ফ্রিল্যান্সিং মানে কি - ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি

আপনাদের জন্য আরো একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। এই পুরো আর্টিকেলের ভিতরে ফ্রিল্যান্সিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলাপ আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে চলুন আর সময় নষ্ট না করে দেখা যাক যে, এই পুরো পোস্টে কি কি থাকতে চলেছে। এই পোস্টে কয়েকটি ক্যাটাগরি নিয়ে আলাপ আলোচনা করা হয়েছে।

সূচিপত্র ফ্রিল্যান্সিং মানে কি

ফ্রিল্যান্সিং মানে কি
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি
ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ
শেষ কথা
যেমন ফ্রিল্যান্সিং মানে কি, ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি, ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি, ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ এই সমস্ত বিষয় নিয়ে পুরো আর্টিকেল জুড়ে আলাপ আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে আর সময় নষ্ট না করে এই পুরো বিষয়ে এক্সপার্ট হতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

ফ্রিল্যান্সিং মানে কি

ফ্রিল্যান্সিং শব্দের অর্থ হলো মুক্ত পেশা। অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির আদেশ অনুযায়ী কাজ না করাকেই বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং। মূলত যারা এসব কাজ করে থাকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। চলুন আরো ভালো করে বুঝতে একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরুন একজন সিএনজি চালক ফ্রিল্যান্সার,  কারণ সে অন্যের সিএনজি নিয়ে চালায়।

কিন্তু এখানে তার একটা ফিডম আছে যেমন সে যাত্রী তুলতেও পারে আবার নাও তুলতে পারে। তার মানে ফ্রিল্যান্সিং শব্দের অর্থ হলো অন্যের অধীনে কাজ না করে নিজের অধীনে কাজ করা। এবং কাজ করতে কোন অফিস এবং টাইম ফিট করতে হয় না। যেখানে সেখানে কাজ করা যেতে পারে বাসায় রাস্তায় এভরিথিং। আশা করি ফ্রিল্যান্সিং মানে কি আপনি বুঝতে পেরেছেন। 

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি

সহজ ভাষায় বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।ফ্রিল্যান্সিং মানে হল মুক্ত পেশা যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। এখন একটা জিনিস খেয়াল করুন যে, দিন দিন ইন্টারনেট বাড়ছে নাকি কমছে, আপনি বলবেন যে বাড়ছে এরপর আপনারা দেখছেন যে, দিন দিন সব কিছু ইন্টারনেটের মাধ্যমে বা অনলাইনের মাধ্যমে করা হচ্ছে ।

এখন অনেক বড় বড় কোম্পানিতে অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা হয়ে থাকে যাকে আমরা ই-কমার্স বলে চিনি। আর এই কমার্স ব্যবসা দেখাশোনা করতে ডিজিটাল মার্কেটার প্রয়োজন হয়। তাহলে আপনি এখন বুঝতে পারছেন যে আপনি যদি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হন, তাহলে আপনাকে আর পিছনে তাকাতে হবে না। আশা করি ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কেমন বুঝতে পেরেছেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি 

এক কথায় বলতে গেলে অনলাইনের মাধ্যমে যেসব উপায়ে ইনকাম করা যায় তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। এখন আপনাদের মনে একটা প্রশ্ন যাকতে পাজাক্তে, ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যাবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ইনকাম করা যায় আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর যে কোন একটা কাজ যদি ভালো ভাবে শিখতে পারেন তাহলে আপনি ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এরপর আপনি ধীরে ধীরে অন্য কাজ শিখতে শুরু করবেন এভাবে। ফ্রিল্যান্সিং এর যত কাজ আছে সব কাজের উপর ফোকাস দিতে হবে। তাহলে আপনি একদিন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দাবি করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল

চলুন আজকের পোস্টটি পড়ে জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম। আমরা যারা ইসলাম মেনে চলি তাদের হালাল-হারামের বিষয় দেখে কাজ করতে হয়। ফ্রিল্যান্সিং এর সব ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। এখন আপনাকে বেছে নিতে হবে যে, কোনটা নিবেন হালাল নাকি হারাম। আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই হালালের দিকে যাবেন। একটা উদাহরণ দিয়ে দেখানো যাক।

হারাম পণ্য বিক্রি করে যেমন মদ নেশা জাতীয় দ্রব্য এ সমস্ত বিষয়ের বিজ্ঞাপন দেওয়া এছাড়াও আরও অনেক ধরনের হারাম কাজ রয়েছে। এসব বাদ দিয়ে কিভাবে হালাল কাজ করা যায় সেদিকে ফোকাস দিব। ফ্রিল্যান্সিংয়ে হালালভাবে কাজ করার জন্য অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে। সেখানে নিয়ম মেনে কাজ করতে পারেন। এবং ভালো ভালো প্রোডাক্ট নিয়ে হালাল ভাবে কাজ করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

