হাঁসের ভিটামিন ঔষধ - হাঁসের ডিম বৃদ্ধির ঔষধ

ব্রয়লার মুরগির ৩০ দিনের ঔষধের তালিকা জানতে ক্লিক করুনহাসির ভিটামিন ঔষধ, হাঁসের ডিম বৃদ্ধির ঔষধ, হাঁসের রোগের ঔষধের তালিকা, হাঁসের চুনা পায়খানার ঔষধ, হাঁসের প্যারালাইসিস রোগের ঔষধ, হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডার ঔষধ, হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডার ঔষধ, হাঁসের কৃমির ঔষধ এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি এই সকল বিষয়ে না জেনে থাকেন
হাঁসের ভিটামিন ঔষধ

সূচীপত্রঃ হাঁসের ভিটামিন ঔষধ

তাহলে আমাদের এই পুরো আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন। এই আর্টিকেলের ভিতরে হাঁসের সকল ধরনের ঔষধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনার যদি হাঁসের খামার কিংবা হাঁস থেকে থাকে তাহলে এই বিষয়গুলো আপনার জন্য অনেক প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ তাহলে চলুন সময় নষ্ট না করে পুরো পোস্টটি করে ফেলি।

হাঁসের ভিটামিন ঔষধ

হাঁসের ভিটামিন ঔষধ আমাদের অনেকেরই হাঁসের খামার রয়েছে আবার অনেকের বাসা বাড়িতে হাঁস রয়েছে কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না যে কি কি ভিটামিন খাওয়ালে হাঁসের পক্ষে ভালো হবে। তাই আজকে আমি আপনাদের জন্য এই পুরো আর্টিকেলটি হাঁসের ঔষধের উপরে সাজানোর চেষ্টা করেছি সকল ধরনের ঔষধ নিয়ে এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।

হাঁসের ভিটামিন ঔষধ হাঁসের শারীরিক বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাঁসের ভিটামিন ঔষধে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য উপাদান থাকে যা হাঁসের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।
হাঁসের ভিটামিন ঔষধের মধ্যে রয়েছেঃ
  1. ক্যালসিয়ামঃ হাঁসের হাড়, দাঁত এবং ডিমের খোসার গঠনে ক্যালসিয়াম অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
  2. ফসফরাসঃ হাঁসের হাড়, দাঁত, মাংসপেশী এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠনে ফসফরাস অপরিহার্য।
  3. ভিটামিন এঃ হাঁসের দৃষ্টিশক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন এ অন্যরকম ভূমিকা পালন করে।
  4. ভিটামিন ডিঃ হাঁসের হাড়ের গঠন, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের শোষণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন ডি প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে।
  5. ভিটামিন ইঃ হাঁসের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন ই প্রয়োজনীয়।
  6. ভিটামিন কেঃ হাঁসের রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  7. থিয়ামিনঃ হাঁসের খাদ্য হজম, শক্তি উৎপাদন এবং প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে থিয়ামিন অপরিহার্য।
  8. রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিনঃ হাঁসের খাদ্য হজম, শক্তি উৎপাদন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে রিবোফ্লাভিন গুরুত্বপূর্ণ।
  9. প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডঃ হাঁসের খাদ্য হজম, শক্তি উৎপাদন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড ভালো কাজ করে।
  10. ভিটামিন বি 6ঃ হাঁসের খাদ্য হজম, শক্তি উৎপাদন, স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন বি 6 কাজ করে।
  11. ফোলেট, ভিটামিন বি 12ঃ হাঁসের রক্তকণিকা গঠন, স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ফোলেট গুরুত্বপূর্ণ।
  12. আয়রনঃ হাঁসের রক্তকণিকা গঠনে আয়রন প্রয়োজনীয়।
  13. ম্যাগনেসিয়ামঃ হাঁসের হাড়, দাঁত, মাংসপেশী এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠনে ম্যাগনেসিয়াম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  14. জিঙ্কঃ হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ডিম উৎপাদন বৃদ্ধিতে জিংক অনেক ভালো কাজ করে।
আপনি যদি এই সমস্ত ঔষধ গুলো নিয়ম মত খাওয়াতে পারেন তাহলে আপনার হাঁসের শারীরিক দুর্বলতা কেটে অধিক পরিমাণে ডিম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপরে যে সমস্ত ঔষুধের নাম দেওয়া হয়েছে তাই সকল ঔষধ ভিটামিনের পক্ষে কাজ করবে এবং যাবতীয় রোগ বালাই থেকে হাঁসকে বাঁচাতে সাহায্য করবে।
হাঁসের ভিটামিন ঔষধ খাওয়ানোর কিছু  নির্দেশনাবলিঃ
  • ঔষধের নির্দেশাবলী অনুযায়ী নির্দিষ্ট মাত্রায় খাওয়াতে হবে।
  • ঔষধ খাওয়ানোর আগে হাঁসের খাবার সরিয়ে ফেলতে হবে।
  • ঔষধ খাওয়ানোর পর হাঁসের খাবার দিতে হবে।
  • ঔষধ খাওয়ানোর পর হাঁসকে পানি খাওয়াতে হবে।
  • হাঁসের ভিটামিন ঔষধ খাওয়ালে হাঁসের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

