ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম - ফর্সা হওয়ার যত উপায়
আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ত্বকের উজ্জ্বলতার উপর এই আর্টিকেলে দেখানো হয়েছে বিভিন্ন উপায়ে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ, রোদে পুড়ে যাওয়া। এমনকি আপনি যদি এই সমস্ত ফর্মুলা গুলো কাজে লাগাতে পারেন তাহলে কালো ছেলে হোক কিংবা মেয়ে সবাই সবার উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে এবং ফর্সা হতে শুরু করবে।
ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম |
তাহলে চলুন দেখি কি কি রয়েছে এই পুরো আর্টিকেলে যেমন ছেলেদের কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়, ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম, হাত পা ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম, হাত পা ফর্সা করার প্রাকৃতিক উপায়, কফি দিয়ে হাত পা ফর্সা করার উপায়, ১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায়। আপনার মনে যদি এই সমস্ত প্রশ্ন ঘোর পারতে খেয়ে থাকে তাহলে মনোযোগ দিয়ে পুরো পোস্টটি পড়ে নিন।
সূচীপত্রঃ ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম
ছেলেদের কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
ছেলেদের কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়, রূপচর্চা করা অনেক ছেলেই পছন্দ করেনা কারণ তারা মনে করে যে রূপচর্চা শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য। কিন্তু আপনি যদি একটু চিন্তা করেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে মেয়েদের চাইতে ছেলেদের রূপচর্চা করা অতীব জরুরী। কারণ মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা রাস্তাঘাটে দোকানপাটে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে হয়।
ছেলেদের কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় |
সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মুখে রাস্তার কালো ধোয়া রোদের তাপ ধুলাবালি এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ময়লা মুখে এসে লাগে। তখন দেখা যায় সুন্দর চেহারাও ধীরে ধীরে নষ্ট হতে শুরু করে। তাই আপনাদের জন্য ফর্সা হওয়ার বিভিন্ন ফর্মুলা নিয়ে পুরো আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি উপায়ে ফর্সা হওয়া যায়।
- প্রথমেই আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হল অতিরিক্ত রোদে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং এর সাথে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচবার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
- সাত দিনের মধ্যে অন্তত দুইবার মুখে স্ক্রাব করে নিতে পারেন এতে মুখের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে। বাজারে অনেক ধরনের স্ক্রাব পাওয়া যায় যেমন গ্লিসারিন অয়েল, সাইট্রিক অ্যাসিড, আপনারা চেষ্টা করবেন ফ্রুট যুক্ত স্ক্রাবগুলো কেনার। কারণ ফ্রুট যুক্ত স্ক্রাবগুলো ছেলেদের জন্য দুর্দান্ত কাজ করে থাকে তাই আপনারা এটি ব্যবহার করতে পারেন।
- আবার অনেক সময় দেখা যায় ত্বকে রক্ত চলাচল সচল থাকে না সে ক্ষেত্রে ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতি হয়ে যায়। তাই ত্বকে রক্ত চলাচল ঠিক রাখার জন্য রাতে ঘুমিয়ে যাওয়ার আগে একটা আইস কিউব মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করবে এরপর যেকোনো একটা মশ্চারাইজার ক্রিম দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন।
- আপনার ত্বক ফর্সা করার জন্য লেবু ব্যবহার করতে পারেন কারণ লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল, পিগমেন্টেশন এছাড়াও রোদে পুড়ে যাওয়া কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। এর জন্য একটা লেবু কেটে খোসা সহ মুখে সুন্দর করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিতে হবে।
- ত্বক ফর্সা করার জন্য শসা দুর্দান্ত কাজ করে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত শসার টুকরা দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখ ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। তাহলে দেখবেন সাত দিনের ভিতরে আপনার ত্বক ফর্সা হওয়া শুরু করেছে।
