গ্যাসের সবচেয়ে ভালো সিরাপ কোনটি - বিস্তারিত জানুন
আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবারই গ্যাস কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। কারন আমরা অনেক সময় হাটবাজারে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের তেল জাতীয় খাবার খেয়ে পেটে গ্যাসের ভাষা বেঁধে নিয়ে চলে আসি। তাই আপনি যদি গ্যাসের হাত থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই তেল জাতীয় খাবার এবং ভাজাপোড়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
এতে দেখবেন অতি সহজেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে গিয়েছে। আজকের আর্টিকেলটি গ্যাসের সবচেয়ে ভালো সিরাপ কোনটি এই বিষয়টি নিয়ে পুরো আর্টিকেলটি দেখা হয়েছে এবং এর সাথে রয়েছে গ্যাসের সিরাপের নামের তালিকা, গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা ও দাম, স্কয়ারের গ্যাসের ট্যাবলেট, গ্যাসের ঔষধ চেনার উপায়, গ্যাসের ঔষধ কখন খেতে হয় আপনি যদি এই সকল বিষয়ের উপর সঠিক ধারণা লাভ করতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে ফেলুন।
সূচীপত্রঃ গ্যাসের সবচেয়ে ভালো সিরাপ কোনটি
গ্যাসের সবচেয়ে ভালো সিরাপ কোনটি
গ্যাসের সবচেয়ে ভালো সিরাপ কোনটি, গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ আমাদের দেহের জন্য সেবন না করাই বেটার হবে। কারণ গ্যাসের সিরাপের কারণে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যারা গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ কিংবা
ট্যাবলেট না খেলে তাদের গ্যাস কমতে অনেক অংশে কঠিন হয়ে যায়। তাদের জন্য জনপ্রিয় কিছু সিরাপ রয়েছে যে সিরাপ গুলো খেলে সাময়িকভাবে গ্যাস্টিকের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে গ্যাসের সবচেয়ে ভালো সিরাপ কোন গুলো।
গ্যাভিসলঃ পেট ফাঁপা, বুক জ্বালাপোড়া, ঢেকুর ওঠা এমন কি পেট ব্যথা এই সকল সমস্যার জন্য এই সিরাপটি ব্যবহার করতে পারেন। এ সিরাপটি ব্যবহার করা মাত্রই ৫ মিনিটের ভিতরে গ্যাস্ট্রিক ঠিক হয়ে যাবে।
ফেমোট্যাক সিরাপঃ ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত গ্যাস্ট্রিকের বিরুদ্ধে এই সিরাপটি খেতে পারেন এই সিরাপটি গ্যাস্ট্রিক এবং বদ হজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী সিরাপ।
কারমিনা সিরাপঃ পাকস্থলী লিভারের দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা এই সকল সমস্যা সহ আরো বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে কারমিনা সিরাপটি।
বেয়ানোঃ এই সিরাপটিতে এনজাইম রয়েছে যা খাদ্যে চিনি ভাঙতে সাহায্য করে যা গ্যাস। এটি ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার লক্ষণগুলি প্রশমিত করতেও সহায়ক হতে পারে।
গ্যাসট্রোকন ডি এ সিরাপঃ আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অতিরিক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে সুস্থ হতে এই সিরাপটি খেতে পারেন এই সিরাপটি খুব দ্রুত গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সাহায্য করে।
গ্যাস-এক্সঃ এই সিরাপটিতে সিমাইথিকোন রয়েছে, এটি একটি অ্যান্টিফোয়ামিং এজেন্ট যা গ্যাসের বুদবুদ ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। এটি পেট ফোলাভাব, বমি বমি ভাব এবং পেট খারাপের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।
পেপ্টো-বিস্মলঃ এই সিরাপে বিসমাথ সাবসালিসাইলেট রয়েছে, যা একটি পদার্থ যা পেটের আস্তরণকে রক্ষা করতে এবং অতিরিক্ত অ্যাসিড নিরপেক্ষ করতে সহায়তা করে। এটি ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব এবং পেট খারাপের জন্য সাহায্য করে থাকে।
এন্টাসিড প্লাস সিরাপঃ তেল এবং ভাজাপোড়া খেয়ে যে সমস্ত প্লাস্টিকের লক্ষণ গুলো দেখা যায় সেই লক্ষণগুলো অতি সহজে নিরাময় করতে এই সিরাপটি খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর ঔষধ
মাইলান্টাঃ এই সিরাপটি তাৎক্ষণিকভাবে গ্যাস থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে কারন এই সিরাপে অ্যালুমিনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রক্সাইড রয়েছে, যা অ্যান্টাসিড যা পেটের অ্যাসিড নিরপেক্ষ করতে সহায়তা করে।
