গর্ভাবস্থায় কত মাসে পেট বড় হয়
গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি হয় বিশ্তারিত জানুনমায়েদের জন্য আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বিষয়টি সব মায়ের জানা থাকা প্রয়োজন। তাহলে চলুন জেনে নেই কোন কোন টপিকে আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। এই পোস্টের মেইন টপিক হল গর্ভ অবস্থায় কত মাসে পেট বড় হয় এবং এর সাথে মিল রেখে আরো কয়েকটি কি ওয়ার্ড নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সূচিপত্র সমূহঃ গর্ভাবস্থায় কত মাসে পেট বড় হয়
গর্ভাবস্থায় কত মাসে পেট বড় হয়গর্ভাবস্থায় পেট ছোট হওয়ার কারণ
গর্ভাবস্থায় পেঁপে খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ
ছেলে বাচ্চা পেটের কোন দিকে থাকে
শেষ কথা
যেমন কর্মস্থায় পেট ছোট হওয়ার কারণ, গর্ব অবস্থায় পেপে খেলে কি হয়, গর্ভ অবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ, ছেলে বাচ্চা পেটের কোন দিকে থাকে, এই সমস্ত বিষয়গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
গর্ভাবস্থায় কত মাসে পেট বড় হয়
আমরা যখন বাড়ির আশেপাশে কিংবা মা-বোনদের গর্ভাবস্থায় দেখি তখন অনেকে অনেক রকম কথা বলে পেট বড় বা ছোট কিনা এ সমস্ত প্রশ্ন করে সবার মাথা ঘুরিয়ে ফেলে আর এসব কথা শুনতে শুনতে মায়ের গর্ভধারণ নিয়ে চিন্তায় পরে যায়। সেজন্য আজকে আপনাদের জানাবো কত মাসে পেট বড় হয় এবং পেট কতটা বড় বা ছোট হওয়া উচিত এই সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
পেট বড় হওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই এক এক মায়ের ক্ষেত্রে এক এক সময় পেট বড় হতে পারে। অনেক মায়ের ক্ষেত্রে পজিটিত প্রেগন্যান্সি টেস্ট পাওয়ার অল্প দিনেই পেট ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে তবে এর কারণ ভিন্নতা হতে পারে। আপনার যদিও অনেক আগে থেকেই পেট ফোলা শুরু করে তাহলে এর কারণ নিম্ন রূপ।
পেট ফোলা বাপ পেটে গ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্য আবার অনেকে বলে জোড়া সন্তান হলে আগেই পেট খোলা শুরু করে। যে মা প্রথমবার গর্ভ অবস্থায় আসে তার ১৩ থেকে ১৬ সপ্তাহের ভেতরে পেট ফোলা শুরু করে আর যাদের আগে একবার বাচ্চা হয়েছে তাদের একটু আগেই পেট ফোলা শুরু হয়। কারণ তাদের জরায়ু এবং পেটের পেশী আগে গর্ভধারণের কারণে
আরো পড়ুন গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া যাবে কি
প্রসারিত হয়ে যায়। গবেষকদের মধ্যে 12 সপ্তাহে জরায়ু পিউবিক হাড়ের ভেতরে থাকে তার কারণে খুব একটা বোঝা যায় না। এ সময়ের পর থেকে মায়ের পেল্ভিসের বাইরের দিকে বাড়তে থাকে আবার অনেক সময় জিনের উপর ভিত্তি করে, বংশের জন্য, বয়সের উপর ভিত্তি করেও পেট বড় হওয়ার সময় টা একটু বেশি লাগে। কারণ কম বয়সে মায়েদের পেটের পেশি মজবুত থাকে
এবং এর জন্য পেট বড় হতে সময় লাগে। আপনার যদি পেট বাড়তে সময় লাগে তাহলে ঘাবড়ানোর কোন দরকার নেই। কারণ অনেকের রেট্রোভারটেড জরায়ু থাকে তা হল জরায়ুর পেছনের দিকে হেলানো থাকে এটি বাচ্চা বৃদ্ধিতে কোন প্রকার প্রভাব ফেলে না।এর কারণ হলো জরায়ু যখন পেলডিস থেকে বের হয়ে পেটের দিকে বাড়তে শুরু করে ঠিক তখনই এটা ঠিক হয়ে