হাঁসের ডিম বৃদ্ধির ঔষধ 

আমরা অনেক উপায়ে হাঁসের ডিম বৃদ্ধি করতে পারি আবার ঔষধের মাধ্যমেও হাসের ডিম বৃদ্ধি করা যায়। আপনি যদি এই সমস্ত ওষুধের নাম না জেনে থাকেন তাহলে এই পুরো পোস্টটি পড়ে নেন।

হাঁসের ডিম বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এসব ঔষধের মধ্যে রয়েছেঃ

ভিটামিন ও মিনারেলঃ ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব হাঁসের ডিম উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে। তাই হাঁসকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেলের সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। এছাড়াও, ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্টও দেওয়া যেতে পারে।
প্রোটিনঃ প্রোটিন হাঁসের ডিমের প্রধান উপাদান। তাই হাঁসকে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। এছাড়াও, প্রোটিন সাপ্লিমেন্টও দিতে পারেন।

লাইসিনঃ লাইসিন একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা হাঁসের ডিমের উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই হাঁসকে পর্যাপ্ত পরিমাণে লাইসিনসমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। 

হরমোনঃ হরমোন হাঁসের ডিম উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ। তাই কিছু ক্ষেত্রে হাঁসকে হরমোন দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। তবে, এটি অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ পশুচিকিৎসকের পরামর্শে করতে হবে।

আশা করি আপনি যদি এই সমস্ত ঔষধ নিয়ম মেনে হাঁসকে খাওয়াতে পারেন তাহলে হাঁসের ডিম বৃদ্ধি করতে ১০০% কাজ করবে।

হাঁসের রোগের ঔষধের তালিকা

হাঁসের রোগের ঔষধের তালিকা হাঁস মুরগিতে এমনিতেই রোগ জীবাণু অনেক বেশি থাকে এই সকল রোগ জীবাণু কাটাতে যে সমস্ত ওষুধের প্রয়োজন পড়ে সেই সকল ঔষধ নিয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব। এবং এই নিয়মে যদি আপনার হাঁসকে খাওয়াতে পারেন তাহলে আপনার হাস অবশ্যই সুস্থ এবং সবল থাকবে।

ভ্যাকসিন, ইনজেকশনঃ হাঁসের প্লেগ, ডাক কলেরা, এন্টারোটক্সিমিয়া, নিউমোনিয়া, আইবিডি ইত্যাদি রোগের জন্য ভ্যাকসিন পাওয়া যায়।

ট্যাবলেট, পাউডারঃ হাঁসের কৃমি, আমাশয়, কলেরা ইত্যাদি রোগের জন্য ট্যাবলেট পাওয়া যায়।