- ত্বক ফর্সা রাখার জন্য নিয়মিত কিংবা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।আপনি যদি সপ্তাহে ২-৩ দিন কাঁচা হলুদ মুখে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে দেখবেন অল্প দিনের ভেতরে ত্বক ফর্সা হওয়া শুরু করেছে।
- রূপচর্চার জন্য আমরা অনেকেই অ্যালোভেরা ব্যবহার করে থাকি। আপনি যদি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মুখে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার ত্বক উজ্জ্বল হওয়া শুরু করেছে এবং ফর্সা হওয়া শুরু করেছে।
- আমরা অনেকেই জানি এই ত্বকের জন্য মধু খুবই উপকারী তাই আপনি যদি আপনার ত্বক ফর্সা কিংবা উজ্জ্বল রাখতে চান তাহলে আধা চামচ মধুর সঙ্গে লেবুর রস যোগ করে মুখে সুন্দর করে লাগিয়ে নিন এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- কমলা, লেবু এবং দই সবগুলো উপাদান একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে কিংবা ঘাড়ে কিংবা হাতে মাসাজ করতে পারেন। মাসাজ করা শেষ হলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এরপর ধুয়ে ফেলুন এতে দেখবেন আপনার ত্বক ফর্সা হওয়া শুরু করছে।
আপনি এই সমস্ত ধাপ অনুসরণ করে আপনার ত্বক ফর্সা করতে পারেন। আপনার ত্বক ফর্সা কিংবা উজ্জ্বল রাখার জন্য বিভিন্ন ফেসওয়াস কিংবা উপরে দেওয়া ফর্মুলা গুলো মেনে খুব সহজেই ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে পারেন। কিন্তু আপনাকে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হল ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা রাখার জন্য অতিরিক্ত রোদ থেকে বিরত থাকতে হবে।
ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম
ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম, ছেলেরা ফর্সা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ফর্মুলা এবং বিভিন্ন ডাক্তারি ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। তাই আজকে আমি আপনাদের জন্য ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। ডাক্তারি ক্রিমগুলো ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক
ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম |
ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে। ছেলেদের ত্বক ধরে রাখার জন্য অনেকেই ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকি যার দাম সাধারণত ১৫০ থেকে ২০০ টাকা হয়ে থাকে। কিন্তু ফেসওয়াশের তুলনায় ডাক্তারি ক্রিমের দাম অনেক অংশে বেশি হয়ে থাকে। ডাক্তারি ক্রিমের দাম সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে কয়েক হাজার টাকা হতে পারে।
- (Super Viga Spray) দাম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা।
- (Loreal Paris White Perfect Night Cream) দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা।
- (Lotus Herbal Night Cream) দাম ৯০০ টাকা।
- (Pond’s Gold Radiance Youthful Night Repair Cream) দাম ২০৫০ থেকে ২২০০ টাকা।
- (Lakme Absolute Perfect Radiance Brightening Night Cream) দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।
- (Bella Vita Organic Payable Pigmentation Blemish) দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
- (Garnier Skin Naturals Light Complete Serum Cream) দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
- (Garnier Men Power Light Sweat Oil Control Moisturizer) দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
- (Loreal Men Expert White Active) দাম ৬৮০ টাকা।
এগুলো ছাড়াও বাজারে আরো অনেক ধরনের ক্রিম পাওয়া যায় তাহলে চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক যে ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম আরো কি কি রয়েছে। Olay Natural White Night Cream, Emmi Fair and Handsome, Alike, Vaseline Men Anti-spot Whitening Moisturizer ইত্যাদি।আপনি যদি উপরে দেওয়া ডাক্তারি ক্রিমগুলো নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে পারেন
আরো পড়ুনঃ কোন ফল খেলে মানুষ ফর্সা হয়