যায় এরপরেও যদি কোন সমস্যা মনে হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। কত মাসে পেট বড় হয় এই সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা দেওয়া হয়েছে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় পেট ছোট হওয়ার কারণ
গর্ভাবস্থায় অনেক মায়েরাই পেট নিয়ে চিন্তায় পরে যায় কারণ একসাথে দুই জন গর্ভবতী হয়েছে একজনের পেট খুবই ছোট দেখা দিচ্ছে আবার আরেক জনের অনেক বড় দেখা দিচ্ছে এর জন্য চিন্তা করে থাকেন অনেকেই। গবেষণায় দেখা গেছে পেটের বাচ্চা যদি আকারে ছোট হয় তাহলে পেটের আকারও ছোট হয়ে থাকে
আবার বাবা-মার জিনের উপরে মানে বাবা মার উচ্চতা যদি কম হয়ে থাকে তাহলে বাচ্চাও ছোট হতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় মেয়েরা প্রথমবার গর্ভ অবস্থায় থাকলে তাদের জরায়ু শক্ত থাকে তার জন্য পেটের আকার ছোট হয়ে থাকে বাচ্চা ছোট বা পেট ছোট হওয়া এটা কোন সমস্যা করবে না।
এর পরেও যদি আপনার কাছে কোন ধরনের সমস্যা মনে হয় তাহলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন এই সমস্ত সমস্যার কারণে গর্ভাবস্থায় পেট ছোট হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায় পেঁপে খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় মেয়েরা খাওয়া নিয়ে অনেক চিন্তায় পড়ে যায় আবার অনেকে বলে গর্ভাবস্থায় পেপে খাওয়া যাবে কিনা। আদিম যুগের মানুষেরা বলেছেন যে গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়া যাবেনা আপনি জানেন এই কথাটা কতটুকু সঠিক তাহলে চলুন জেনে নেই। পেপেতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান ও পুষ্টিগুনে ভরা। রাজশাহী মেডিকেল ডাক্তার বলেছেন যে গর্ভ অবস্থায় কাঁচা পেঁপে খাওয়া ঠিক নয়।
কারণ কাঁচা পেপেতে আছে লেটেক্র আর এই লেটেক্রের মধ্যে উপাদান পেপেইন জরায়ু রক্তপাত ঘটিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে লেটেক্স এলার্জির কারণ হতে পারে কিন্তু গবেষণায় দেখা যায় পাকা পেপেতে লেটেক্সের পরিমাণ খুব কম থাকে এবং বিভিন্ন উপাদানে ভরা থাকে। যেমন ভিটামিন এ, বি, ও পটাশিয়াম যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
আরো পড়ুন গর্ভাবস্থায় বেশি ঝাল খেলে কি হয়
আবার অনেক সময় দেখা যায় মায়েরা সতর্কতার জন্য পেঁপে খাওয়া একেবারে ছেড়ে দেয় এটা করা ঠিক নয়।কারণ পাকা পেপেতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে সেখান থেকে তারা বঞ্চিত হয়ে যায়। পাকা পেপে খাবেন ফরমালিং ছাড়া নিজে গাছ লাগিয়ে খাবেন তাহলে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না এর পরেও খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত
এবং অতিরিক্ত কোনো খাবার খাওয়া যাবে না হোক সেটা পেপে কিংবা অন্য কিছু গর্ভাবস্থায় যে কোন জিনিস খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ
গর্ভাবস্থায় মায়েরা তার মান মত কাজ করা বা খাবার খেতে পারবে না এতে করে মায়ের ও সন্তানের জন্য অনেক ক্ষতির কারণ হতে পারে।গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর যদি অ্যাক্টিভ থাকে তাহলে সন্তান দেওয়ার সময় কষ্ট অনেক কম হয়।এখন বলব গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ,
