্লিক করুনআমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা রয়েছে। আপনি কি জানেন যেমন আমড়ার উপকারিতা রয়েছে তেমনি আমড়ার পাতা এবং গাছের ছালের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে যা ঔষধি নামে পরিচিত। আজকের আর্টিকেলটি আমড়া পাতার উপকারিতা এবং আমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আপনি যদি একটু সময় দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন তাহলে আপনি জানতে পারবেন বিলাতি আমড়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়া যাবে কিনা, আমড়া খেলে কি ওজন বাড়ে, আমড়ার আচারের উপকারিতা, খালি পেটে আমড়া খেলে কি হয়, আমড়া খাওয়ার নিয়ম, আমড়ার পুষ্টিগুণ। আমরা যখন বন্ধুদের সাথে আমরা খেতে যাই তখন এই সমস্ত কমন প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর সম্পর্কে।
সূচীপত্রঃ আমড়া পাতার উপকারিতা
আমড়া পাতার উপকারিতা
আমড়া পাতার উপকারিতা, আমড়া একটি পুষ্টিকর ফল এটি বাড়ির আনাচে-কানাচে দেখা যায় আমরা গাছের পাতা অনেকেই ঔষধি পাতা নামের চিনে থাকি। কারণ আমড়ায় যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি আমড়া পাতারও বিশেষ উপকারিতা রয়েছে। কারণ আমড়া পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে যেমনঃ
কৃমিনাশকঃ আমড়ার পাতা কৃমিনাশক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যাদের পেটে কৃমির আবির্ভাব বেশি তারা কামলার পাতা খেলে কৃমি দূর হয়ে যায়।
চর্মরোগঃ আমড়া গাছের পাতা কিংবা ছাল চর্ম রোগের ঔষধ হিসেবে প্রচুর ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুনঃ আতা ফলের পাতার উপকারিতা
ঘাজনিত ক্ষতঃ গাজনিতো স্থানে আমড়ার পাতা বেটে ক্ষতস্থানে লাগালে কয়েক ঘণ্টার ভিতরে ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ আমড়ার পাতায় ভিটামিন সি থাকার কারণে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধঃ রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করার জন্য আমড়ার পাতা বিশেষ উপকারী। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্ত শোষণে সাহায্য করে।
হজম স্বাস্থ্য উন্নতঃ আমড়ার পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজম শক্তি উন্নত করে আবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ আমড়ার পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার রক্তনালী গুলিকে শিথিল করবে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। আবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কারনে হৃদরোগ প্রতিরোধ ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ কদবেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
আমড়ার পাতা আপনি বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন এটি কাঁচাও চিবিয়ে খেতে পারেন। আবার আপনি চাইলে আমরা গাছের পাতা দিয়ে চা তৈরি করে খেতে পারেন। আবার আপনার ত্বকে যদি কোন ধরনের দাগ থেকে থাকে তাহলে আমড়া গাছের পাতা সিদ্ধ করে তরল অংশটুকু আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন এতে বিশেষ উপকার পাবেন।
আমড়ার আচারের উপকারিতা
আমড়ার আচারের উপকারিতা, আমড়ার আচার পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর কারণ আমড়ার আচার দেখলেই আমাদের সবার জিভে জল চলে আসে। এর পাশাপাশি আমড়ার আচারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা তাহলে চলুন দেখে নেই কি কি উপকারিতা রয়েছে আমড়ার আচারে। যেমন আমাদের শরীরের ইউনিটি বুস্টিং রিমুভ করে, সুগার লেভেল কন্ট্রোলে রাখা, হেলথ ভালো রাখে, গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেস বা বমি বমি ভাব দূর করে।
আরো পড়ুনঃ পাকা কদবেল চেনার উপায়
এছাড়াও আরো বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে আমড়ার আচারে। একজন মানুষ যদি নিয়মিত অল্প পরিমাণে আমড়ার আচার খেতে পারে তাহলে তার শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা দেখা দিবে। কিন্তু যাদের ক্যান্সারের সমস্যা রয়েছে তারা আমড়ার আচার খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন। এবং যদিও খেতে চান তাহলে পরিমাণে খুবই কম খাবেন এবং খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
বিলাতি আমড়ার উপকারিতা
বিলাতি আমড়ার উপকারিতা, বিলাতি আমরা দেশি আমরার চেয়ে অনেক গুণ বেশি সুস্বাদু এবং মিষ্টি হয় দেশি আমড়ায় যেমন টক লাগে কিন্তু বিলাতি আমড়ায় কোন ধরনের টকের ছায়া নেই। আমরা স্কুল কলেজে গিয়ে বন্ধু-বান্ধবের সাথে আমরা খেতে অনেক মজা পাই এবং মজা করে খেতেও পছন্দ করি কিন্তু এই আমড়া বিভিন্ন রূপে খাওয়া যেতে পারে।