ডাকপ্লেগঃ ডাকপ্লেগ একটি সংক্রামক রোগ যা হাঁস এবং মুরগির মধ্যে দেখা যায়। এটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয় এবং লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং মৃত্যু। ডাকপ্লেগের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।

ভাইরাসজনিত রোগঃ হাঁস বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগে ভুগতে পারে। এই রোগগুলির মধ্যে রয়েছে রানিখেট, ব্রুডার ট্রাইজোমিনোসিস, এবং ব্রুডার ডিপথেরিয়া। এই রোগগুলির চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট ভাইরাল ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়।

পরজীবী সংক্রমণঃ হাঁস বিভিন্ন পরজীবী সংক্রমণে ভুগতে পারে। এই সংক্রমণগুলির মধ্যে রয়েছে কৃমি, ছারপোকা, এবং জীবাণু। এই সংক্রমণগুলির জন্য পরজীবীনাশক ব্যবহার করা হয়।

পুষ্টিজনিত রোগঃ হাঁস পুষ্টির অভাবে বিভিন্ন রোগে ভুগতে পারে। এই রোগগুলির মধ্যে রয়েছে রিকেটস, ম্যালেরিয়া, এবং অ্যানিমিয়া। এই রোগগুলির চিকিৎসার জন্য পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করা হয়। 

হাঁসের রোগের চিকিৎসায় ঔষধের পাশাপাশি কিছু প্রাকৃতিক উপায়ও ব্যবহার করা যায়। যেমনঃ
  • হাঁসের খাদ্যে ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার যোগ করা।
  • হাঁসের খাদ্যে জীবাণু নাশক উপাদান যোগ করা।
  • হাঁসের বাসস্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
  • হাঁসের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
হাঁসের রোগ প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবেঃ
  • হাঁসের টিকা দেওয়া।
  • হাঁসের খাদ্য এবং বাসস্থানের পরিবেশ ভালো রাখা।
  • হাঁসের রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা করা।
  • হাঁসের রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে হাঁসের উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং হাঁসের রোগের কারণে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
আপনি যদি এই সকল নিয়ম মেনে ঔষধ খাওয়াতে পারেন তাহলে আপনার হাঁসের রোগ জীবাণু অনেক অংশে কমে যাবে এবং ওজন বৃদ্ধি ডিম বৃদ্ধি এই সমস্ত কাজে সাহায্য করবে। আর এই সকল ঔষধ সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ কিংবা পুরাতন খামারির কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে খাওয়াতে পারেন।

হাঁসের চুনা পায়খানার ঔষধ

হাঁসের চুনা পায়খানা একটি রোগের লক্ষণ। এই রোগের চিকিৎসায় নিম্নলিখিত ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

অ্যামোডিনিয়া ২.৫% : এই ঔষধটি হাঁসের পাকস্থলীতে অ্যামোনিয়া জমা হওয়া রোধ করে।

রোগ্যান্টিন ৫%: এই ঔষধটি হাঁসের পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

অ্যান্টিবায়োটিক: যদি চুনা পায়খানার কারণ জীবাণু সংক্রমণ হয়, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।

এছাড়াও এনরোফ্লক্সাসিন, টেট্রাসাইক্লিন, ক্লোরোমফেনিকোল ইত্যাদি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে পারেন চুনা পায়খানার ঔষধ হিসাবে।

হাঁসের চুনা পায়খানার চিকিৎসায় কিছু প্রাকৃতিক উপায়ও রয়েছে। যেমনঃ
  • হাঁসের খাদ্যে পুদিনা পাতার রস যোগ করা।
  • হাঁসের খাদ্যে আদা বা হলুদের রস যোগ করা।
  • হাঁসের খাদ্যে লেবুর রস যোগ করা।
এই প্রাকৃতিক উপায়গুলোও হাঁসের চুনা পায়খানার চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে। তবে ঔষধের মতোই এই প্রাকৃতিক উপায়গুলোও নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।

