প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন - সহ বিস্তারিত জানুন
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে জানতে ক্লিক করুনপ্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন কিভাবে করতে হয় আমরা অনেকেই জানিনা সেজন্য তাদের জন্য এই পুরো আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে এছাড়াও এর সাথে মিল রেখে আরো কয়েকটি প্রশ্ন নিয়ে পুরো পোস্টটি লেখা হয়েছে যা আপনাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে আসবে। যেমনঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়,
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন |
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন ফরম, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হটলাইন নাম্বার, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নীতিমালা, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখা, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে, কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ডিপিএস। আপনি যদি এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ করে নিতে পারেন তাহলে উপরে দেওয়া সকল প্রশ্নের উত্তর খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
সূচীপত্রঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন ফরম
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হটলাইন নাম্বার
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নীতিমালা
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখা
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে
- কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ডিপিএস
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন এর শেষ কথা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন করতে যে যে কাগজ পত্র এবং নথিপত্র প্রয়োজন হবে তা নিচে সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বাংলাদেশের প্রবাসীদের জন্য একটি সরকারি ঋণ প্রতিষ্ঠান। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে অভিবাসন ঋণ, পূনর্বাসন ঋণ এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইনে আবেদন করা যেতে পারে। আবেদন করতে, নিচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুনঃ
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ওয়েবসাইট
- "অনলাইন আবেদন" ট্যাবে ক্লিক করুন।
- "নতুন আবেদন" বোতামে ক্লিক করুন।
- আবেদন ফর্মটি পূরণ করুন।
- প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপলোড করুন।
- "সাবমিট" বোতামে ক্লিক করুন।
আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পরে, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আপনার আবেদনটি মূল্যায়ন করবে। আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনাকে একটি ঋণপত্র পাঠানো হবে। আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে নিম্নলিখিত নথিপত্রগুলি প্রস্তুত করুনঃ
- আবেদনকারীর সত্যায়িত ছবি (২ কপি)
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত কপি
- আবেদনকারীর স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানাসহ মেয়র/চেয়ারম্যানের দেওয়া সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত কপি
- ঋণের জামিনদারদের প্রত্যেকের সত্যায়িত ছবি (২ কপি)
- ঋণের জামিনদারদের ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত কপি
- ঋণের জামিনদারদের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানাসহ মেয়র/চেয়ারম্যানের দেওয়া সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত কপি
- ঋণের জামিনদারদের ব্যাংক একাউন্ট নম্বর
- স্থানীয় ভাষায় অনুবাদকৃত ভিসার কপি (প্রয়োজন সাপেক্ষে)
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে)
- শারীরিক যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- অভিবাসন ব্যয়ের বিবরণী
- কর্মস্থলের ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর/ই-মেইল ইত্যাদি (যদি সম্ভব হয়)
- ভিসার যথার্থতা বিষয়ে বিএমইটি/বোয়েসেলের প্রত্যয়ন
- গৃহীত ঋণ ফেরত দানের ফিরিস্তি
- কর্ম অভিজ্ঞতার স্বপক্ষে সনদ (প্রয়োজন সাপেক্ষে)
- যে এজেন্সীর মাধ্যমে বিদেশ যাবে সে এজেন্সীর প্রত্যয়ন
- হলফনামা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন এর মাধ্যমে লোন নিতে উপরে দেওয়া সমস্ত কাগজ পত্র প্রয়োজন হবে। আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার জন্য সহায়ক হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয় এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তিনটি ধাপে লোন দিয়ে থাকে। যেমনঃ
অভিবাসন ঋণঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অভিবাসন ঋণ প্রদান করে বাংলাদেশের বেকারদের জন্য যারা বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য যেতে চান। এই ঋণের পরিমাণ তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে থাকে, এবং মেয়াদ দুই বছর হয়ে থাকে। এই ঋণের জন্য কোনো জামানত প্রয়োজন হবে না।
