ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
গ্রামীণ ব্যাংকের পেনশন হিসাব জানতে ক্লিক করুনডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ, ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, ডাচ বাংলা ব্যাংক ৫০০০ টাকা, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ফরম, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম, ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
সূচীপত্রঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ
- ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংক ৫০০০ টাকা
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ফরম
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম
- ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগেঃ শেষ কথা
এই সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আপনি যদি এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর না জেনে থাকেন তাহলে পুরো পোস্টটি আপনার জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। কারণ বর্তমান সময়ে অন্যান্য ব্যাংকের থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংক অনেক এগিয়ে আছেন এবং খুব সহজেই টাকা উত্তোলন করা যায় এবং বিভিন্ন জায়গায় এটিএম মেশিন দেখা যায় যার মাধ্যমে আমরা টাকা উত্তোলন করতে পারি খুব সহজে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে এটা নির্ভর করছে যে আপনি কি ধরনের অ্যাকাউন্ট করতে যাচ্ছেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে তেমন কোন টাকা পয়সা খরচ হয় না। ডাচ বাংলা ব্যাংকের সঞ্চয়ী একাউন্ট খুলতে ১০ টাকা লাগে। এছাড়াও, যেকোনো একটি ধরনের পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হয়।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের চলতি একাউন্ট খুলতে ১০০ টাকা লাগে। একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে সেই একাউন্ট চালু করতে ৫০০ টাকা জমা দিতে হয় এই ৫০০ টাকা আপনি চাইলে পরবর্তীতে তুলে নিতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংকের অন্যান্য একাউন্টের জন্যও প্রয়োজনীয় ফি নির্ধারিত আছে। এর সাথে আপনি যদি কার্ড কিংবা চেক বই নিতে চান সে জন্যও প্রতিবছরে অল্প পরিমাণে ফ্রি জমা দিতে হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে আমরা যারা নতুন অ্যাকাউন্ট করতে যাই তাদের এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। তারা বুঝতে পারে না যে কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হয় সেজন্য আমি আপনাদের জানাবো যে ডাচ বাংলা একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে এবং কি কি প্রয়োজন হতে পারে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যে যে তথ্য প্রয়োজন তা নিচে তুলে ধরা হলোঃ
ব্যক্তিগত তথ্যঃ পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি রঙিন ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ এর ফটোকপি। ঠিকানার প্রমাণপত্র যে কোনো একটি দিতে হবে যেমন- বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, টেলিফোন বিল, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদির ফটোকপি।
অন্যান্য তথ্যঃ মোবাইল নম্বর, ইমেল ঠিকানা, পেশা এবং যদি একাউন্টটি যৌথভাবে খোলা হয়, তাহলে উভয় ব্যক্তির উপরোক্ত কাগজপত্র ও তথ্য প্রয়োজন হবে। এছাড়াও, যদি একাউন্টটি স্টুডেন্ট একাউন্ট হয়, তাহলে শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব সনদ (Student Certificate) প্রয়োজন হবে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোনো শাখায় গিয়ে উপরোক্ত কাগজপত্র ও তথ্য সহ একাউন্ট খোলার জন্য আবেদন করতে হবে।
আবেদনপত্র পূরণের সময় আবেদনকারীর স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপ দিতে হবে। একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ফি ব্যাংক শাখায় পরিশোধ করতে হবে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন "রকেট" ব্যবহার করেও একাউন্ট খোলা যায়। রকেট অ্যাপ্লিকেশনে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করলে ব্যাংকের প্রতিনিধি ফোন করে
আপনার পরিচয় যাচাই করবেন এবং একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিবেন। এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য জামানত প্রয়োজন হয় না। এদিকে ডাচ বাংলা ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের থেকে অনেক এগিয়ে আছেন এবং বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের এটিএম মেশিন পাওয়া যায় যেখান থেকে খুব সহজেই টাকা উত্তোলন করা যায়।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ
ডাচ বাংলা ব্যাংকে একটি সুবিধা রয়েছে সেটি হলো ১০ হাজার টাকার নিচে যদি আপনার সেভিং একাউন্টে থেকে থাকে তাহলে কোন প্রকার চার্জ কাটবে না। কিন্তু আপনার যদি ১০ হাজার টাকার উপরে থাকে তাহলে অটোমেটিকলি আপনার কাছ থেকে প্রতি ছয় মাস পর পর চার্জ কাটা হবে যা নিচে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
