ফজরের আজানের আগে নামাজ পড়া যাবে কিনা

 আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করি ভাল আছেন। আপনাদের জন্য আরো একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি। এই আর্টিকেলের ভিতরে বেশ কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যে সব বিষয়গুলো সব মুসলিমের জানা থাকা অনেক প্রয়োজন। তাহলে চলুন এক নজরে দেখে নেই এই পুরো পোস্টে কি কি রয়েছে।

সূচিপত্র ফজরের আজানের আগে নামাজ পড়া যাবে কিনা

ভূমিকা
ফজরের আজানের আগে নামাজ পড়া যাবে কিনা
মহিলারা আযানের আগে নামাজ পড়া যাবে কি
নামাজের ওয়াক্ত শুরু হলে কি নামাজ পড়া যাবে
আযানের সময় কি ফজর নামাজ পড়া যাবে
ইচ্ছাকৃত নামাজ না পড়ার শাস্তি কি
শেষ কথা
ইচ্ছাকৃত নামাজ না পড়ার শাস্তি কি, আযানের আগে নামাজ পড়া যাবে কি, মহিলারা আযানের আগে নামাজ পড়া যাবে কিন, ফজরের আজানের আগে নামাজ পড়া যাবে কিনা এছাড়া আরো বেশ কয়েকটা পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আর দেরি না করে পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে শুরু করুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন তাহলে এই পোষ্টের মাধ্যমে বেশ কয়েকটা পয়েন্ট সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখা যাক এই পুরো পোস্টটি কি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

আযানের আগে নামাজ পড়া যাবে কিনা, মহিলারা আযানের আগে নামাজ পড়া যাবে কি, ফজরের আজানের আগে নামাজ পড়া যাবে কিনা, নামাজের ওয়াক্ত শুরু হলে কি নামাজ পড়া যাবে, আযানের সময় কি ফরজ নামাজ পড়া যাবে, ইচ্ছাকৃত নামাজ না পড়ার শাস্তি কি এই সব মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে পুরো পোস্টটি সাজানো হয়েছে।

আজানের আগে নামাজ পড়া যাবে কিনা

অনেক প্রবাসী ভাই আছেন যারা বলে যে আযানের আগে নামাজ পড়া যাবে কিনা। আবার অনেকে বলে যে জোহরের নামাজ ১২ টায় পড়া যাবে কিনা। এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে পুরো পোস্টটি পড়ে নিন। ইসলামে আযানের আগে নামাজ পড়ার কোন বিধান নেই। কিন্তু এখানে একটা কথা আছে আপনি যে,দেশে আছেন ওই দেশে যদি ১২ টায় নামাজ শুরু হয় তাহলে পড়া যাবে অন্যথায় করা যাবে না।

কিন্তু যোহরের নামাজ আপনি আছরের আগে করতে পারবেন। আবার মাগরিবের নামাজ আপনি এশার নামাজের আগে পড়তে পারেন। কিন্তু আযানের আগে কিংবা নামাজের ওয়াক্ত শুরু না হলে আপনি নামাজ আদায় করতে পারবেন না। আর যদি এমন হয় যে,আপনি এমন একটা একটা চাকরি করেন যে চাকরি করলে ঠিকমত নামাজ আদায় করতে সমস্যা হয়।

তাহলে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সেই চাকরি করা আপনার ঠিক হবে না। এমন একটা চাকরি বেছে নিতে হবে যে,আপনার নামাজের যেন কোন প্রকার সমস্যা না হয়। কারণ আমরা মুসলিম আমাদের নামাজ আদায় করা বাধ্যতামূলক।

মহিলারা আযানের আগে নামাজ পড়া যাবে কি

আমাদের মুসলিম মা ও বোনদের অনেক সময় দেখা যায় যে, নামাজ পড়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে সে, যায় নামাজে দাঁড়িয়ে আছে মসজিদের আজানের জন্য। কারন মসজিদে আজান দিবে তারপর নামাজ আদায় করবে। কিন্তু মসজিদের আযানের সাথে মহিলাদের কোন সম্পর্ক নেই। মসজিদের আজানের সাথে পুরুষের জামাতের সম্পর্ক রয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা কুরআনে সূরা নিসা ১০৩ নাম্বার আয়াতে বলেছেন যে, নিশ্চয়ই মুসলিমদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ আদায় করাটাকে ফরজ করা হয়েছে। তাহলে মহিলাদের দেখতে হবে যে, নামাজের ওয়াক্ত হয়েছে কিনা। নামাজের ওয়াক্ত হয়ে যাবে মহিলারা ঘরে নামাজ আদায় করবে। মসজিদের আজানের সাথে মহিলাদের নামাজের কোন সম্পর্ক নেই।

ফজরের আজানের আগে নামাজ পড়া যাবে কিনা

মসজিদে অনেক সময় দেখা যায় যে, ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেছে কিন্তু মোয়াজ্জেম এখনো আযান দিচ্ছে না। এদিকে দেখা যায় যে, অনেক মা বোন আযানের জন্য বসে থাকে কিন্তু এটা ভুল ধারণা। কারণ মহিলাদের নামাজের সাথে মসজিদের আজানের কোন সম্পর্ক নেই। মহিলাদের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেছে ঘরে বসে নামাজ আদায় করবে।

মসজিদে আজান হোক বা না হোক তার সাথে মহিলাদের নামাজের কোন সম্পর্ক নেই। তাই ফজর যহর যাই বলেন না কেন নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যাবে মহিলারা নামাজ পড়া শুরু করবেন।