পুনর্বাসন ঋণঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক পুনর্বাসন ঋণ প্রদান করে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের জন্য যারা দেশে পুনর্বাসিত হতে চান। এই ঋণের পরিমাণ হবে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, এবং মেয়াদ তিন বছর। কোনো জামানত প্রয়োজন হয় না।
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ প্রদান করে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের জন্য যারা দেশে পুনর্বাসিত হতে চান এবং যার পরিবারে পাঁচ বা ততোধিক সদস্য রয়েছে। এই ঋণের পরিমাণ পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, এবং মেয়াদ তিন বছর। কোনো জামানত প্রয়োজন হবে না।
অবশ্যই, আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে কত টাকা ঋণ পাবেন তা নির্ভর করবে আপনার আবেদনপত্র এবং আপনার আর্থিক অবস্থার উপরে। আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণের জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে আপনার আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্রগুলি সহজেই ব্যাংকের যেকোনো শাখায় জমা দিতে পারেন।
উপরে দেওয়া তিনটা ঋণ থেকে যে কোনো একটা ঋণ আপনি নিতে পারেন। এবং কত টাকা লোন নিবেন তাদের সাথে কথা বলে টাকা লোন নিতে পারেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন ফরম
ফরম নম্বরঃ ১৮৮৮
প্রয়োজনীয় নথিপত্রঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন ফরম পূরণ করতে উপরে যে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্রগুলো দেওয়া হয়েছে ওই সমস্ত নথিপত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এবং আপনি যদি স্বচক্ষে আবেদন ফরম দেখতে চান তাহলে তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে সম্পূর্ণ ফর্মটি দেখে নিতে পারেন। আবেদন ফরম দেখতে ক্লিক করুন এখানে চাপ দিয়ে দেখে নিতে পারেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন ফরম পূরণ করার সময় যে সমস্ত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে তা নিচে তুলে ধরা হলোঃ
- আবেদনপত্রটি স্পষ্ট ও সুস্পষ্টভাবে পূরণ করুন।
- সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- আবেদনপত্রের সকল অংশ পূরণ করা বাধ্যতামূলক।
- আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংযুক্ত করুন।
ফরমটি পূরণ করার পরে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর যেকোন শাখায় গিয়ে জমা দিতে পারেন। জমা দেওয়ার কয়েকদিনের ভিতরে আপনাকে ডেকে নেওয়া হবে, এরপর আপনাকে ঋণ প্রদান করা হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছেন কারণ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন যেসব সুবিধা দিয়ে থাকে সেই সমস্ত সুবিধা অন্যান্য ব্যাংকে দেখা যায় না তাহলে চলুন দেখা যাক কি কি সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে অভিবাসন ঋণ, পূনর্বাসন ঋণ এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ। এই ঋণগুলির বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেঃ
কম সুদের হারঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণের সুদের হার অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক কম। অভিবাসন ঋণের সুদের হার ৯%, পূনর্বাসন ঋণের সুদের হার ১২% এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণের সুদের হার ১৫% ধরা হয়ে থাকে।
লঘু ও সহজ শর্তঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণের শর্তাবলী অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক লঘু ও সহজ। অভিবাসন ঋণের জন্য কোনো জামানত প্রয়োজন হয় না, পূনর্বাসন ঋণের জন্য জামানত হিসেবে স্থাবর সম্পত্তি গ্রহণ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণের জন্য জামানত হিসেবে স্থাবর সম্পত্তি বা ঋণ গ্রহীতার স্থায়ী আবাসস্থল গ্রহণ করা হয়।
দ্রুত ঋণ প্রদানঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক দ্রুত হয়ে থাকে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে ঋণ প্রদান করা হয়।
আমরা অনেকেই বিদেশে যাওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকি কিন্তু টাকার জন্য বিদেশে যেতে পারি না। তাদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অনেক উপকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ যার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের লোন নিয়ে বিদেশে যেতে পারেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণগুলি প্রবাসীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। এই ঋণগুলির মাধ্যমে প্রবাসীরা বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য যেতে পারেন,
এবং দেশে ফিরে এসে পুনর্বাসিত হতে পারেনন ও তাদের পরিবারের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন। এই প্রত্যাশা নিয়েই বাংলাদেশের সরকার এগিয়ে যাচ্ছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হটলাইন নাম্বার