অ্যানটানিল প্লাসঃ যাদের গ্যাসের কারণে অতিরিক্ত গ্যাস, বদহজম, পেটব্যথা, পেট ফোলা ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাদের জন্য এই সিরাপটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী।
আরো পড়ুনঃ দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়
হারবিসল সিরাপঃ এই সিরাপ সাধারণত বাচ্চাদের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনার বাচ্চার যদি অতিরিক্ত গ্যাস থেকে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এই সিরাপটি খেতে পারেন। তাহলে দেখবেন নিমিষেই গ্যাস্ট্রিক দূর হয়ে গেছে।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ বাজারে পাওয়া যায় কিন্তু একটি কথা মনে রাখবেন সব সময় সেটি হল গ্যাস্ট্রিকের যেকোন ঔষধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেবেন কারণ আপনার শরীরে যদি আগে থেকেই কোন ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সব ধরনের ঔষধ খাওয়া যাবে না। এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারেন।
গ্যাসের সিরাপের নামের তালিকা
গ্যাসের সিরাপের নামের তালিকা, আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ১৫ প্লাস গ্যাসের সিরাপের নামের তালিকা এখান থেকে যেকোনো একটা খেয়ে আপনার অতিরিক্ত গ্যাস কমাতে পারেন তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ১৫ প্লাস গ্যাসের সিরাপের নাম সম্পর্কে।
- গ্যাস-এক্স
- ডোম্পামিন
- পেপ্টো-বিস্মল
- ওমেপ্রাজল
- মাইল্যান্টা
- বেয়ানো
- রোলাইডস
- ওমেপ্রাজল
- টামস
- ইমিপ্রাজল
- ডায়জিন-এম
- ল্যাকটেজ অ্যাসিস্ট
- গ্যাস-রেল
- ডাইজেস্ট-এইড
- ডায়জিন
- অ্যাসিডিন-এম
- ল্যানসোপ্রাজল
যাদের ঘন ঘন কিংবা অতিরিক্ত গ্যাসের চাপ দেয় তাদের জন্য এই ১৫ প্লাস সিরাপ গুলো দেখে নেওয়া উচিত কারণ আমরা অনেক সময় দেখা যায় বাজারে গিয়ে ভাজাপোড়া অনেক বাজে জিনিস খেয়ে থাকি। সেজন্য আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয় আপনার গ্যাস্ট্রিক কমানোর জন্য এই সিরাপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা ও দাম
গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা ও দাম, আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা গ্যাসের ওষুধের তালিকা এবং দাম সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই। তাদের জন্য ২০+ ওষুধের নামের তালিকা ও দাম নিয়ে আলাপ আলোচনা করব।
আরো পড়ুনঃ দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর ওষুধ
- ওপি ২০ঃ এক পিস ৫ টাকা
- টামসঃ এক পিস ১০ টাকা (চিবানো ট্যাবলেট)
- এক্সিলক ২০ঃ এক পিস ৫ টাকা (ট্যাবলেট)
- রোলাইডসঃ এক পিস ১৫ টাকা (চিবানো ট্যাবলেট)
- ইসুটিন ২০ঃ এক পিস ৬ টাকা (ট্যাবলেট)
- জেলোসিডঃ এক পিস ১০ - ১৫ টাকা (লিকুইড)
- রেনিটিডিনঃ এক পিস ২ টাকা (ট্যাবলেট)
- মাইল্যান্টাঃ এক পিস ১৫ - ২০ টাকা (লিকুইড)
- সার্জেলঃ এক পিস ৭ টাকা (ট্যাবলেট)
- গ্যাস-এক্সঃ এক পিস ১৫ - ২০ টাকা (ট্যাবলেট)
- ম্যাক্সপ্রো ২০ঃ এক পিস ৬ টাকা (ট্যাবলেট)
- সিমাইথিকোনঃ এক পিস ১০ - ১৫ টাকা (লিকুইড)
- ফিনিক্স ২০ঃ এক পিস ৭ টাকা (ট্যাবলেট)
- বেয়ানোঃ এক পিস ২০ - ৩০ টাকা (ট্যাবলেট)
- ইসোটিড ২০ঃ এক এক পিস ৫ টাকা (ট্যাবলেট)
- ডাইজেস্ট-এইডঃ এক পিস ১৫ - ২০ টাকা (ট্যাবলেট)
- ইসোমিপ্রাজল বিপিঃ এক পিস ৬ টাকা
- ল্যাকটেজ অ্যাসিস্টঃ এক পিস ১৫ - ২৫ টাকা (ট্যাবলেট)
- প্যানটোপ্রাজলঃ এক পিস ২০ - ৩০ টাকা
- পেপ্টো-বিস্মলঃ এক পিস ২০ - ৩০ টাকা (লিকুইড)
- সেকলো ২০ঃ এক পিস ৬ টাকা (ট্যাবলেট)
- ডেক্সল্যান্সোপ্রাজলঃ এক পিস ৯ টাকা
- ইসুটিন ২০ঃ এক পিস ৭ টাকা
এখানে প্রায় ২০ প্লাস গ্যাস্টিকের জনপ্রিয় ঔষধ এবং তাদের দাম তুলে ধরা হয়েছে। আপনারা এই সকল গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের দাম সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। যাতে করে ওষুধের দোকানে গিয়ে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে পারেন।