একক অ্যাকাউন্টঃ বিনামূল্য
ব্যাংক স্টেটমেন্ট চার্জঃ প্রতি কপির জন্য ১০০ টাকা, তবে বছরে ২ বার বিনামূল্যে
চেক বই ইস্যু চার্জঃ প্রতিটি চেক বইয়ের জন্য ১০০ টাকা
চেক লিখনের চার্জঃ প্রতিটি চেকের জন্য ২৫ টাকা
এটিএম ব্যবহারের চার্জঃ নিজের ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন বিনামূল্যে, অন্য ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন প্রতিটি লেনদেনের জন্য ৫০ টাকা
চেক ডিজঅনার চার্জঃ প্রতিটি চেকের জন্য ৫০০ টাকা
বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের চার্জঃ বিনিময় হারের সাথে অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য
অন্যান্য চার্জঃ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের সুদহার নিম্নরূপঃ
- ৫ লাখ টাকার নিচেঃ ০.৫০%
- ৫ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকার নিচেঃ ১.০০%
- ১৫ লাখ টাকার উপরেঃ ১.৫০%
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে এর উত্তর হল ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে কোনো টাকা লাগে না। শুধুমাত্র একাউন্ট চালু করার জন্য ৫০০ টাকা ডিপোজিট করতে হয় কিন্তু আপনি যদি পরবর্তীতে সেই ৫০০ টাকা না রাখতে চান তাহলে সেই 500 টাকাও তুলে নিতে পারবেন। একাউন্ট খোলার জন্য শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য জমা দিতে হয়।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার সুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- একাউন্ট খোলার ফি বিনামূল্যে
- এটিএম কার্ড সম্পূর্ণ ফ্রি
- মাসিক লেনদেনের লিমিট নেই
- সুদের হার ৩.৫%
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিনামূল্যে
ডাচ বাংলা ব্যাংক ৫০০০ টাকা
প্রথমে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট করতে একাউন্টে ৫০০০ টাকা জমা রাখতে হতো কিন্তু বর্তমানে ডাচ বাংলা ব্যাংক ৫০০০ টাকা রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ব্যাংকটি সিদ্ধান্ত নেয় যে, সঞ্চয়ী হিসাবে ন্যূনতম ৫০০০ টাকা রাখতে হবে। তবে গ্রাহকদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ব্যাংকটি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
বর্তমানে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবে ন্যূনতম ৫০০ টাকা রাখতে হয়। এছাড়াও, চলতি হিসাবে ন্যূনতম ২০০০ টাকা রাখতে হয়। ডাচ বাংলা ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবে ৫০০০ টাকা রাখার সিদ্ধান্ত বাতিলের ফলে, গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যাংকে রাখতে পারবেন। এটি গ্রাহকদের জন্য একটি ভালো খবর বলা যেতে পারে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ফরম
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ফরমে তেমন কোন তথ্য দিতে হয় না এরপরেও যে সমস্ত তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হয় সে সমস্ত তথ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ফরম হলো ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোনো শাখায় একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় একটি ফরম। এই ফরমটি পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে গ্রাহকরা ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে পারেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ফরমটিতে যে সমস্ত তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করতে হবে তা নিচে তুলে ধরা হলোঃ
ব্যক্তিগত তথ্যঃ আবেদনকারীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, (NID) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ নম্বর, ছবি, ঠিকানা এই সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
অন্যান্য তথ্যঃ আবেদনকারীর পেশা, মোবাইল নম্বর, ইমেল ঠিকানা এই সমস্ত তথ্য দিয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ফর্ম খুব সহজেই ফিলাপ করতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার আমরা অনেকেই এই কথাটি জানিনা ডাচ-বাংলা ব্যাংক সাধারণত দুই প্রকার। যথাঃ
সঞ্চয়ী হিসাব (Savings Account)
চলতি হিসাব (Current Account)
সঞ্চয়ী হিসাবঃ সঞ্চয়ী হিসাব হলো এক ধরনের ব্যাংক হিসাব যেখানে গ্রাহকরা তাদের অর্থ জমা রাখতে পারেএবং এই হিসাবে গ্রাহকরা সুদ পান। সঞ্চয়ী হিসাবের সুদের হার সাধারণত অন্যান্য ব্যাংক হিসাবের তুলনায় বেশি হয়।
চলতি হিসাবঃ চলতি হিসাব সাধারণত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সংস্থা দ্বারা ব্যবহার করা হয়। এখানে গ্রাহকরা তাদের লেনদেন করতে পারেন এবং তার বিনিময়ে গ্রাহকরা সুদ পেয়ে থাকেন।
এছাড়াও, ডাচ বাংলা ব্যাংকের আরও কিছু বিশেষ ধরনের একাউন্ট রয়েছে, যেমনঃ
- স্টুডেন্ট একাউন্ট
- এজেন্ট একাউন্ট
- ফান্ড অ্যাকাউন্ট
- ডেবিট কার্ড একাউন্ট
- ক্রেডিট কার্ড একাউন্ট
