কোন ওটস ভালো - ওটস খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন

ডায়াবেটিস রোগীরা কি তরমুজ খেতে পারবেহাটবাজারে বিভিন্ন ধরনের ওটস দেখা যায় কিন্তু সব ওটসি ভালো নয়। আপনি যদি আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে ওটস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন কারণ আজকের আর্টিকেলটি ওটস সম্পর্কে লেখা। আমরা অনেক সময় ওটস কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে থাকি।
কোন ওটস ভালো
কোন ওটস ভালো

এছাড়াও বুঝতে পারি না যে আমার জন্য কোন ওটস ভালো হবে। আপনার মনে যদি এই সকল প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়া শুরু করুন। এবং এই আর্টিকেলের বিভিন্ন পয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করুন। এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার জন্য কোন ওটস ভালো হবে।

সূচীপত্রঃ কোন ওটস ভালো - ওটস খাওয়ার নিয়ম

কোন ওটস ভালো

কোন ওটস ভালো, হাটবাজারে বিভিন্ন ধরনের ওটস পাওয়া যায় কিন্তু সব ওটস কি ভালো এর সংক্ষিপ্ত উত্তর হলো না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বাজারে সব চাইতে ভালো ওটস কোনগুলো। পুষ্টিবিদরা নিচের দেওয়া তিনটি ওটসকে সেরা বলে গণ্য করেছে। তাই আপনারা নিশ্চিন্তে নিচে দেওয়া যেকোনো একটি ওটস নিয়মিত খাওয়া শুরু করতে পারেন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই।

স্টিল কাট ওটসঃ স্টিল কাট ওটস প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে অন্যান্য ওটসের তুলনায় কম। এতে ফাইবার বেশি থাকে এবং রান্না করতে বেশি সময় লাগে। ওজন কমানোর জন্য এই ওটস দুর্দান্ত কাজ করে।

রোলড ওটসঃ রোলড ওটস পাতলা করে চ্যাপ্টা করা হয় এবং স্টিল কাট ওটসের তুলনায় দ্রুত রান্না করা যায়। এতে ফাইবারের পরিমাণও ভালো থাকে।

ইনস্ট্যান্ট ওটসঃ ইনস্ট্যান্ট ওটস প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তৈরি করা হয় এবং সবচেয়ে দ্রুত রান্না করা যায়। তবে এতে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে এবং চিনি ও অন্যান্য উপাদান যোগ করা থাকে।

আপনার জন্য কোন ওটস ভালো হবে তা নির্ধারণের জন্য যে বিষয় গুলো বিবেচনা করা উচিতঃ
খাদ্যাভ্যাসঃ আপনি যদি দ্রুত খাবার পছন্দ করেন, ইনস্ট্যান্ট ওটস আপনার জন্য ভালো হতে পারে। তবে, আপনি যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চান, স্টিল কাট বা রোলড ওটস আপনার জন্য ভালো হবে।
স্বাস্থ্যঃ আপনি যদি ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের মতো কোনও স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগেন, চিনি ও অন্যান্য উপাদান ছাড়া ওটস খাওয়া উচিত।

পছন্দঃ আপনার পছন্দের স্বাদ ও টেক্সচার অনুযায়ী ওটস নির্বাচন করতে পারেন। আশা করি আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন যে আপনার জন্য সবচাইতে কোন ওটস ভালো হবে।

বড়দের জন্য কোন ওটস ভালো

বড়দের জন্য কোন ওটস ভালো, বাংলাদেশে প্রচলিতভাবে তিনটি ওটস বেশি পাওয়া যায় যে ওটস গুলো বড়দের জন্য খুবই উপকারী। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত তিনটি ওটস নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি চাইলে উপরে দেওয়া তিনটির মধ্যে যেকোনো একটি নিয়মিত আপনার খাবার তালিকায় রাখতে পারেন।
নিয়মিত ওটস খাওয়ার কারণে মস্তিষ্ক এবং শরীর স্বাস্থ্য শক্ত এবং সবল রাখে। আপনার শরীরে যদি অলসতা কাজ করে থাকে তাহলে নিয়মিত ওটস খেতে পারে এতে আপনার অলসতাকে আস্তে আস্তে দূরে ঠেলে দিবে। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য ওটস খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুদের জন্য কোন ওটস ভালো

শিশুদের জন্য কোন ওটস ভালো, শিশুদের ওটস কেনার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন। বাজারে যে সমস্ত খোলা ওটস পাওয়া যায় সেগুলো কেনা থেকে বিরত থাকবেন। সব সময় প্যাকেট করা ওটস আপনার শিশুকে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। যে ওটসে দেখবেন লবণ এবং চিনির মাত্রা নেই বললেই চলে এমন ওটস আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। 
কারণ আপনি যদি লবণ এবং চিনি জাতীয় ওটস আপনার শিশুকে নিয়মিত খাওয়াতে থাকেন তাহলে বয়স বাড়ার পাশাপাশি ডায়াবেটিক এমনকি কিডনি রোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার সন্তানকে নিরাপদ এবং সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত রোলড ওটস খাওয়াতে পারেন এতে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না। বরঞ্চ আপনার সন্তান আস্তে আস্তে মেধাবী এবং বুদ্ধিজীবী হওয়া শুরু করবে।

