মিষ্টি আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা - মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ
আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে মিষ্টি আলু সম্পর্কে। আপনি যদি মিষ্টি আলোর উপর সঠিক জ্ঞান লাভ করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়া শুরু করুন। কারণ আজকের আর্টিকেলে মিষ্টি আলুর বিভিন্ন পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেই পয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে মিষ্টি আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা,
মিষ্টি আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা |
মিষ্টি আলু খেলে কি ওজন বাড়ে, মিষ্টি আলু খাওয়ার নিয়ম, গর্ভাবস্থায় মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা, মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ, মিষ্টি আলু কখন পাওয়া যায়। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন তাহলে এই সকল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা পেয়ে যাবেন।
সূচীপত্রঃ মিষ্টি আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা
- মিষ্টি আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা
- মিষ্টি আলু খেলে কি ওজন বাড়ে
- মিষ্টি আলু খাওয়ার নিয়ম
- গর্ভাবস্থায় মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা
- মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ
- মিষ্টি আলু কখন পাওয়া যায়
- লেখকের মন্তব্য মিষ্টি আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা
মিষ্টি আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা
মিষ্টি আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা, আমরা সবাই মিষ্টি আলু খেতে পছন্দ করি কিন্তু মিষ্টি আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানিনা। মিষ্টি আলুর উপকারিতা বলে শেষ করার মত নয় কারণ মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও পটাশিয়াম। আবার মিষ্টি আলোতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের ক্যান্সারের মতো রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
মিষ্টি আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা |
মিষ্টি আলু বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায় যেমন সিদ্ধ করে, আগুনে পুড়িয়ে এবং রান্না করে আপনি যেভাবেই খান না কেন মিষ্টি আলুর উপকারিতা আসতেই থাকবে। মিষ্টি আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়ঃ মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটা ক্যারোটিন যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে চোখ সূর্যের অতিবেগুনি আলোকরশ্মি থেকে খুব সহজেই রক্ষা করতে পারে। তাই আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য মিষ্টি আলু খেতে পারেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণঃ মিষ্টি আলুতে রয়েছে ক্যালরি এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আপনার ওজন খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। কারণ ফাইবার আমাদের পেটকে দীর্ঘ সময় ভরা রাখতে সাহায্য করে।
তাই আপনি যদি আপনার ওজন নিয়ে চিন্তায় থাকেন তাহলে আপনার খাবার তালিকায় মিষ্টি আলু রাখতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মিষ্টি আলু খেতে পারেন। কারণ মিষ্টি আলুতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড ও অ্যান্থোসায়ানিন এই উপাদান দুটি ফ্রি র্যাডিক্যালের মত রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান তাহলে মিষ্টি আলু খেতে পারেন এতে বিশেষ উপকার পাবেন।
হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ মিষ্টি আলু হজম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কারণ মিষ্টি আলুতে রয়েছে মিনারেল এবং ভিটামিন বি যা পেট ফাঁপা এবং পেটব্যথা থেকে খুব সহজেই মুক্তি দেয়। তাই আপনি যদি হজম সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ মিষ্টি আলু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মিষ্টি আলু মিষ্টি হওয়ার কারণে অনেক ডায়াবেটিস রোগী মিষ্টি আলু খেতে ভয় পায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে মিষ্টি আলু খেলে কমবে ডাইবেটিস। কারণ মিষ্টি আলুতে গ্লাসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ খুবই কম থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ত্বক ও চুল উজ্জ্বলঃ আপনার ত্বক ও চুল উজ্জ্বল চকচকে রাখার জন্য মিষ্টি আলুর সিজনে মিষ্টি আলু খেতে পারে না। এছাড়াও আপনার যদি চুল পড়ার সমস্যা থাকে তাহলে মিষ্টি আলু খেতে পারেন। তাহলে দেখবেন মিষ্টি আলু খাওয়ার কারণে খুব সহজেই চুল পড়া বন্ধ হয়ে গেছে।
হার্ট সুস্থ রাখেঃ হার্ট সুস্থ রাখার জন্য মিষ্টি আলু খেতে পারেন কারণ মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা আপনাকে হার্টের রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও মাংসপেশী শক্ত ও সবল রাখতে সাহায্য করবে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মিষ্টি আলু খুবই উপকারী। মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিমিষেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তাই আপনার যদি উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা থাকে তাহলে মিষ্টি আলু খেতে পারেন নির্দ্বিধায়।
