ডায়াবেটিস রোগী কি কিসমিস খেতে পারবে

আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার উপকারিতা জানতে ক্লিক করুনডায়াবেটিকস রোগী কিসমিস খেতে পারবে এই প্রশ্নে নিয়েও অনেকে চিন্তায় পড়ে যায় কারণ অনেকে বলে খাওয়া যাবে আবার অনেকে বলে খাওয়া যাবে না। তাই আজকে আমি আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলটি পাবলিস্ট করেছি আশা করছি সবারি ভালো লাগবে ডায়াবেটিকস রোগী কি কিসমিস খেতে পারবে এই প্রশ্নের উত্তর পেতে এই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়া শুরু করুন।
ডায়াবেটিস রোগী কি কিসমিস খেতে পারবে

সূচীপত্রঃ ডায়াবেটিস রোগী কি কিসমিস খেতে পারবে

আবার এর সাথে আরো অজানা তথ্য আপনি জানতে পারবেন কারণ এই আর্টিকেলটি কয়েকটি বিষয়ের উপর সাজানো হয়েছে। আপনি যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে এই পুরো বিষয়গুলো আপনাকে জানতেই হবে। তাহলে চলুন সময় নষ্ট না করে পাঁচ মিনিট সময় দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি করে নেওয়া যাক।

ডায়াবেটিস রোগী কি কিসমিস খেতে পারবে

ডায়াবেটিস রোগী কি কিসমিস খেতে পারবে আমাদের যাদের ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তারা কিসমিস ও অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় ফল খেতে ভয় পায়। সেজন্য অনেকে সব ধরনের ফল থেকে দূরে থাকে কিন্তু এটা কি আপনার শরীরের জন্য ভালো হবে কোনদিন কি ভেবে দেখেছেন আমাদের যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা সব ধরনের ফল খেতে পারেন কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না।
মিষ্টি জাতীয় ফলের মধ্যে আপনি আশ জাতীয় মিষ্টি খাবার খেতে পারেন এতে আপনার কোন ধরনের সমস্যা হবে না আপনি চাইলে অল্প পরিমাণে কিসমিসও খেতে পারেন এবং আপনি বিভিন্ন ধরনের ফল খেয়ে দেখতে পারেন যে আপনার সুগার বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা। যদি মনে হয় যে ফল খেয়ে সুগার বেড়ে যায় তাহলে সেই ফলটি আপনি অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।
কারণ ফলের ভিতরে অনেক ধরনের উপাদান দেখা যায় যা আপনি শাকসবজিতে পাবেন না কারণ শাকসবজি যখন অধিক তাপে রান্না করা হয় তখন অনেক উপাদান কেটে যায় বা কমে যায়। তাই আপনাকে সুস্থ থাকতে হলে কিসমিস কিংবা অন্যান্য ফলের দিকে নজর দিতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিসমিস তেমন উপকারে আসে না।

আপনি চাইলে কিসমিস বাদ দিয়ে আঁশ জাতীয় ফল খেতে পারেন এতে আপনার সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

ডায়াবেটিস রোগী কি আপেল খেতে পারবে

যাদের ডায়াবেটিকস রোগ রয়েছে তারা কি আপেল খেতে পারবে এই প্রশ্নটা অনেকেই করে থাকে এর উত্তর হল হ্যাঁ খেতে পারে কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে খেতে হবে। আপেল খাওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত পরিমাণে আপেল না খেয়ে ফেলেন ডায়াবেটিস রোগী সাধারণত আপেল অর্ধেক খেতে পারেন কিংবা অতিরিক্ত খেতে চাইলে গোটা একটা খেতে পারেন।
এতে আপনার শরীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস রোগী আপেল খেতে পারবে কারন আপেল একটি আশ জাতীয় খাবার যা সুগার ধীরে ধীরে বাড়তে সাহায্য করে। সেজন্য আপেল খেলে কোন ধরনের ক্ষতি হবে না। যেসব ফল খেলে আপনার সুগার তাড়াতাড়ি বেড়ে যায় সে সকল ফল থেকে দূরে থাকবেন।
যেমন আপেলের জুস কিংবা আপেলের রস খাওয়া যাবে না এতে করে আপনার সুগার তাড়াতাড়ি বেড়ে যাবে তাই আপেল আপনি চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার পুষ্টি এবং সুগার ঠিক থাকবে কারণ আপেল চিবিয়ে খেলে সুগার ধীরে ধীরে বাড়তে সাহায্য করে যা আমাদের শরীরের কোন ধরনের ক্ষতি করতে পারে না।

ডায়াবেটিস রোগী কি খেজুর খেতে পারবে

আমরা অনেক সময় প্রশ্ন করি ডায়াবেটিস রোগী কি খেজুর খেতে পারবে এর উত্তর হল হ্যাঁ পারবে কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে খেতে হবে। যা আমি আজকে আপনাদের জানাবো তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। খেজুর একটি মিষ্টি জাতীয় ফল যা আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী তাই আমরা অনেকেই নিয়মিত খেজুর খেয়ে থাকি।
খেজুর একটি আশ জাতীয় ফল যা অত্যন্ত নরম ও পুষ্টিগুনে ভরা খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার,খনিজ এবং ভিটামিন। গবেষণায় দেখা গেছে খেজুর খেলে ব্লাড সুগার বাড়ে না কিন্তু ডায়াবেটিস রোগে যদি নিয়মিত খেজুর খেতে চান তাহলে এক থেকে দুইটা খেজুর খেতে পারেন।

ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়েছিল সেটি হল ১০ জন ডাইবেটিস রোগীকে ৩০ দিন ধরে নিয়মিত 100 গ্রাম খেজুর খাওয়ানো হয় কিন্তু একটি মজার বিষয় হলো ৩০ দিন নিয়মিত 100 গ্রাম খেজুর খেয়েও তাদের ব্লাড গ্লুকোজ একটুও বাড়েনি এবং তাদের কোলেস্টেরল ও নিয়ন্ত্রণে ছিল।
এই বিষয়টি তুলে ধরলে দেখা যায় ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর খাওয়া যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু এই বিষয়টি সব ডায়াবেটিকস রোগীর জন্য কার্যকরী নাও হতে পারে। তাই আপনি যদি নিয়মিত খেজুর খেতে চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেজুর খেতে পারেন এতে করে আপনার কোন ধরনের কনফিউশন থাকবে না।

ডায়াবেটিস রোগী কি নারকেল খেতে পারবে

ডায়াবেটিস রোগী কি নারকেল খেতে পারবে এই প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খেয়ে থাকে তাই আজকে আমি আপনাদের জানাবো যে ডায়াবেটিস রোগীরা নারকেল খেতে পারবে কিনা এর উত্তর হল হ্যাঁ। কারণ নারকেলে আছে মিঠা পানি ও প্রোটিন যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। তাই আপনি চাইলে সুগার কমাতে নারকেল খেতে পারেন।

কিন্তু আপনি যদি শক্ত নারকেল না খেয়ে নরম নারকেল অথবা ডাবের নারকেল খেতে পারেন তাহলে আপনার জন্য আরও বেশি উপকারী হবে। কারণ ডাবের ভিতরে যে নরম নারকেল থাকে তাতে শর্করার মাত্রা অনেক কম দেখা যায়। তাই ডাক্তারেরা পরামর্শ দিয়ে থাকে যে ডাবের নারকেল সুগার কমাতে খেতে পারেন এতে আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং ডায়াবেটিকস ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

আমাদের যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা তাদের খাবার তালিকা নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে যায় কারণ ঠিকঠাক মতো বুঝতে পারেনা যে কোন কোন খাবার সে খাবে। তাই আজকে আমি আপনাদের জানাবো যে ডায়াবেটিক হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না এবং কি কি ফল খাওয়া যাবে না তাহলে চলুন জেনে নেই। প্রথমে আসি ডায়াবেটিকস হলে যে যে সবজি খাওয়া যাবেনাঃ
  • অনেকে বলেন যে একেবারেই আলু খাওয়া বাদ দিতে হবে এটা ভুল আপনি আলু খাবেন কিন্তু মাত্রায় একটু কম খাবেন।
  • রুট খাবার এর মানে হল মাটির নিচে যে সব সবজি থাকে যেমন মুলা, গাজর, বিট, আলু এসব মাটির নিচের সবজিতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকায় রক্তের শর্করা বৃদ্ধি করে তাড়াতাড়ি তাই এই সব সবজি থেকে দূরে থাকবেন যদি খেতে মন চায় তাহলে পরিমাণে একটু কম খাবেন।
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না প্রক্রিয়াজাত বলতে বাহিরের খাবার যেমন টিনের কৌটার ভেতরে আসে সেগুলো থেকে দূরে থাকবেন কারণ এইসব খাবার অনেকদিন টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
  • কুমড়ো, টমেটো আপনার যদি কিডনির সমস্যা না থেকে থাকে তাহলে পাকা টমেটো খেতে পারেন।
  • পালং শাক, পালন কচু, ওল, কাঁচা মটর শুটি, জুস, প্যাকেট জাত সবজি, মিষ্টি আলু, বিট, শালগম এই সমস্ত সবজি থেকে একটু দূরে থাকবেন এবং খাওয়ার সময় পরিমাণ মতো খাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। কারণ রান্না করা সবজি আপনার যদি কম পরিমাণে সেবন করেন তাহলে ক্ষতির আশঙ্কা খুব কম থাকে তারপরেও আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
এখন বলব ডায়াবেটিকস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবেনা
আমরা যেসব পুষ্টিগুণ উপাদান ফল থেকে পেয়ে থাকি সে সব পুষ্টিগুণ অন্যান্য সবজি বা খাবারে দেখা যায় না কিন্তু অনেক ডায়াবেটিস রোগী ফল খাওয়া একেবারে বাদ দিয়ে দেন। কারণ ডায়াবেটিকস রোগীর জন্য ফল অনেক ক্ষতিকারক অনেকে মনে করে থাকেন কিন্তু এই ধারণাটা সম্পূর্ণ সত্য নয় আপনি সব ধরনের ফল খেতে পারেন।
কিন্তু পরিমানে একটু কম খেতে হবে এখন বলব যেসব ফল খাওয়া যাবে না যেমনঃ কলা, আঙ্গুর, কাঁঠাল, জাবেদা, আম, শুকনো ফল, ফলের রস, ফলের জুস এই সমস্ত ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে যার ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়।

তাই আমরা এই সমস্ত ফল থেকে দূরে থাকবো কারণ একটু ফল খেতে গিয়ে আপনার বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে তাই অতিরিক্ত ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ডায়াবেটিস রোগী কি কিসমিস খেতে পারবেঃ শেষ কথা

আপনি কি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে পড়তে পড়তে এখানে এসেছেন যদি এসে থাকেন তাহলে ধন্যবাদ আর যদি পুরো পোস্টটি না পড়ে থাকেন তাহলে ডায়াবেটিস রোগী কি কিসমিস খেতে পারবে এই বিষয়ে পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পারেননি। আপনার যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে পুরো

পোষ্টটি আপনার জন্য অনেক উপকারে আসবে। আমরা নিয়মিত এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ক্যাটাগরির আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি আপনি যদি আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি পেতে চান তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন ভালো লাগলে ফলো করুন শেয়ার করুন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url