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আপনি অনেক ভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখতে পারেন যা নিচে একটি একটি করে বর্ণনা করা হয়েছে। আপনি যদি পুরো পোস্টটি পড়ে নেন তাহলে ক্লিয়ার একটা ধারণা পেয়ে যাবেন।
ATM মেশিন থেকেঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোনো এটিএম মেশিনে গিয়ে আপনার একাউন্ট নম্বর এবং পিন নম্বর দিয়ে লগইন করুন। এরপর, “Account Balance” অপশনে ক্লিক করুন। আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয়ে যাবে।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং থেকেঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে “Internet Banking” অপশনে ক্লিক করুন। আপনার একাউন্ট নম্বর এবং পিন নম্বর দিয়ে লগইন করতে হবে। এরপর, “Account Summary” অপশনে ক্লিক করতে হবে। আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স স্ক্রিনে দেখতে পাবেন।
মোবাইল ব্যাংকিং থেকেঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ “রকেট” ব্যবহার করে আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স দেখতে পারেন। অ্যাপটিতে লগইন করার পর, “Account Summary” অপশনে ক্লিক করুন। আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে।
ব্যাংক শাখা থেকেঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোনো শাখায় গিয়ে আপনার একাউন্ট নম্বর দেখিয়ে আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স জানতে পারেন।
SMS থেকেঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকের “Balance” সার্ভিস ব্যবহার করে আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স জানতে পারেন। আপনার মোবাইল ফোন থেকে “DBBL BALANCE” লিখে 16222 নম্বরে পাঠান। আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স এসএমএসের মাধ্যমে আপনার মোবাইলে চলে আসবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার জন্য SMS থেকে ব্যালেন্স জানার পদ্ধতিটি হলো সবচেয়ে সহজ। তবে, এই পদ্ধতিতে আপনার একাউন্টের লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য দেখা যাবে না। অন্যদিকে, ATM মেশিন, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং এবং ব্যাংক শাখা থেকে একাউন্ট দেখার পদ্ধতিতে আপনার একাউন্টের লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য দেখা যাবে। এখন আপনার বাসায় যেটি ভালো মনে হবে সেটি করতে পারেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা বলতে গেলে বলা যায় যে ডাচ বাংলা ব্যাংক এ যে পরিমাণ সুবিধা পাওয়া যায় অন্যান্য ব্যাংকে সেই রকম সুবিধা পাওয়া যায় না। ডাচ বাংলা ব্যাংকের অন্যান্য একাউন্ট এর চেয়ে সেভিংস একাউন্টের সুবিধা আরো বেশি রয়েছে যা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
সুদ পাওয়াঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের গ্রাহকরা তাদের জমাকৃত অর্থের উপর সুদ পেয়ে থাকে। সুদের হার, হিসাবের ধরন, হিসাবে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ এবং হিসাবের মেয়াদকালের উপর নির্ভর করে সুদ দিয়ে থাকে।
এটিএম কার্ডঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের গ্রাহকরা বিনামূল্যে একটি এটিএম কার্ড পেয়ে থাকে। এই কার্ডটি ব্যবহার করে গ্রাহকরা যেকোনো ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন, লেনদেন করতে পারেন।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিংঃ ডাচ বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের গ্রাহকরা বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা পান। এই সেবাগুলো ব্যবহার করে গ্রাহকরা তাদের একাউন্টের লেনদেন, ব্যালেন্স চেক, টাকা পাঠানো, বিল পরিশোধ ইত্যাদি করতে পারেন।
এছাড়াও ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট থেকে নিচে দেওয়া সুবিধাগুলোও পেতে পারেঃ
- ডেবিট কার্ড
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য ক্যাশব্যাক
- বিদেশে টাকা পাঠানোর সুবিধা
- লোন সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের সুবিধাগুলো বিবেচনা করে দেখা যায় যে, এটি একটি ভালো মানের সেভিংস একাউন্ট। এই একাউন্টের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের অর্থ সুরক্ষিত রাখতে পারেন এবং সুদ পাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধাও পেতে পারেন যা অন্যান্য ব্যাংক থেকে পাওয়া যায় না।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগেঃ শেষ কথা
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে আমাদের অনেকেরই এই জিনিসটা অজানা কিন্তু আপনি যদি প্রথম থেকে এই পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যে আপনি এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। কারণ আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে।
তাই আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি না পড়ে থাকেন তাহলে পড়ে নিতে পারেন। এবং এর সাথে মিল রেখে আরো বেশ কয়েকটি পয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সঠিক তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url