আমরা সকলেই একবার না একবার বিলাতি আমরা খেয়েছি কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা বিলাতি আমড়ার উপকারিতা গুলো কি কি নো টেনশন আজকে আপনাদের জানাবো। বিলাতি আমড়ার বেশ কিছু উপকারীতা রয়েছে যেমন হজমে সহায়তা করে, রক্ত জমাট বাধার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রক্তস্বল্পতা দূর করে,
আরো পড়ুনঃ তরমুজের বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে, ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে, রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, বার্ধক্যকে প্রতিহত করে, বদহজম ও মুখের রুচি বাড়ায়, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে এছাড়াও পাকস্থলী সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কারণ বিলাতি আমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি উপাদান।
গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়া যাবে কিনা
গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়া যাবে কিনা, আমড়া একটি পুষ্টিকর ফল এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ক্যালসিয়াম আয়রন ফাইবার এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এই পুষ্টি উপাদান গুলি গর্ভ অবস্থায় মা ও শিশুর জন্য খুবই উপকারী। আমড়ায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আমড়া মা ও শিশুকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
আমড়ায় থাকা ক্যালসিয়াম মাড়ি ও দাঁতের গঠনে অত্যন্ত ভূমিকা পালন করে। আমড়া মা ও শিশুর হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে এবং মা ও শিশুর রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।আমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার যা হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে আবার আমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
আরো পড়ুনঃ ফেরাউন কি তরমুজের ব্যবসা করতো
যা মা ও শিশুর কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া আরো বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়া যায় আমড়ায়। একজন মা গর্ভ অবস্থায় যদি নিয়মিত পরিমান মত আমড়া খেতে পারে তাহলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা মিলবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন গর্ব অবস্থায় আমরা খাওয়া যাবে কিনা।
আমড়া খেলে কি ওজন বাড়ে
আমড়া খেলে কি ওজন বাড়ে, এর সংক্ষিপ্ত উত্তর হল না কারণ আমড়া খেলে ওজন বাড়েনা বরং ওজন কমাতে সাহায্য ইয়রে। কারন আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে জা আপনার খাবার হজম হতে সময় লাগায় ফলে আমড়া খেলে বেশিক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং ক্ষুধা কম লাগে। এছাড়াও আমড়ায় থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে ফলে খাবার থেকে শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ কামরাঙ্গার উপকারিতা ও অপকারিতা
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রতিদিন ১০০ গ্রাম আমড়া খেয়েছেন তাদের ওজন কমছে। কিন্তু বিভিন্ন চিকিৎসকের মতে আমড়া যদি পরিমাণ এর চেয়ে বেশি খেয়ে থাকেন তাহলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আমড়া অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে তাই প্রতিদিন একটি অথবা দুইটি আমড়া খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত এতে বিভিন্ন উপকার মিলবে আপনার শরীরে।
আমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, আমরা একটি সহজলভ্য ফল এটি দামে অনেক সস্তা এবং বসতবাড়ির আনাচে-কানাচে গাছ দেখা যায় এবং সেই গাছে সারা বছর প্রচুর পরিমাণে ফল দেখা জায়। কিন্তু আপনি কি জানেন আপেলের চেয়ে এই সস্তা ফলে অনেক গুণ বেশি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। আমড়ার উপকারিতা বলে শেষ করার মত নয়
এরপরেও আমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি এখনো উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে উপরে দেওয়া উপকারিতা গুলো থেকে জেনে নিতে পারেন। এখন আপনাদের জানাবো আমড়ার অপকারিতা সম্পর্কে আমড়ার অপকারিতা নেই বললেই চলে। এর পরেও আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে আমড়া খেয়ে থাকেন