ক্যানসার নিয়ন্ত্রণঃ মিষ্টি আলুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের ক্যান্সারের মতো রোগ নিমিষেই নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। তাই ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে দূরে থাকার জন্য নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে পারেন এতে দেখবেন সহজেই ক্যান্সার কাছে ঘেষতে পারবে না।
মস্তিষ্কের উন্নতিঃ মিষ্টি আলু মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটাতে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এছাড়াও মস্তিষ্কের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কোলাইন যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই আপনার সন্তানের স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকায় মিষ্টি আলু রাখতে পারেন।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণঃ আপনি যদি নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের রক্তের শর্করা খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই আপনার যদি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্যা হয় তাহলে নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে পারেন। এতে খুব সহজেই রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
সিলিয়াক রোগঃ আপনি যদি নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে পারেন তাহলে সিলিয়াক রোগের মত ভয়ংকর রোগ কাছে আস্তে পারবে না। তাই আপনি যদি সিলিয়াক রোগ থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে মিষ্টি আলু খেতে পারেন।
মিষ্টি আলুর এই ১২ টি উপকারিতা ছাড়া আরও অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে যা বলে শেষ করার মত নয় যেগুলো না বললেই নয় সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি শারীরিক কিংবা মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চান তাহলে অবশ্যই মিষ্টি আলুর সিজনে মিষ্টি আলু খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।
মিষ্টি আলুর অপকারিতা
মিষ্টি আলোর অপকারিতা, মিষ্টি আলুর অপকারিতা নাই বললেই চলে এর পরেও বেশ কিছু অপকারিতা রয়েছে যা নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
এলার্জিঃ কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে মিষ্টি আলু এলার্জির কারণ হতে পারে যেমন চুলকানি ও ফোলাভাব এই সকল সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।
রান্নার সময় সতর্কঃ অন্যান্য সবজির চেয়ে মিষ্টি আলু রান্না করতে কিছুটা সময় বেশি লাগে। যারা খুব দ্রুত সবজি রান্না করে খেতে চান তাদের জন্য মিষ্টি আলু একটু বোরিং ব্যাপার কারণ মিষ্টি আলু রান্না করতে কিছুটা সময় লাগে।
শর্করার উপর প্রভাবঃ মিষ্টি আলু শর্করার প্রভাব বাড়িয়ে তুলতে পারে খুব সহজেই। কিন্তু আপনি যদি পরিমাণ মতো মিষ্টি আলু খেতে পারেন তাহলে এই সমস্যা দেখা দিবে না। আবার আপনি যদি পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত খেতে থাকেন তাহলে শর্করার প্রভাব বাড়তে পারে।
সবার জন্য নয়ঃ মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা সব মানুষের জন্য উপকারী নয়। যাদের আগে থেকেই কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য মিষ্টি আলু খাওয়া স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। তাই যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তাদের মিষ্টি আলু পরিমাণ মতো খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
ক্যালোরিঃ যাদের শরীরে ক্যালরি বেশি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে মিষ্টি আলু অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হতে পারে। কারণ মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। তাই আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি আলু খেতে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
কিডনিতে পাথরঃ যাদের আগে থেকেই কিডনিতে পাথর রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে মিষ্টি আলু খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। তাই আপনার যদি আগে থেকেই কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে তাহলে মিষ্টি আলু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন খেলেও অল্প পরিমানে খান।
মিষ্টি আলুর তেমন বিশেষ কোনো অপকারিতা দেখা যায় না। কিন্তু আপনি যদি পরিমাণ এর চেয়ে অতিরিক্ত খেতে থাকেন তাহলে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের অপকারিতা। যা আপনার শরীরকে খুব সহজেই অসুস্থ করে তুলবে। তাই মিষ্টি আলু খাওয়ার সময় অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
মিষ্টি আলু খেলে কি ওজন বাড়ে
মিষ্টি আলু খেলে কি ওজন বাড়ে, মিষ্টি আলু খেয়েও ওজন বৃদ্ধি করা যায় কিন্তু ভিন্ন উপায়ে খেতে হবে।আমরা অনেকেই ওজন কমানোর জন্য মিষ্টি আলু খেয়ে থাকি। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে মিষ্টি আলু খেলে খুব দ্রুত ওজন কমে যায়। কিন্তু আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে যেটি করতে হবে সেটি হল মিষ্টি আলু খাওয়ার পরিমাণ একটু বাড়াতে হবে।
কারণ আপনি যদি পরিমাণ মতো মিষ্টি আলু খেতে থাকেন তাহলে দেখা যাবে আপনার শরীর আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে। কিন্তু আপনি যদি পরিমাণ এর চেয়ে একটু বেশি খেতে থাকেন তাহলে দেখবেন অল্প দিনের ভেতরে আপনার ওজন বৃদ্ধি হওয়া শুরু করেছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন মিষ্টি আলু খেয়ে কিভাবে ওজন বৃদ্ধি করা যায়।