স্কয়ারের গ্যাসের ট্যাবলেট
স্কয়ারের গ্যাসের ট্যাবলেট, আমরা যে কোন রোগের জন্য স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ বেশি পছন্দ করি কারণ স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ অন্যান্য ঔষধের তুলনায় অনেক অংশে ভালো এবং উন্নত তাহলে চলুন স্কয়ার গ্যাসের ট্যাবলেট কি কি রয়েছে।
- গ্যাসট্র্যাক্টিভ
- রেনিটিডিন
- সেকলো
- প্যান্টোপ্রাজোল
- ডোমপেরিডন
- মেটোক্লোপ্রামাইড
- অ্যামোক্সিসিলিন
- ক্লাভুল্যানেট
- অমক্সিসিলিন এবং ক্লাভুল্যানেট
- সিপ্রোফ্লক্সাসিন
- লেভোফ্লক্সাসিন
- অফলক্সাসিন
- মেট্রোনিডাজোল
- টিনিডাজোল
- নাইট্রোফুরান্টোইন
- ফারাসিপাম
- লোপারামাইড
- ডিমেথাইকন
আপনি যদি আপনার গ্যাস্ট্রিকের জন্য এখান থেকে যেকোনো একটা ঔষধ খেতে পারেন। তাহলে গ্যাস এবং ফোলা ভাব, বুক জ্বালাপোড়া, পেট খারাপ, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এই সমস্ত রোগ থেকে নিমিষেই আরাম দিবে। এছাড়া আরো অনেক ধরনের স্কয়ার গ্যাসের ঔষধ রয়েছে।
গ্যাসের ঔষধ চেনার উপায়
গ্যাসের ঔষধ চেনার উপায় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা তাদের উদ্দেশ্যে বলতেছি যে আপনি যখন গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ কিনবেন তখন দেখবেন সেই ঔষধের নিচে ছোট ছোট করে কিছু লেখা দেখা যায়। যে লেখাগুলো আমি নিচে ধারাবাহিকভাবে দেওয়ার চেষ্টা করব এই লেখাগুলো থাকলে খুব সহজেই বুঝে নিতে পারবেন সেটা গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ।
আরো পড়ুনঃ শরীর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার
- ল্যানোসোপ্রাজল ৩০ মি. গ্রা.
- প্যানটোপ্রাজল ২০/৪০ মি. গ্রা.
- ওমিপ্রাজল ২০/৪০মি. গ্রা.
- ডেক্সল্যানসোপ্রাজল ৩০/৬০ মি. গ্রা.
- ওমিপ্রাজল ২০/৪০মি. গ্রা.
- রেবিপ্রাজল ২০/৪০ মি. গ্রা.
সাধারণত গ্যাসের ঔষধের নিচে ছোট ছোট করে এই সমস্ত লেখাগুলো বেশি দেখা যায় যা আপনারা দেখেই সহজেই বুঝতে পারেন। আপনি যদি এই কয়েকটি লেখা মনে রাখতে পারেন তাহলে দেখবেন গ্যাসের ঔষধ চিনতে কোনো রকম সমস্যা হচ্ছে না।
গ্যাসের ঔষধ কখন খেতে হয়
গ্যাসের ঔষধ কখন খেতে হয়, গ্যাসের ঔষধ যে কোন সময় খেতে পারেন। কারন আপনার যখনই অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের চাপ দেবে তখন আপনি গ্যাসের কিংবা গ্যাস্টিকের ঔষধ খেতে পারেন এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন সেটি হল দিনে দুইটার বেশি গ্যাসের ঔষধ খাবেন না।
আরো পড়ুনঃ হাত পা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ
আপনার যদি এমন হয় যে প্রতিদিন সকাল বিকাল দিনে তিন চার বার করে গ্যাসের চাপ দেয় তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন গ্যাসের ঔষধ কখন খেতে হয়।
গ্যাসের সবচেয়ে ভালো সিরাপ কোনটি শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলটি পেটে গ্যাস হওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি এই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে ইতিমধ্যে আপনি জানতে পেরেছেন গ্যাসের সবচেয়ে ভালো সিরাপ কোনটি। এই আর্টিকেলে গ্যাসের বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট সিরাপ ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে যা দেখে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে গ্যাসের কি কি ঔষধ রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ চেহারা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ
আপনার যদি অতিরিক্ত পেতে গ্যাস হয়ে থাকে তাহলে এই সমস্ত ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এই সমস্ত ঔষধ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে। কারণ আপনার শরীরে যদি আগে থেকেই কোন ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে গ্যাসের সব ধরনের ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং অতিরিক্ত গ্যাস হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url