হাঁসের প্যারালাইসিস রোগের ঔষধ

হাঁসের প্যারালাইসিস রোগের ঔষধের নাম হল এনরোফ্লক্সাসিন (এনরাসিন ৫%)। এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। হাঁসের প্যারালাইসিস রোগ একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এই রোগের চিকিৎসায় এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর ঔষধ আবিষ্কৃত হয়নি এনরোফ্লক্সাসিন ছাড়া। তবে হাঁসের প্যারালাইসিস রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা করা জরুরি আবার এনরোফ্লক্সাসিন খাওয়াতে পারেন।
হাঁসের প্যারালাইসিস রোগের চিকিৎসায় নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নিতে পারেনঃ

  • হাঁসের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা।
  • হাঁসের পায়ে ম্যাসাজ করা।
  • হাঁসের খাদ্যে ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার যোগ করা।
হাঁসের প্যারালাইসিস রোগের চিকিৎসায় ঔষধের পাশাপাশি এই ব্যবস্থাগুলো নিলে হাঁসের রোগের লক্ষণ কিছুটা কমে যাবে। তবে হাঁস পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম রয়েছে।

হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডার ঔষধ

আমরা অনেকেই হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডা নিয়ে অনেক চিন্তিত হয়ে থাকি সেজন্য আপনাদের জন্য এই পুরো আর্টিকেলে হাঁসের ঔষধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি নিম্নে হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডার ঔষধ সম্পর্কে সকল ঔষধ তুলে ধরা হয়েছে।
হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডার ঔষধ হিসেবে নিচের ঔষধগুলো ব্যবহার করা যেতে পারেঃ

অ্যান্টিবায়োটিকঃ যদি হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডার কারণ জীবাণু সংক্রমণ হয়, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে পারেন।

জ্বরনাশকঃ হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডার কারণে জ্বর হলে জ্বরনাশক ব্যবহার করা যাবে।

কাশিনাশকঃ হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডার কারণে কাশি হলে কাশিনাশক ব্যবহার করতে পারেন।

শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যার ওষুধঃ হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডার কারণে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হলে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যার ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

এছাড়াও সালফাডিমেক্সিনক্লোরোমফেনিকোলসালফাক্লোরাজিনসালফাডিমেক্সিন এই সমস্ত ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। যা আপনার হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডা সারাতে অন্যরকম ভূমিকা পালন করবে সেজন্য আপনাকে সঠিক নিয়মে খাওয়াতে হবে।

হাঁসের বাচ্চার রোগ ও চিকিৎসা

হাঁসের বাচ্চা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগগুলোর মধ্যে কিছু রোগ সংক্রামক এবং কিছু রোগ অসংক্রামক। সংক্রামক রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং হাঁসের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।
হাঁসের বাচ্চার রোগের তালিকা

হাঁসের প্লেগঃ এটি একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই রোগের কারণে হাঁসের মৃত্যুর হার খুবই বেশি।

ডাক কলেরাঃ এটিও একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই রোগের কারণে হাঁসের দ্রুত মৃত্যু হতে পারে।

এন্টারোটক্সিমিয়াঃ এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। এই রোগের কারণে হাঁসের ডায়রিয়া হয় এবং হাঁস দুর্বল হয়ে পড়ে।

নিউমোনিয়াঃ এটি একটি ফুসফুসের রোগ। এই রোগের কারণে হাঁসের শ্বাসকষ্ট হয় এবং হাঁস মারা  যায়।

আইবিডিঃ এটি একটি পাকস্থলীর রোগ। এই রোগের কারণে হাঁসের ডায়রিয়া হয় এবং হাঁস দুর্বল হয়ে পড়ে।