তাহলে দেখবেন খুব সহজেই আপনার ত্বক উজ্জ্বল হওয়া শুরু করেছে। আমরা যারা কালো রংয়ের মানুষ রয়েছি তাদের শরীর কিংবা ত্বক ফর্সা করার জন্য উদগীর্ণ হয়ে পড়ি। তাই আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই ক্রিমগুলো নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনার ত্বক কিংবা শরীর কয়েকদিনের ভিতরে পরিবর্তন দেখা দিবে যা দেখলে আপনি নিজেই চমকে যাবেন।
হাত পা ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম
হাত পা ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম, আমরা অনেকেই জন্মগতভাবে ফর্সা কিংবা কালো হয়ে থাকি। কিন্তু যারা আগে থেকেই ফর্সা হয়ে থাকে তাদের ফর্সা হওয়ার কোন প্রয়োজন পড়ে না। আবার যারা আগে থেকেই কালো হয়ে থাকে তাদের ফর্সা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা বেশি থাকে। তাই অনেকেই হাত-পা ফর্সা করার জন্য ডাক্তারি ক্রিম কিংবা প্রাকৃতিক উপায় খুঁজে থাকে।
হাত পা ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম |
সেজন্য আজকে আমি আপনাদের হাত পা ফর্সা হওয়ার জন্য ডাক্তারি ক্রিম কিংবা প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।
- ডায়মন্ড স্পেশাল কেয়ার বডি লোশন
- পাতাঞ্জলি হোয়াইটেনিং বডি লোশন
- খাজানা বডি লোশন
- ক্রিসটাল হোয়াইট মিল্কি বডি লোশন
- হোয়াইট স্পা বডি লোশন
- Himalaya Herbals Clear Complexion Whitening
- Olay Natural White Ageless Aura
- Garnier Skin Naturals Light Complete Fairness
- Nivea Whitening Hand Cream
- VLCC Singha Skin Whitening Day Cream
- Oliva Whitening Body Lotion
- Khazana Lotion
- Crystal white milky body Lotion
- Due Special Care Body lotion
- Diamond Special care Body options
আপনারা যদি এই সমস্ত ফেসওয়াশ কিংবা ক্রিম ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে দেখবেন অল্প দিনের ভিতরে আপনার ত্বক কিংবা হাত-পা ফর্সা হওয়া শুরু করেছে।
আরো পড়ুনঃ কোন সবজি খেলে ত্বক ফর্সা হয়
আপনি যদি এই সমস্ত ডাক্তারি ক্রিম নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে দুই দিনের ভেতরে ফলাফল পেয়ে যাবেন।
হাত পা ফর্সা করার প্রাকৃতিক উপায়
হাত পা ফর্সা করার প্রাকৃতিক উপায় |
হাত পা ফর্সা করার প্রাকৃতিক উপায়, আমরা অনেকেই হাত পা ফর্সা করার জন্য ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক উপায় খুঁজে থাকি যাতে করে অল্প খরচে হাত পা ফর্সা করা যায়। আজকে আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে অল্প খরচে প্রাকৃতিক উপায়ে হাত পা ফর্সা করা যায় তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- গোসল করার 20 থেকে 30 মিনিট আগে হলুদের গুঁড়া, বেসন একসঙ্গে মিশিয়ে হাত-পায়ে এমনকি মুখে লাগাতে পারেন। লাগানোর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন এটি সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
- গোসলের পর সারা দিনের জন্য ভেসলিন কিংবা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন এতে করে হাত-পা ত্বক উজ্জ্বল থাকবে।
- হাত পা ফর্সা রাখার জন্য গ্লিসারিনের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে দিনে একবার হাত পায়ে মাসাজ করে নিতে পারেন।
- আবার আপনার হাতে কিংবা পায়ে যদি কালসে দাগ থাকে সেই কালো দাগ দূর করার জন্য গোলাপজল, গ্লিসারিন, সসার রস এই তিনটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে হাতে-পায়ে মাখলে দেখবেন কালো দাগ ধীরে ধীরে দূর হতে শুরু করেছে।
- হাত-পা ফর্সা রাখার জন্য বাদামির তেল এক চামচ এবং অ্যালোভেরার জেল এক চামচ মিশিয়ে হাত পায়ে লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে দেখবেন দুই-তিন দিনের মধ্যে হাত-পা ফর্সা হতে শুরু করেছে।
- চন্দন, মুলতানি মাটি, মধু, হলুদ বাটা, গুড়া দুধ এই সকল উপাদান গুলো এক চা চামচ করে নিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে এরপর সপ্তাহে ২-৩ ব্যবহার করতে হবে। যার কারণে হাত পায়ের উজ্জ্বলতা আস্তে আস্তে ফিরে আসবে এবং ফর্সা হবে।
এছাড়াও আপনি যদি হাত-পায়ে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন তাহলে দেখবেন খুব সহজেই আপনার ত্বক ফর্সা এবং উজ্জ্বল হওয়া শুরু করেছে। আপনি যদি এই সমস্ত প্রাকৃতিক উপায় কিংবা উপরে দেওয়া ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে পারেন তাহলে দেখবেন অল্প দিনের ভিতরে আপনার হাত-পা ফর্সা হওয়া শুরু করেছে।