আরো পড়ুনঃ কামরাঙ্গা খেলে কি ক্যান্সার হয়
তাহলে যে সমস্ত সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে সেগুলো নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। যেমন পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব, হজম সমস্যা, আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে থাকেন তাহলে এই সমস্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্ত সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আপনি নিয়মিত একটি অথবা দুইটি আমড়া খেতে পারেন এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
খালি পেটে আমড়া খেলে কি হয়
খালি পেটে আমড়া খেলে কি হয়, একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় খালি পেটে আমড়া খেলে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে উপকারিতা ভয়ে আনতে পারে। আমার ব্যক্তিগত মতামত হল খালি পেটে আমড়া না খাওয়াই বেটার হবে। কারণ খালি পেটে আমরা খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন এসিডিটি, গ্যাস্ট্রিক আলসার, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব,
আরো পড়ুনঃ করমচা ফলের উপকারিতা
বদহজম ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো আপনি খালি পেটে আমড়া খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন এতে আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা বয়ে আনবে। এরপরেও যদি আপনার খালি পেটে আমড়া খেতে মন চায় তাহলে পরিমাণ মত খেতে পারেন।
আমড়া খাওয়ার নিয়ম
আমড়া খাওয়ার নিয়ম, আমরা একটি পুষ্টিকর খাবার আমড়া আপনি বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন। যেমন কাঁচা আমড়া, পাকা আমড়া, রান্না করে, আচার বানিয়ে, ছাড়াও আমড়ার জুস বানিয়ে খেতে পারেন। আমড়া আপনি যেভাবে খেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মনে করেন সেভাবেই খেতে পারেন এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
আরো পড়ুনঃ চিনা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কিন্তু খাওয়ার সময় একটি কথা মাথায় রাখবেন সেটি হল অতিরিক্ত পরিমাণে আমড়া খেতে যাবেন না। অতিরিক্ত পরিমাণ বলতে আপনি প্রতিদিন দুইটি থেকে একটি আমড়া খেতে পারেন। এবং খাওয়ার সময় সুন্দর করে ধুয়ে নেবেন এবং বীজগুলো ফেলে খাওয়া শুরু করবেন। এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না আশা করি বুঝতে পেরেছেন আমড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
আমড়ার পুষ্টিগুণ
আমড়ার পুষ্টিগুণ, আমড়ার পুষ্টিগুণ বলে শেষ করার মত নয় এরপরেও আমড়ায় থাকা কিছু কমন পুষ্টিগুণ নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে সেগুলি নিচে তুলে ধরা হলো।
- শর্করাঃ ১৫ গ্রাম
- প্রোটিনঃ ১.১ গ্রাম
- চর্বিঃ ০.১ গ্রাম
- ক্যালসিয়ামঃ ৫৫ মিলিগ্রাম
- আয়রনঃ ৩.৯ মিলিগ্রাম
- ক্যারোটিনঃ ৮০০ মাইক্রোগ্রাম
- ভিটামিন বিঃ ১০.২৮ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন সিঃ ৯২ মিলিগ্রাম
- অন্যান্য খনিজ পদার্থঃ ০.৬ গ্রাম
- খাদ্যশক্তিঃ ৬৬ কিলোক্যালরি
আরো পড়ুনঃ কিসমিস খেলে কি মানুষ ফর্সা হয়
এছাড়াও আমড়ায় আরো অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে যেগুলো না জানলেই নয় সেগুলো আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি।
উপসংহার
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের আর্টিকেলটি লিখতে গিয়ে শৈশবে স্কুল ফাঁকি দিয়ে স্কুলের গেটের সামনে কিংবা মাঠে গিয়ে বন্ধু-বান্ধবের সাথে আমড়া খেতে বসে যেতাম। কিন্তু তখন আমরা জানতাম না যে আমড়া খেলে এতগুলো উপকারিতা এবং এতগুলো পুষ্টিগুণ পাবো।
কিন্তু আজকে যখন আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লিখে প্রস্তুত করলাম তখন নিজেই চমকে গেলাম। কারণ ছোটবেলায় আমাদের বন্ধু বান্ধবীর সাথে একসাথে মিলে খালি পেটে কিংবা ভরা পেটে প্রচুর পরিমাণে আমড়া খেতাম। কিন্তু তখন এই সমস্ত উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে তেমন কোন জ্ঞান ছিল না।
আরো পড়ুনঃ রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
কারন ওই সময় আমড়া খেতে খুবই মজা লাগতো কিন্তু এখন আমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনেও খাওয়ার মত সেই সব বন্ধু-বান্ধব খুঁজে পাওয়া দুষ্কর এমনকি একা একা খেতেও ভালো লাগেনা আগের মতন। যাইহোক অনেক বকবক করে ফেললাম সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url