বাংলাদেশে কত সালে ফ্রিল্যান্সিং শুরু হয়

 আসসালামু আলাইকুম আপনাদের জন্য আরও একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে আলাপ-আলোচনা করব। আমাদের এই আর্টিকেলে বিভিন্ন ক্যাটাগরি নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। যেমন বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং আয়, ফ্রিল্যান্সিং কত সাল থেকে শুরু হয়েছে, বাংলাদেশে কত লক্ষ অ্যাক্টিভ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে জিনি সেবা প্রদান করে তাকে কি বলে, ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি,

সূচিপত্র বাংলাদেশে কত সালে ফ্রিল্যান্সিং শুরু হয়

বাংলাদেশে কত সালে ফ্রিল্যান্সিং শুরু হয়
ফ্রিল্যান্সিং কত সাল থেকে শুরু হয়েছে
বাংলাদেশে কত লক্ষ অ্যাক্টিভ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে তিনি সেবা প্রদান করেন তাকে কি বলা হয়
ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি
সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস কোনটি
বিশ্বে কতজন ফ্রিল্যান্সার আছে
ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ কি
আমার শেষ কথা
সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস কোনটি, বিশ্বে কতজন ফ্রিল্যান্সার আছে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ করা যায়, ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ কি, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং আয় এই সমস্ত বিষয় নিয়ে পুরো পোস্টটি সাজানো হয়েছে। তাই আর সময় নষ্ট না করে পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। 

বাংলাদেশে কত সালে ফ্রিল্যান্সিং শুরু হয়

সফটওয়্যার তৈরির প্রতিষ্ঠান টেকনো বিডি'র ব্যবস্থাপনা আর ইমরাউল বলেছেন, যে ২০০৫ থেকে ২০০৬ মূলত ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ বিভিন্ন দেশে আসা শুরু করেছে এবং তরুণরা এই কাজে অগ্রগামী দিনে দিনে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ফ্রিল্যান্সিং অ্যাওয়ার্ড তরুণদের ফ্রিল্যান্সার হওয়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে।

সাধারণভাবে বললে বলা যায় যে, একজন ফ্রিল্যান্সারের যত বেশি দক্ষতা হয়ে থাকে তাদের ডিমান্ড সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, একজন ফ্রিল্যান্সার যদি দুই থেকে চার বছরের দক্ষতা অর্জন করতে পারে তাহলে,তার ইনকাম গিয়ে দাঁড়াবে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ডলার। এরূপ যদি পাঁচ থেকে দশ বছরের দক্ষতা অর্জন করতে পারে তাহলে ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একজন পেশাদার ফ্রিল্যান্সার মাসের প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা আয় করে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং কত সাল থেকে শুরু হয়েছে


মাধ্যম অনুযায়ী ১৮ শতকের দুটি শব্দ বিকশিত হয়েছিল সেটি হল ফ্রিল্যান্স নামে।পরবর্তী তে ১৯২০ সালে হাইপেন করা হয়,এবং ১৯৭০ সালের ফ্রিল্যান্স নামে পরিচিত পেয়েছে।এখনকার সময়ে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে সামনে আরো ভালো ফলাফল আশা করা যেতে পারে।এবং এই ফ্রিল্যান্স আস্তে আস্তে ব্যবসাতে রূপ নিয়েছে।

বাংলাদেশে কত লক্ষ অ্যাক্টিভ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ জানালেন যে,দেশে প্রায় ৭ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।তাদের বার্ষিক আয় হিসাব করতে গেলে দেখা যায় প্রায় ১০০ কোটি ডলার বা বাংলা টাকায় দেখা গেলে প্রায় দশ হাজার ছয়শ কোটি টাকা।ডলার ১০৬ টাকা ধরে, এমনকি দিনে দিনে ফ্রিল্যান্সার বেড়েই চলেছে।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে তিনি সেবা প্রদান করেন তাকে কি বলা হয়

যারা আউটসোর্সিং এর কাজ করে থাকে তাদের কে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। ইরান স্যার মানে বোঝানো হয়েছে মুক্ত বা স্বাধীন পেশা আউটসোর্সিং সাইটে যিনি কাজ করে থাকেন তাকে বলা হয় কনট্রাক্টর। তিনি সাধারণত কনট্রাক্টে কাজ করে থাকেন।

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি

আউটসোর্সিং মানে হল নিজের কাজ কেউ অন্য একটা মাধ্যমে অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়াকে বলা হয় আউটসোর্সিং। আর ফ্রিল্যান্সিং হলএকটি মুক্ত পেশা যার কাজের কোন টাইম সেট করা থাকে না।ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি অন্যদের কাজ করে দিবেন আর সেই কাজের জন্য আপনি আপনার কাজের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণের অর্থ পেয়ে যাবেন।

সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এখন অনেক মার্কেটপ্লেস তৈরি হয়েছে।তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হলো UPWORK, এই মার্কেটপ্লেসটি প্রায় ১২ মিলিয়নেরও বেশি নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। অনলাইনের দুনিয়ায় আপ ওয়ার্ক একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হিসেবে পরিচিত রয়েছে ।এছাড়াও আরো অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে কাজ করার জন্য।

বিশ্বে কতজন ফ্রিল্যান্সার আছে

সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সারের কথা বললে দেখা যায় যে,টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নির্বাচন করলে 64 শতাংশ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে বাংলাদেশে, এবং এটি ধীরে ধীরে বাড়তেই চলেছে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ করা যায়

মোবাইল দিয়ে সাধারণত বেশ কিছু উপায় ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়। তার কিছু তুলে ধরা হলো
  • কনটেন্ট রাইটিং
  • ইউটিউব
  • ব্লগিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কাজ কি

ফ্রিল্যান্সিং মূলত কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে স্থায়ীভাবে কাজ না করে তার স্বাধীন মত কাজ করা। যেমন বায়ার আপনাকে একটা কাজ দিয়েছে সেই কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমটাই হল ফ্রিল্যান্সিং। এবং সেই কাজের জন্য বায়ার আপনাকে অর্থ প্রদান করে থাকেন।

আমার শেষ কথা

আপনাদের পোস্টটা পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং কোন ক্যাটাগরির পোস্ট পড়তে ভালো লাগে কমেন্ট করে জানাবেন। আমাদের পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url