গর্ভাবস্থায় ওটস খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ওটস খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কটুশ খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে তাই আপনি যদি একজন গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার খাবার তালিকায় ওটস রাখতে পারেন। তাহলে চলুন সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় অটোস কি কি উপকারিতা পাওয়া যাবে।
গর্ভাবস্থায় ওটস খাওয়ার উপকারিতা
পুষ্টির উৎসঃ ওটস ভিটামিন খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাদ্য। গর্ব অবস্থায় মায়ের শরীরে পুষ্টির চাহিদা বৃদ্ধি করে আবার ওটসে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন বি এবং ফাইবারের একটি ভালো উৎস যা গর্ভবতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
ফাইবারের উচ্চ পরিমাণঃ ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা গর্ভবতী মায়ের হজম উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গর্ভস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে থাকে। আপনি যদি ওটস খাওয়া শুরু করেন তাহলে এই সমস্যা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে।

রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণঃ ওটস রক্তে শর্করার মাত্রা খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে আপনি যদি ওটস খেতে পারেন তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণঃ ওটস দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করবে। গর্ভ অবস্থায় অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে ওটস খাওয়া স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করে।

শক্তি বৃদ্ধিঃ ওটস শক্তির একটি ভালো উৎস যা পুষ্টিবিদরা বলে থাকে। গর্ভাবস্থায় ক্লান্তি একটি সাধারণ সমস্যা হতে পারে। ওটস শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং ক্লান্তিক কমাতে সাহায্য করে তাই নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য ওটস খেতে পারেন।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পেয়ে যাবেন যদি গর্ব অবস্থায় নিয়মিত ওটস খেতে পারেন। কারণ পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন যে ওটসে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা যা একজন মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনে আসে। তাই নিজেকে সুস্থ এবং সবল রাখার জন্য আপনার খাবার তালিকায় ওটস রাখতে পারেন।

ওটস এর পুষ্টিগুণ

ওটস এর পুষ্টিগুণ বলে শেষ করার মত নয় আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে নিচে বেশ কয়েকটি পুষ্টিগুণ তুলে ধরা হলোঃ
  1. ক্যালোরিঃ 389 কিলোক্যালোরি
  2. জলঃ 8.4 গ্রাম
  3. প্রোটিনঃ 13.6 গ্রাম
  4. চর্বিঃ 6.9 গ্রাম
  5. কার্বোহাইড্রেটঃ 66.3 গ্রাম
  6. ফাইবারঃ 10.6 গ্রাম
  7. শর্করাঃ 55.7 গ্রাম
  8. সুক্রোজঃ 0.5 গ্রাম
  9. গ্লুকোজঃ 0.5 গ্রাম
  10. ফ্রুক্টোজঃ 0.5 গ্রাম
  11. স্টার্চঃ 37.2 গ্রাম
  12. ক্যালসিয়ামঃ 54 মিলিগ্রাম
  13. আয়রনঃ 4.7 মিলিগ্রাম
  14. ম্যাগনেসিয়ামঃ 123 মিলিগ্রাম
  15. ফসফরাস 524 মিলিগ্রাম
  16. পটাসিয়ামঃ 429 মিলিগ্রাম
  17. সোডিয়ামঃ 5 মিলিগ্রাম
  18. জিঙ্কঃ 3.4 মিলিগ্রাম
  19. ভিটামিন B1 (থায়ামিন) 0.66 মিলিগ্রাম
  20. ভিটামিন B2 (রিবোফ্লাভিন) 0.11 মিলিগ্রাম
  21. ভিটামিন B3 (নিয়াসিন) 1.14 মিলিগ্রাম 
  22. ভিটামিন B5 (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড) 1.05 মিলিগ্রাম
  23. ভিটামিন B6 (পাইরিডক্সিন) 0.12 মিলিগ্রাম
  24. ভিটামিন B9 (ফোলেট) 40 মাইক্রোগ্রাম
  25. ভিটামিন E 1.05 মিলিগ্রাম
  26. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ উচ্চ
  27. ফাইটোস্টেরলঃ 240 মিলিগ্রাম

স্টিল কাট ওটস এর দাম - কোন ওটস এর দাম কত

স্টিল কাট ওটস এর দাম, বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওটস দেখা যায় কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কোন ওটস কি ধরনের দাম হয়ে থাকে। এই পোষ্টের মাধ্যমে সকল জনপ্রিয় ওটস এর দাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

স্টিল কাট ওটসঃ প্রতি ৫০০ গ্রাম স্টিল খাট ওয়াস ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা হয়ে থাকে এবং এক কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা হয়ে থাকে।

কুইকার ওটসঃ কুইকার ওটস প্রতি ৫০০ গ্রাম ২৫০থেকে ৩৫০ টাকা হয়ে থাকে এবং এক কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা হতে পারে।
প্যাকিজা ওটসঃ ৫০০ গ্রাম প্যাকিজা ওটস এর দাম 200 থেকে 300 টাকা এবং প্রতি এক কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