কফি দিয়ে হাত পা ফর্সা করার উপায়
কফি দিয়ে হাত পা ফর্সা করার উপায়, আপনি খুব সহজেই কফি দিয়ে হাত পা ফর্সা করে নিতে পারেন।আজকে আমি যে ফর্মুলাটা আপনাদের জানাবো সেই ফর্মুলা অনুযায়ী যদি কাজ করতে পারেন তাহলে দেখবেন খুব সহজেই হাত-পা ফর্সা হওয়া শুরু করেছে। কারণ কফিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা রাখতে সাহায্য করে।
কফি দিয়ে হাত পা ফর্সা করার উপায় |
কফি দিয়ে হাত পা ফর্সা করার জন্য কফির সাথে আরো কয়েকটি উপাদান এড করতে হবে যেমন এক চা চামচ শসার রস, এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, এক চা চামচ লেবুর রস এবং এক চা চামচ কফির পাউডার। এই সমস্ত মিশ্রণ সুন্দর করে পেস্ট করে হাতে এবং পায়ে মেসেজ করতে হবে দশ মিনিট ধরে।
আরো পড়ুনঃ ফর্সা হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম
এরপর মেসেজ করা শেষ হলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর মিশ্রণটি ধুয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে হবে এর ফলে দেখবেন আপনার হাত এবং পা আস্তে আস্তে উজ্জ্বল এবং ফর্সা হওয়া শুরু করেছে। তাই আপনি যদি আপনার হাত এবং পা ফর্সা রাখতে চান তাহলে এই ফর্মুলাটি কাজে লাগাতে পারেন।
১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায়
১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায়, আমরা অনেকেই বলে থাকি যে একদিনে হাত-পা ফর্সা করা যাবে কিনা এর উত্তর হলো একদিনে হাত পা ফর্সা করার কোন ফর্মুলা নেই। কিন্তু আপনি যদি আমার দেওয়া ফর্মুলা গুলো কাজে লাগাতে পারেন তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার হাত পা ফর্সা হওয়া শুরু করেছে কিন্তু এটা একদিনে ফর্সা করা সম্ভব নয়। তাহলে চলুন হাত-পা খুব সহজেই কিভাবে ফর্সা করা যায় এবং অল্প খরচে সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
হলুদ গুঁড়াঃ প্রথমে এক চা চামচ হলুদের গুড়া এবং এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে। এরপর এই পেস্টটি হাতে এবং পায়ে সুন্দর করে লাগিয়ে নিতে হবে লাগানোর পর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ১০-১৫ মিনিট যাবত লেবু দিয়ে ঘস্তে হবে। এতে দেখবেন আপনার পায়ের কালো দাগ দূর হয়ে গেছে এর সাথে পায়ের ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা হওয়া শুরু করবে।
লেবুর রসঃ হাত পা ফর্সা করতে লেবুর রস কিংবা লেবু কেটে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাত পায়ে গোস্তে থাকুন এরপর ১৫ ২০ মিনিট রেখে দিন তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা জেলঃ হাত পায়ের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এলোভেরা থেকে জেল বের করে নিয়ে হাত পায়ে লাগিয়ে নিন এরপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ধুয়ে ফেলুন।
মধু ও টমেটোঃ টমেটোতে রয়েছে এনজাইম যা আমাদের ত্বক সুন্দর এবং উজ্জলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। আপনার হাত-পা ফর্সা করার জন্য প্রয়োজন হবে ৪-৫ টেবিল চামচ টমেটোর রস, দুই টেবিল চামচ বাদামী চিনি এবং এক টেবিল চামচ মধু। এই তিনটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে হাত এবং পায়ে লাগিয়ে নিন। এরপর ২০-৩০ মিনিট পর মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন এতে বিশেষ ফল পাবেন।
কাঁচা দুধঃ হাত-পা ফর্সা করার জন্য কাঁচা দুধ খুবই প্রয়োজনীয় সেজন্য কাঁচা দুধ হাতের সাহায্যে হাত-পায়ে মাখিয়ে নিন। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে কিংবা কুসুম কুসুম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফর্মুলাটি প্রতিদিন করতে পারেন কিন্তু অতিরিক্ত করা যাবে না প্রতিদিন একবার নিতে পারেন। এর ফলে দেখতে পাবেন তিন চার দিনের ভেতরে আপনার হাত-পা ফর্সা হতে শুরু করেছে।
মধু ও শসাঃ মধু ও শশা হাত পা ফর্সা করার জন্য খুবই উপকারী এর জন্য প্রথমে শসার রস বের করে নিতে হবে। এরপর শসার রস এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে হাত-পায়ে লাগাতে হবে। এরপর ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার হাত পা কোমল এবং মসৃণ হবে।