হাঁসের চুনা পায়খানাঃ এটি একটি অসংক্রামক রোগ। এই রোগের কারণে হাঁসের পায়খানা চুনের মতো হয়ে যায়।
হাঁসের প্যারালাইসিসঃ এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এই রোগের কারণে হাঁসের পা অবশ হয়ে যায় এবং হাঁস হাঁটতে পারে না।
হাঁসের বাচ্চার রোগের চিকিৎসায় নিচের ঔষধ গুলো ব্যবহার করুনঃ

উপরে যে সমস্ত হাঁসের ঔষধের কথা বলা হয়েছে আপনারা সে সকল ঔষধ গুলো নিয়ম মেনে খাওয়াতে পারেন। কারণ উপরে বেশ কিছু ঔষধ নিয়ে আলাপ আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি সে সকল বিষয়গুলো সুন্দর করে পড়ে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যে আপনি অনেকগুলো হাঁসের ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছন। এখানে নতুন করে বলার কিছু নেই তাই আপনার যদি মনে না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই উপরে পড়ে নিবেন।

হাঁসের কৃমির ঔষধ

আমাদের হাঁসের কৃমি হওয়ার কারণ আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না সেজন্য আমরা অনেকেই কি করব না করব কোন কিছুই বুঝতে পারি না। কিন্তু আজকে আমি আপনাদের জানাবো কি কি ঔষধ খাওয়ালে হাঁসের কৃমি দমন হবে। হাঁসের বিভিন্ন ধরনের কৃমি হতে পারে। এই কৃমিগুলো হাঁসের খাদ্য হজম প্রক্রিয়া, পুষ্টির শোষণ এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। হাঁসের কৃমির চিকিৎসায় নিম্নলিখিত ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারেঃ

অ্যান্টহেলমিনটিকসঃ এই ঔষধগুলো কৃমিকে মেরে ফেলে।

বিরোধী কৃমি ঔষধঃ এই ঔষধগুলো কৃমির বৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করে।

অ্যালবেন্ডাজল (ক্লিন্ডাজল ৫%), ফ্লুবেনডাজল (ম্যাক্সফেল ৫%), মেবেনডাজল (ভেটমবেন ৫%) এই সকল ঔষধ ক্রিমিনাশক ওষুধ যা হাঁসের বিভিন্ন ধরনের কৃমির বিরুদ্ধে কার্যকর।

হাঁসের কৃমির ঔষধ নির্বাচন করার সময় হাঁসের বয়স, কৃমির ধরন এবং কৃমির তীব্রতা বিবেচনা করতে হবে। হাঁসের কৃমির ঔষধ সাধারণত খাবার বা পানির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়।

হাঁসের কৃমির ঔষধের কিছু উদাহরণ হলোঃ

ফেনানথিনঃ এটি একটি সাধারণ অ্যান্টহেলমিনটিকস ঔষধ যা হাঁসের বিভিন্ন ধরনের কৃমির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

প্যারাথিয়াজোলঃ এটি একটি অ্যান্টহেলমিনটিকস ঔষধ যা হাঁসের গোলকৃমি এবং দাঁতওয়ালা কৃমির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হওয়া দেখা যায়।

ইভারমেকটিনঃ এটি একটি বিরোধী কৃমি ঔষধ যা হাঁসের গোলকৃমি, দাঁতওয়ালা কৃমি, এবং অন্যান্য অনেক ধরনের কৃমির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

আপনি যদি এই সকল ঔষধ নিয়ম মেনে হাঁস এবং মুরগিতে খাওয়াতে পারেন তাহলে হাঁসের কিংবা মুরগির সব ধরনের কৃমি মারতে বা দমন করতে সাহায্য করবে।

হাঁসের ভিটামিন ঔষধঃ শেষ কথা

হাসির ভিটামিন ঔষধ সহ বিভিন্ন ধরনের রোগের ঔষধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি পুরো পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যে হাঁসের বিভিন্ন ঔষধ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমাদের পোস্টটি যদি আপনার কোন কাজে লেগে থাকে কিংবা উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করতে পারেন। আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আপডেট তথ্য এই ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url