কোকার স্টিল কাট ওটসঃ কোকার স্টিল কাট ওটস ৫০০ মিলি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং এক কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
ববস রেড মিল স্টিল কাট ওটসঃ ববস রেড মিল স্টিল কাট ওটস প্রতি ৫০০ মিলি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং এক কেজি ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা।

ওটস এর দাম বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন দাম হতে পারে। কোন ওটসের দাম কেমন এটি নির্ভর করছে অঞ্চলের উপর কারণ একাক অঞ্চলে একাক রকম দাম হয়ে থাকে। আজকে আপনাদের যে দাম সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি আশা করি এই দামের মধ্যেই সব অঞ্চল থেকে কিনতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে ভালো মানের ওটস কিনতে পারেন।

ওটস খাওয়ার নিয়ম

ওটস খাওয়ার নিয়ম, আমাদের শরীরের ক্যালরির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অনেকেই ওটস খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই ওটস খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানি না। ওটস আপনি বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ওটস সঠিক নিয়মে না খেলে এর পুষ্টিগুণ বা উপকারিতা সঠিকভাবে পাওয়া যায় না। তাহলে চলুন জেনে নেই ওটস খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।

পরিমাণঃ প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম প্রায় এক থেকে দুই কাপ ওটস খেতে পারেন। আর আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম প্রায় এক থেকে দুই কাপ ওটস খেতে পারেন। কিন্তু ওটস যদি শিশুদের খাওয়াতে চান তাহলে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ গ্রাম প্রায় এক থেকে দেড় কাপ ওটস খাওয়াতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ কামরাঙ্গা খেলে কি ক্যান্সার হয়
সময়ঃ ওটস আপনি যখন তখন খেতে পারেন এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না যদি পরিমাণ মতো খেতে পারেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে সকালের নাস্তায় ওটস খাওয়া সবচেয়ে ভালো দিক। কারণ সকালে ওটস খাওয়ার কারণে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে এছাড়াও সারাদিন শরীরে এনার্জি বা শক্তি পাওয়া যায়।

রান্না করেঃ আপনি চাইলে এই ওটস রান্না করেও খেতে পারেন রান্না করার জন্য প্রথমে এক কাপ দুধ বা জল নিবেন। এরপর ১ থেকে ২ কাপ ওটস দিয়ে আট থেকে দশ মিনিট রান্না করে নিতে হবে এরপর স্বাদ অনুযায়ী লবণ, চিনি, মধু, দারচিনি, এলাচ, জিরা, বাদাম, ফল ইত্যাদি যোগ করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি ওটসের সবগুলো পুষ্টিগুণ বা উপকারিতা পেতে চান তাহলে অবশ্যই রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন এতে বিশেষ উপকার পাবেন।
আরো পড়ুনঃ আপেলিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
ভিজিয়ে রেখেঃ রাতে ১/2 কাপ ওটস ১ কাপ দুধ বা দইতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ফ্রিজ থেকে বের
করে খান। স্বাদ অনুযায়ী ফল, বাদাম, মধু, ইত্যাদি যোগ করতে পারেন।

সতর্কতাঃ যাদের গ্লুটেন অ্যালার্জি আছে তারা ওটস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। ডায়াবেটিস রোগীরা ওটস খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ওটস খাওয়ার পর কোনো অস্বস্তি বোধ করলে ওটস খাওয়া বন্ধ করুন এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

ওজন কমাতে ওটস খাওয়ার নিয়ম

ওজন কমাতে ওটস খাওয়ার নিয়ম, আমরা অনেকেই শরীরের ওজন নিয়ে অনেক চিন্তা করে থাকি। কিন্তু একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নিয়মিত ওটস খেলে ওজন কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন যে প্রতিদিন রাত্রে ওটস ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে হুর হুর করে শরীর কমতে শুরু করে। 
কারণ ওটসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা পেটকে ভরা রাখতে সাহায্য করে ফলে ক্ষুদার ভাব অনেক অংশে কমে যায়। তাই শরীর কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে ওটস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। কারণ কোন রকম পার্শ্বপ্রতিকরা ছাড়াই শরীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

কোন ওটস ভালো লেখকের মন্তব্য

আপনি যদি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আজকের আর্টিকেলটি আলোচনা করা হয়েছে ওটস এর বিভিন্ন দিক নিয়ে যেমন কোন ওটস ভালো, বড়দের জন্য কোন ওটস ভাল, শিশুদের জন্য কোন ওটস ভালো, গর্ভাবস্থায় ওটস খাওয়ার উপকারিতা, ওটস এর পুষ্টিগুণ,
স্টিল কাট ওটস এর দাম, ওটস খাওয়ার নিয়ম, ওজন কমাতে ওটস খাওয়ার নিয়ম। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে পোস্টটি সাজানো হয়েছে। তাই আপনার মনে যদি এই সমস্ত প্রশ্ন এসে থাকে তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url