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হট লাইন নাম্বার সম্পর্কে অনেকেরই অজানা থাকতে পারে। আজকে আমি আপনাদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হটলাইন নাম্বার সম্পর্কে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করব। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের হটলাইন নাম্বার হল ১৬১৩৫। এই নাম্বারে কল করে আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের যেকোনো সেবা সম্পর্কে তথ্য এবং সহায়তা পেতে পারেন।
আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকেও প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সহায়তা পেতে পারেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ওয়েবসাইট লিংক উপরে দেওয়া হয়েছে আপনি চাইলে সেখান থেকে তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারেন।
এছাড়াও, আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের যেকোন শাখায় গিয়ে তাদের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারেন এবং বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। আবার আপনি চাইলে উপরে দেওয়া নাম্বারে ফোন করে তাদের সাথে বিস্তারিতভাবে আলাপ-আলোচনা করে নিতে পারেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নীতিমালা
আমরা যারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাই তাদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নীতিমালা গুলো জেনে রাখা ভালো এতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক একটি সরকারি ঋণ প্রতিষ্ঠান। এই ব্যাংকটি প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান করে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কয়েকটা নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়। এই নীতিমালায় ঋণের পরিমাণ, সুদের হার, মেয়াদ, জামানত, আবেদন প্রক্রিয়া ইত্যাদি বিষয়গুলি উল্লেখ করা থাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নীতিমালার মূল বিষয়গুলি হলঃ
ঋণের ধরনঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে অভিবাসন ঋণ, পূনর্বাসন ঋণ এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ।
ঋণের পরিমাণঃ অভিবাসন ঋণের পরিমাণ তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, পূনর্বাসন ঋণের পরিমাণ দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণের পরিমাণ পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
সুদের হারঃ অভিবাসন ঋণের সুদের হার ৯%, পূনর্বাসন ঋণের সুদের হার ১২% এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণের সুদের হার ১৫%।
মেয়াদঃ পূনর্বাসন ঋণের মেয়াদ তিন বছর, অভিবাসন ঋণের মেয়াদ দুই বছর এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণের মেয়াদ তিন বছর।
জামানতঃ অভিবাসন ঋণের জন্য কোনো জামানত প্রয়োজন হয় না, পূনর্বাসন ঋণের জন্য জামানত হিসেবে স্থাবর সম্পত্তি গ্রহণ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণের জন্য জামানত হিসেবে স্থাবর সম্পত্তি বা ঋণ গ্রহীতার স্থায়ী আবাসস্থল গ্রহণ করা হয়।
আবেদন প্রক্রিয়াঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণের জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনপত্র পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংযুক্ত করে ব্যাংকের যেকোনো শাখায় জমা দিতে পারেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নীতিমালা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনি ব্যাংকের ওয়েবসাইট বা শাখায় যোগাযোগ করতে পারেন। এতে করে আপনি বিভিন্ন রকম ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন এবং উপরে দেওয়া হটলাইন নাম্বারে সরাসরি কল করে কথা বলে নিতে পারেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার কোথায় অবস্থান করেছেন এবং তাদের ফোন নাম্বার সহ কার্যক্রমের সময় সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে নিচে তুলে দেয়া হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ঠিকানা সমূহঃ
রাবেয়া ভবন, হোল্ডিং নং-২১১, বড়বাজার মাছমহল, কিশোরগঞ্জ।
শাখার ফোন নম্বরঃ ০৯৪১-৬২৩১৩
শাখার কার্যক্রমের সময় হলঃ
সকাল ৯:৩০ থেকে বিকেল ৪:৩০ (সোমবার থেকে শুক্রবার বসে থাকে)
শনিবার সকাল ৯:৩০ থেকে দুপুর ১২:৩০ পর্যন্ত।
শাখার প্রধান কর্মকর্তার নামঃ
মো. শাহজাহান খান (ব্যবস্থাপক)
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখা প্রবাসীদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে। এই শাখা থেকে আপনি অভিবাসন ঋণ, পূনর্বাসন ঋণ এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি এই শাখা থেকে বিদেশ গমনের জন্য ভিসা, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারেন।
আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় যোগাযোগ করতে চান, তাহলে আপনি উপরে উল্লেখিত ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখার ফোন নম্বরে কল করতে পারেন। কল করে বিভিন্ন তথ্য জেনে নিতে পারেন এছাড়াও অন্যান্য প্রশ্ন আদান প্রদান করতে পারে না যা আপনার প্রয়োজনে আসে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় শাখা রয়েছে। এই ব্যাংকের মোট শাখার সংখ্যা ১০০টিরও বেশি।
আপনি যদি আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখার ঠিকানা জানতে চান, তাহলে আপনি ব্যাংকের হটলাইন নাম্বারে কল করতে পারেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের হটলাইন নাম্বার উপরে দেওয়া আছে।
এছাড়াও, আপনি আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখার ঠিকানা জানতে চাইলে আপনি Google Maps বা Bing Maps ব্যবহার করতে পারেন। এই ম্যাপিং অ্যাপগুলিতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখাগুলির অবস্থান নির্দেশ করে মানচিত্র সহ বিস্তারিত দেওয়া রয়েছে যা আপনি দেখলে ক্লিয়ার একটা ধারণা পেয়ে যাবেন।
কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়
কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় আপনি যদি এই কথাটি না জেনে থাকেন তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কারণ কোন কোন ব্যাংক প্রবাসীদের লোন দেয় এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রবাসীদের জন্য ঋণ প্রদান করে এমন বেশ কয়েকটি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক এই ব্যাংকগুলি বিভিন্ন ধরনের প্রবাসী ঋণ প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে। অভিবাসন ঋণ, পূনর্বাসন ঋণ, ব্যবসায়িক ঋণ, শিক্ষা ঋণ, চিকিৎসা ঋণ, আবাসন ঋণ।
প্রবাসী ঋণের জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে এবং বিদেশে নিয়মিত চাকরি বা ব্যবসায় জড়িত থাকতে হবে। এছাড়াও, আবেদনকারীর বৈধ ভিসা, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে।প্রবাসী ঋণের সুদের হার বিভিন্ন ব্যাংকের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
সাধারণত, প্রবাসী ঋণের সুদের হার অন্যান্য ঋণের চেয়ে কম থাকে। প্রবাসী ঋণের মেয়াদ সাধারণত দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত হয়। আমরা যারা প্রবাসী কিংবা প্রবাসে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছি এদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া অনেক অংশে ভালো হবে অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ডিপিএস
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ডিপিএস এবং সুবিধা, আবেদন যোগ্যতা এছাড়াও কিভাবে আবেদন করতে হয় এই সমস্ত বিষয় নিয়ে পূর্ণ ধারণা দিয়ে লেখা হয়েছে। আপনি যদি এই বিষয়গুলোর না জেনে থাকেন তাহলে পুরো পোস্টটি করে নিতে পারেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ডিপিএস (ডাইরেক্ট পেনশন স্কিম) হল একটি অবসরকালীন সঞ্চয় প্রকল্প।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন এবং অবসরকালে নিরাপদ ও সুন্দর জীবনযাপন করতে পারেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ডিপিএসের সুবিধাগুলি হলঃ
নিশ্চিত সুদঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ডিপিএসে জমাকৃত অর্থের উপর নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করে থাকে, বর্তমানে এই সুদের হার ৯% ধরা হয়ে থাকে।
করমুক্ত সুদঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ডিপিএসে জমাকৃত অর্থের উপর প্রাপ্ত সুদ করমুক্ত।
বীমা সুবিধাঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ডিপিএসে জমাকৃত অর্থের উপর জীবন বীমা সুবিধা প্রদান করা হয়।
- প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে।
- ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী হতে হবে।
- বিদেশে নিয়মিত চাকরি বা ব্যবসা থাকতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ডিপিএস আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। যে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে সেগুলো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন এখানে সমস্ত কাগজপত্র সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা দেওয়া হয়েছে যেগুলো দেখে আপনি খুব সহজেই আবেদনটি করে নিতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন এর শেষ কথা
আমরা যখন বিদেশে যেতে চাই তখন আমাদের কাছে সেরকম উপস্থিত টাকা পয়সা থাকে না সেজন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকি। প্রবাসীদের জন্য অন্যান্য ব্যাংক থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অনেক অংশে ভালো হবে কারণ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর লোন সুদের হার অনেক অংশে কম হয়ে থাকে যা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে এ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আপনি আগেই জেনে ফেলেছেন। এছাড়াও কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলইন আবেদন করতে হয় সেটিও জেনে ফেলেছেন। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের সবারই প্রয়োজন আসবে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url