নামাজের ওয়াক্ত শুরু হলে কি নামাজ পড়া যাবে

নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথে নামাজ আদায় করা যাবে। মসজিদের আজান হল নামাজের ওয়াক্তের জানান দেওয়া এবং জামাতের সাথে নামাজ পড়ার জন্য আহবান করা। যাতে মসজিদে আযান শুনে পুরুষগণ জামাতের সাথে নামাজ আদায় করতে পারে। কিন্তু সে সমস্ত মা ও বোনেরা বাড়িতে সালাত আদায় করবেন তাদেরকে দেখতে হবে যে, নামাজের ওয়াক্ত হয়েছে কিনা।

নামাজের ওয়াক্ত হয়ে যাবে নামাজ পড়ে ফেলবেন। মহিলাদের নামাজ পড়ার সাথে আযানের কোন সম্পর্ক নেই। তাই মহিলারা সব সময় খেয়াল রাখবেন যে, নামাজের ওয়াক্ত হয়েছে কিনা। মসজিদে আজান হোক বা না হোক।

আযানের সময় কি ফজর নামাজ পড়া যাবে

আজানের সময় আযানের উত্তর দেওয়া একটি ইবাদত। আযানের উত্তর দিলে কি লাভ। যদি মোয়াজ্জিনের সাথে আযানের উত্তর দেন তাহলে ওই মুয়াজ্জেন যে পরিমাণ সওয়াব পাবে আপনিও সেই পরিমাণ সওয়াব পাবেন। মোয়াজ্জিন কি পরিমাণ সওয়াব পায়। মোহাম্মদ সাঃ বলেছেন যে,

মোয়াজ্জিনের আজান শুনে যত মানুষ নামাজে আসে তার সমপরিমাণ সওয়াব মোয়াজ্জেম পেয়ে থাকে। তাই আমরা আযানের সময় নামাজ না পড়ে আযানের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। যদি কোন বিশেষ কাজ থাকে তাহলে আজানের সময় নামাজ পড়তে পারেন কোন সমস্যা হবে না।

ইচ্ছাকৃত নামাজ না পড়ার শাস্তি কি 

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদের সকল মুসলিমদের উপর ফরজ বলে ঘোষণা করে দিয়েছে আমাদের বিশ্বনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। কিন্তু আমরা আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেওয়া বিধান ভুলে গিয়েছি। নামাজ না পড়লে আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাত দুইটাই বরবাদ করে দিবে এই বিধান আমরা ভুলে গেছি।

আমাদের মুসলিম উম্মাহ নামাজের কোন পরোয়া করে না কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত নামাজ ছেড়ে দিবে তার জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি। সাহাবারা স্বপ্ন দেখলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বপ্ন দেখলে সাহাবীদের বলতেন।

একদিন সকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের বলছেন যে আজ রাতে আমার কাছে দুজন আগন্তুক এসে বলল আমাদের সাথে চলুন আমি তাদের সাথে গেলাম। এরপর আমরা এমন ব্যক্তির কাছে পৌঁছে গেলাম দেখি সেই ব্যক্তি চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। অতঃপর তার মাথার কাছে আরেক জন ব্যক্তি পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

এবং সেই ব্যক্তি পাথর দিয়ে শুয়ে থাকা ব্যক্তিকে মাথার উপর পাথর মারছে সাথে সাথে মাথা ফেটে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। অতঃপর পাথরটি গোরতে গোরতে অন্য জায়গায় যাচ্ছে। সেই ব্যক্তি পাথরটি আবার নিয়েছে আসছে এবং পাথর নিয়ে আসার আগেই সেই ব্যক্তির মাথা আবার পুনরায় ঠিক হয়ে যাচ্ছে। এভাবে প্রতিনিয়ত পাথর মারতেই আছে।

এই অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন যে এই ব্যক্তির অপরাধ কি। তখন তারা বলল যে, এই ব্যক্তি ফজরের আযান শুনেও নামাজ না পড়ে ঘুমিয়ে যেত। (রিয়াদুস সালেহীন 1546) নামাজ না পড়লে মৃত্যুর সাথে সাথে কবরের আজাব শুরু হয়ে যাবে। বেনামাজির কবরে একজন আজাবের ফেরেশতা পাঠানো হবে।

তার হাতে থাকবে লোহার মুগুর সে মৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করবে কেন দুনিয়াতে নামাজ আদায় করনি এখন তার ফল ভোগ করো। ফেরেশতারা এই বলে ফজরের নামাজ না করার জন্য ফজর থেকে যোহর এবং জহর নামাজ না পড়ার জন্য যহর থেকে আছর এবং আসর নামাজ না পড়ার জন্য আসর থেকে মাগরিব এভাবে লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে।

এক একবার আঘাতের কারণে বজ্রপাতের মত শব্দ হবে এবং শরীর 50 গজ মাটির নিচে চলে যাবে শরীর চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। এইভাবে কিয়ামত পর্যন্ত আঘাত করতেই থাকবে। মৃত্যুর পরে প্রথম হিসাব নিবেন সালাতের তাই সালাতের হিসাব যদি আপনি বেঁচে যান তাইলে আপনি সফল। তাই আমরা এখনো যারা নামাজ পড়ি না তাদের জন্য রয়েছেন ভয়াবহ শাস্তি। আল্লাহ সবাইকে নামাজ পড়ার তৌফিক দান করো আমিন।

শেষ কথা

আপনি যদি আমাদের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলের ভেতর যেসব পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এর ভেতর যদি কোন একটা পয়েন্ট বুঝতে সমস্যা মনে হয় তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। এবং এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে,

আপনার পরিবার বন্ধু বান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। প্রতিদিন এইরকম আপডেট আর্টিকেল পেতে mariyaonlineblog.com এর সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url