মিষ্টি আলু খাওয়ার নিয়ম
মিষ্টি আলু খাওয়ার নিয়ম, আমাদের আশেপাশে অনেকেই রয়েছে যাদের মিষ্টি আলু খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেই। সেজন্য চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই আজকে আমি আপনাদের জানাবো মিষ্টি আলু কত ভাবে খাওয়া যায়। মিষ্টি আলু আমরা বিভিন্নভাবে খেতে পারি যেমন কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারি, সিদ্ধ করে খেতে পারি,
আগুনে পুড়িয়ে খেতে পারি এবং বিভিন্ন রান্নার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে কোন উপায়ে খেলে উপকার বেশি পাওয়া যাবে। এর উত্তর হল যেকোনো উপায়ে খেলে এর উপকার পাবেন। কিন্তু আপনি যদি বেশি উপকার পেতে চান তাহলে অবশ্যই মিষ্টি আলু সিদ্ধ করে কিংবা কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন।
তাহলে দেখবেন মিষ্টি আলুর সকল উপকারিতা পেয়ে গেছেন কিন্তু আপনি যদি মিষ্টি আলু রান্না করে খান তাহলে অনেক উপকারিতা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন মিষ্টি আলু কিভাবে খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়।
গর্ভাবস্থায় মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা, মিষ্টি আলুর যত উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে সব উপকারিতা এবং অপকারিতা উপরে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু অনেক মায়েদের প্রশ্ন যে গর্ভাবস্থায় মিষ্টি আলু খাওয়া কি নিরাপদ তাদের উদ্দেশ্য নিয়েই আজকের আর্টিকেলটি লেখা। বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থায় মিষ্টি আলু খাওয়া নিরাপদ।
এছাড়াও গর্ব অবস্থায় মিষ্টি আলু খেলে অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়, পেটের সন্তান সুস্থ ও সরল থাকে। এছাড়াও আপনি যদি গরবস্থায় নিয়মিত কিংবা পরিমাণ মত মিষ্টি আলু খেতে পারেন তাহলে আপনার সন্তানের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
এমনকি আপনার সন্তানের ত্বক এবং চুল উজ্জ্বল ও চকচকে রাখতে সাহায্য করবে। এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে মিষ্টি আলুর। তাই আপনি যদি একজন গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে নির্দ্বিধায় মিষ্টি আলু খেতে পারেন এতে বিশেষ উপকার পাবেন। কিন্তু খাওয়ার সময় অবশ্যই পরিমাণ মতো খেতে হবে যদি অতিরিক্ত মিষ্টি আলু খেতে থাকেন তাহলে উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হতে পারে।
মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ
মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ, মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণের পরিমাণ নির্ভর করে এর জাত, রঙ এবং কীভাবে রান্না করা হয়েছে তার উপর। তবে, গড় হিসাবে, মিষ্টি আলুতে নিম্নলিখিত পুষ্টিগুণ দেখা যায়। প্রতি 100 গ্রাম মিষ্টি আলুতে রয়েছেঃ
- ক্যালোরিঃ 112
- জলঃ 77%
- প্রোটিনঃ 1.6 গ্রাম
- চর্বিঃ 0.3 গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেটঃ 25.5 গ্রাম
- ফাইবারঃ 3 গ্রাম
- শর্করাঃ 22.5 গ্রাম
- সুক্রোজঃ 0.3 গ্রাম
- গ্লুকোজঃ 0.5 গ্রাম
- ফ্রুক্টোজঃ 0.5 গ্রাম
- ভিটামিন এঃ 1030 IU (206% DV)
- ভিটামিন সিঃ 24 মিলিগ্রাম (40% DV)
- ভিটামিন বি6ঃ 0.2 মিলিগ্রাম (12% DV)
- পটাশিয়ামঃ 542 মিলিগ্রাম (15% DV)
- ম্যাগনেসিয়ামঃ 26 মিলিগ্রাম (7% DV)
- লৌহঃ 0.6 মিলিগ্রাম (4% DV)
মিষ্টি আলু কখন পাওয়া যায়
মিষ্টি আলু কখন পাওয়া যায়, মিষ্টি আলু বছরের প্রায় সবসময়ই কম বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু মিষ্টি আলু সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বর মাসে। সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই মিষ্টি আলু অধিক পরিমাণে দেখা যায়। এছাড়াও আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে এই সময় কম বেশি হতে পারে।
কিন্তু স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশে সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বর মাসে মিষ্টি আলুর পরিমাণ বেশি দেখা যায় বাজারে। এই সময় মিষ্টি আলুর দাম খুবই কম থাকে তাই আপনার শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য কিংবা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য মিষ্টি আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে মিষ্টি আলুর উপকারিতা ও অপকারিতার সম্পর্কে এবং এর প্রাসঙ্গিক আরও বেশ কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর নিয়ে পুরো আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়তে পড়তে এখানে চলে আসেন তাহলে ইতিমধ্যে আপনি জানতে পেরেছেন যে মিষ্টি আলুর কি কি উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। এছাড়াও মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ কি, কখন খেতে হয়। কখন পাওয়া যায়, গর্ভাবস্থায় খেলে কি হয়,
কম খেলে কি হয়, বেশি খেলে কি হয় এই সকল প্রশ্নের উত্তর উপরে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাই আপনি যদি এই পুরো আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর যদি না করে থাকেন তাহলে একটু সময় দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন এবং মিষ্টি আলুর উপর সঠিক ধারণা লাভ করতে পারেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url