- প্রথম গর্ভাবস্থায় মিসক্যারেজ বেশি থাকে প্রথম তিন মাসে, তাই এই সময়টি মাটিতে বসে কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন। যেমন সবজি কাটা, মাছ কাটা এই কাজগুলো মাটিতে বসে করবেন না দাঁড়িয়ে করতে পারেন।
- টয়লেট পরিষ্কার করা বাদ দিবেন কারণ টয়লেট পরিষ্কার করার সময় বিষাক্ত কেমিক্যাল দেওয়া হয় এর ফলে আপনার সন্তানের ক্ষতি হতে পারে সাথে আপনারও।
- জারু দেওয়া ও মোছা মুছির কাজগুলো থেকে বিরত থাকবেন কারণ গর্ব অবস্থায় থাকার কারণে পেট অনেক অংশ ভারি হয়ে যায়।
- একটা জায়গায় টানা ২০-৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকবেন না এতে করে আপনার সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
- ভারী কোন কাজে হাত লাগানোর চেষ্টা করবেন না।
- উঁচু জায়গার জিনিসপত্র পরিষ্কার করতে যাবেন না যেমন ফ্যান, ফিলিং ইত্যাদি।
- ধুমপান করা বা অ্যালকোহল জনিত দ্রব্য সেবন করা থেকে বিরত থাকবেন এর কারণে আপনার সন্তানের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।
- গর্ভাবস্থায় সব ধরনের ঔষধ খাওয়া ঠিক হবে না।
- সব সময় টেনশনমুক্ত থাকতে চেষ্টা করতে হবে বেশি টেনশন করলে মায়েরও সন্তানের পক্ষে ক্ষতিকারক।
- অতিরিক্ত যে কোন কাজ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং পুষ্টিগুণ ফল ও সবজি বেশি খেতে হবে যাতে করে বাচ্চা প্রসবের সময় কষ্ট কম হয়।
ছেলে বাচ্চা পেটের কোন দিকে থাকে
গর্ভবতী মায়েরা অনেক সময় বলে থাকেন যে আমার পেটের বাচ্চা, ছেলে নাকি মেয়ে এটা কিভাবে বুঝতে পারব। আমি তাদেরকে বলব ছেলে বাচ্চা পেটের কোন দিকে থাকে আগামী ২০-৩০ বছর আগে আমাদের এত প্রযুক্তি যন্ত্র ছিল না। কিন্তু সেকালের মানুষ কিছু আলামত দেখে বলে দিতেন যে, ছেলে বাচ্চা পেটে কোন দিকে থাকে এবং মেয়ে বাচ্চা পেটের কোন দিকে থাকে।
এর কয়েকটি আলামত হলো ছেলে বাচ্চা হলে পেটের ভিতর বেশি নড়াচড়া করে থাকে এবং পেটের ডান পাশে অবস্থান করে আবার বাম পাশেও অবস্থান করে এটা ১০০% ভাবে বলা যাচ্ছে না যে পেটের কোন পাশে থাকবে। ছেলে সন্তান হলে ঝাল খেতে মন চায় বেশি আবার মায়ের শরীর যদি প্রথম থেকে সুস্থ থাকে তাহলে বলা যায় যে,
আরো পড়ুন গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি হয়
পেটের বাচ্চা ছেলে হবে। আগামী কয়েক বছর আগের মানুষেরা এই আলামত গুলো দেখে বলে দিতেন যে পেটের বাচ্চা ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে কিন্তু এখন দেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছে। সেজন্য আধুনিক আধুনিক যন্ত্র বের হয়েছে যার মাধ্যমে খুব সহজেই বোঝা যায় যে, পেটের বাচ্চা ছেলে নাকি মেয়ে।
আবার বাচ্চা কোন পাশে আছে কিভাবে আছে কেমন আছে এই সমস্ত বিষয়গুলো আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। যে ছেলে বাচ্চা পেটের কোন দিকে থাকে।
শেষ কথা
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যে আপনি জেনে গেছেন যে গর্ভাবস্থায় কত মাসে পেট বড় হয়। এবং এর পাশাপাশি আরও অনেক গুলো লওয়ার্ড সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। আজকের আর্টিকেলটি চিকিৎসকের আলোকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে আপনাদের যদি পড়ে ভালো লাগে তাহলে আপনজনদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ হাফেজ।
মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url