মসুর ডালঃ মসুর ডাল, দুধ এবং দই একসঙ্গে পেস্ট করে নিতে হবে এরপর এই মিশ্রণটি হাত-পায়ে লাগাতে হবে। তারপর এই মিশ্রণটি সুখে যাওয়া মাত্রই ধুয়ে ফেলুন কিংবা 15 থেকে 20 মিনিট অপেক্ষা করতে পারেন। আপনি যদি এই মিশ্রণটি এপ্লাই করতে পারেন তাহলে আপনার হাত-পায়ের মরা চামড়া সরিয়ে নতুন চামড়া গজাতে সাহায্য করবে।
পাকা পেঁপেঃ পাকা পেঁপে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য খুবই কার্যকরী। এর ফল পেতে পাকা পেঁপে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর এই মিশ্রণটি হাত পায়ে ভালো করে গোসে গোসে লাগিয়ে নিতে হবে। লাগানোর পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২-৩ বার করতে পারেন। এই মিশ্রণটি আপনার হাত-পায়ের কালচে দাগ এবং রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।
বেসনঃ হাত পা ফর্সা করার জন্য বেসনের সাথে মিশাতে পারেন ২টি উপাদান এর মধ্যে রয়েছে হলুদের গুঁড়া, কাঁচা দুধ। এই মিশ্রণটি তৈরি করার জন্য দুই টেবিল চামচ বেসন, এক চা চামচ হলুদের গুড়া এবং 2 টেবিল পরিমাণ কাঁচা দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে। পেস্ট করা হয়ে গেলে হাত-পায়ে লাগিয়ে নিন এবং ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই ফর্মুলাটি সপ্তাহে দুই তিনবার ব্যবহার করতে পারেন এতে হাত পায়ে থাকা কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
কমলার খোসাঃ ত্বক ফর্সা রাখার জন্য কমলার খোসা অত্যন্ত কার্যকরী এর জন্য প্রথমে কমলার খোসা সুন্দর করে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর রোদ দিয়ে শুকাতে হবে তারপর সেগুলি পাউডার করে নিতে হবে। এরপর চার টেবিল পরিমাণ কমলার খোসার গুঁড়োর সঙ্গে অল্প পরিমাণ দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্টটি হাত পায়ে লাগিয়ে নিতে হবে এবং ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে এরপর ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন।
আলুঃ আলুর সঙ্গে লেবুর রস যোগ করে খুব সহজেই হাত-পায়ের কালো দাগ তুলতে পারবেন। এই মিশ্রণটি তৈরি করার জন্য এক টেবিল চামচ আলু এবং লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তারপর এই মিশ্রণটি হাত-পায়ে লাগিয়ে নিন এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এরপর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন করলে দেখবেন আপনার হাত-পা থেকে কালো দাগ একদম চলে গিয়েছে। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে তিন চার দিন ব্যবহার করতে পারেন।
টকদইঃ হাত-পা দুধের মত সাদা করার জন্য টকদই ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি সপ্তাহে ২-৩ দিন টকদই হাত-পায়ে লাগাতে পারেন তাহলে দেখবেন পুরাতন চামড়া মরে গিয়ে নতুন চামড়া গজাতে শুরু করেছে এবং উজ্জ্বল ও ফর্সা হওয়া শুরু করেছে।
চালের গুঁড়া ও তরমুজের রসঃ এই মিশ্রণটি তৈরি করার জন্য কয়েক টুকরা তরমুজ ব্লেন্ড করতে হবে। এরপর এক টেবিল পরিমাণ চালের গুড়া নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এরপর এই মিশ্রণটি হাত-পায়ে লাগিয়ে নিতে হবে এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি যদি উপরে দেওয়া এই সমস্ত নিয়ম গুলো ফলো করতে পারেন তাহলে দেখবেন ৭ দিনের ভেতরে আপনার হাত-পা আগের তুলনায় অনেক অংশে ফর্সা এবং উজ্জ্বলতা পেয়েছে। তার জন্য উপরে দেওয়া যেকোনো একটি উপায় ফলো করতে পারেন নিয়মিত।
ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম লেখকের মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে আপনি যদি এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যে আপনি জেনে গেছেন যে ফর্সা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্রিম এবং প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলটি কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই হাত পা থেকে শুরু করে সমস্ত
জায়গা উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে নিয়ম মেনে মিশ্রণ তৈরি করে সঠিকভাবে লাগাতে হবে। যদি সঠিকভাবে মিশ্রণ তৈরি করে সঠিকভাবে লাগাতে পারেন তাহলে দেখবেন দুই-তিন দিনের ভেতরে আপনার শরীর কিংবা হাত পা উজ্জ্বল এবং ফর্সা হওয়া শুরু করেছে।
মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url