আমরা যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখতে চাই তখন একটা প্রশ্ন মাথায় আসে যে ফ্রিল্যান্সিং শিখব কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজ শিখব এবং কোন কাজের চাহিদা বেশি। তাহলে চলুন জেনে নেই, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
  • ওয়েব ডিজাইন ও ডেভোলপমেন্ট
অন্যতম কাজের কথা বললে চলে আসে ওয়েব ডিজাইন কারণ ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা অনেক বেশি। এবং ডিমান্ডও অনেক বেশি ওয়েব ডিজাইন ও ডেভোলপমেন্ট কাজ শিখে মাসেল লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কারণ এই দুটি কাজের চাহিদা বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে অনেক বারবে আশা করা যায়।
  • কন্টেন্ট রাইটিং
কন্টেন রাইটিং সাধারণ প্রসাদ টি উপায়ে করে থাকে যেমন টেক্সট রাইটিং, ইমেজ কনটেন্ট, ভিডিও রাইটিং ও অডিও কন্টেন্ট রাইটিং। কনটেন্ট রাইটিং করতে আপনাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে এবং আপনাকে প্রচুর ধৈর্যশীল হতে হবে তাহলে কন্টেন্ট রাইটিং এ সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অন্যতম পেশা। কারণ আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন। আমরা এখন যে সময়ে বসবাস করছি এই সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং জানা অনেক প্রয়োজন। কারণ আপনি যেখানেই কাজ করেন না কেন সেখানেই ডিজিটাল মার্কেটিং এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে কাজ করতে পারবেন।

আপনি যে সেক্টরে যান না কেন, সেখানে মার্কেটিং করতেই হবে। কোন একটা কোম্পানি বড় করতে মার্কেটিংয়ের প্রয়োজন হয়। সেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং জানা থাকলে কোম্পানি অতি দ্রুত সবার কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে পারবেন। সেজন্যে সব ক্ষেত্রেই আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা জরুরী। এছাড়াও আপনি আরো অনেক রকমের ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে কে না চায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কি কি রয়েছে অর্থ রিসিভ করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে একজন ফ্রিল্যান্সার খুব সহ আপনি যে মার্কেটপ্লেস এ কাজ করবেন না কেন টাকা রিসিভ করতে পারবেন হোক সেটা মার্কেটপ্লেস কিংবা লোকাল মার্কেটে কাজ করেন। রিসিভ করার জন্য ব্যাংক কিংবা বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে রয়েছে যেমন

  • ব্যাংক

বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ রিসিভ করার জন্য রয়েছে ইসলামী ব্যাংক ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক সহ আরো বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অর্থ রিসিভ করা যায়।

  • পেপাল

পেপাল একটি অনলাইন অর্থ লেনদেন প্ল্যাটফর্ম। পেপাল সারা বিশ্বব্যাপী ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে এখনো পেপালের অফিসিয়াল সেবা নেই। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ লেনদেন আপনি পেপাল দিয়ে করতে পারবেন। কারণ ক্লায়েন্ট সব সময় পেপালে ডলার দিতে আগ্রহ পোষণ করে।

  • পাইনিয়ার 

পেপালের মত পাইনিয়ার এত জনপ্রিয় নয়। কিন্তু পেপালের পরেই পাইনিয়ার এর অবস্থান। সারা বিশ্বে পাইনিয়ার সেবা প্রধান করে থাকেন। এবং বাংলাদেশেও অফিসিয়াল ভাবে সেবা প্রধান করে থাকে। অনেক ফ্রিল্যান্সার পাইনিয়ার দিয়ে অর্থ রিসিভ করে থাকেন। এছাড়াও আরো অনেক উপায়ে বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ রিসিভ করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ

ফ্রিল্যান্সিং কাজের ভিতর ডাটা এন্ট্রি কাজ অনেক সহজ। কিন্তু এর আবার সমস্যা রয়েছে ডাটা এন্টি কাজের চাহিদা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। তাই অতি সহজ কাজ না শিখে একটি কঠিন কাজের দিকে ফোকাস করুন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সফল হবে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। এখন যদি আপনি বলেন যে ভাই, আমি তো নতুন তাহলে আমি কোন কাজ দিয়ে শুরু করব তাহলে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং শুরুতে শিখতে পারেন। এবং ধীরে ধীরে অন্যান্য কাজ শিখতে শুরু করতে হবে।

শেষ কথা

আপনি যদি আমাদের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যে ফ্রিল্যান্সিং এর সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারণা হয়েছে। আমাদের এই পুরো আর্টিকেলটি পড়তে কিংবা বুঝতে কোন ধরনের সমস্যা ফেস করেন তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এবং আমার এই পোষ্টের ভিতর যদি আপনার চোখে কোন ভুল ধরা পড়ে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন আমি ভুলটা শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করব। এবং আমাদের আর্টিকেল টি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url