ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রতিদিন কত টুকু লেবু খাওয়া উচিতআমরা অনেকেই নিয়মিত ব্লাক কপি খেয়ে থাকি আবার অনেকে ব্লাক কপি চিনি দিয়ে খেয়ে থাকি। ব্লাক কপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত চিনি দিয়ে ব্লাড কপি পান করেন তাহলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।
ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সূচিপত্র ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সেজন্য আপনাকে চিনি ছাড়া ব্লাক কপি পান করতে হবে। এখন বলব ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
উপকারিতা
  1. পুষ্টিকর ব্ল্যাক কফিতে রয়েছে ভিটামিন বি টু, ভিটামিন বি থ্রি, পটাশিয়াম, সোডিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যালোরি অনেক কম দেখায় ব্লক কপিতে। ক্যালরি কম থাকায় শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
  2.  স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ব্ল্যাক কফি ব্যাপক ভূমিকা পালন করে নিয়মিত চিনি ছাড়া ব্লাক কপি খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে স্মতি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  3. বায়ো অয়াক্টিভ উপাদান ব্ল্যাক কফিতে রয়েছে ক্যাফেইন ক্লোরোজেনিক এসিড তাই ট্রাইগোনেলিন এর এর মত বেশ কিছু বায়ো অ্যাক্টিভ উপাদান থাকে এই সমস্ত বায়ো একটিভ ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  4. মেজাজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে ব্লাক কপি বিশেষত্বদের মতে নিয়মিত এক কাপ ব্লাক কপি পান করলে মানসিকভাবে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে তাই আপনার মুড ভালো রাখতে নিয়মিত ব্লাক কপি খেতে পারেন।
  5. রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে প্রতিদিন এক থেকে দুই কাপ পান করলে ডাইবেটিক্স হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ব্ল্যাক কফি শরীরের ইনসুলিন উপাদান করতে সাহায্য করে এর জন্য ডায়াবেটিক হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে।
  6.  ব্লাক কপি অ্যালজাইমার রোগের হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে অ্যালজাইমার হল মস্তিষ্কের রোগ এই রোগ হলো স্মৃতিশক্তি বা চিন্তা শক্তি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায় যা আপনি যদি নিয়মিত ব্লাক কপি পান করেন তাহলে অ্যালজাইমার রোগ ধীরে ধীরে রক্ষা পেতে শুরু করবে। গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত দুই তিন কাপ কফি পান করলে ডিমেনশিয়া এবংঅ্যালজাইমার ঝুঁকি প্রায় ৬৫ শতাংশ কমে যায়। 
  7. প্রতিদিন ব্ল্যাক কফি খেলে প্রসাবের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে এর জন্য শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে যায়। এর জন্য শরীরকে সুস্থ ও পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ব্লাক কফি
  8.  দিনে এক থেকে দুই কাপ ব্লাক কপি খেলে ক্ষতিকারক লিভার অ্যালজাইমার উৎপাদন হাঁস করতে সাহায্য করে যা ফ্যাটি লিভার, লিভার ক্যান্সার এবং সিরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  9.  ব্লাক কপি আয়ুর বৃদ্ধি করে গবেষণায় দেখা যায় যে ব্লাক কপি খেলে দীর্ঘায়ু করতে সাহায্য করে। রোজ পর্যাপ্ত ব্লাক কপি খেলে অনেক রোগ দূর করে যেমন হাট, ক্যান্সার ইত্যাদি রোধ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে যার ফলে মৃত্যুর দুটি অনেকটা কমে যায় কমে আসে।
  10.  ব্ল্যাক কফি হার্ড সুস্থ রাখে গবেষণায় দেখা গেছে যে দিনে তিন থেকে চার কাপ ব্লাক কফি খেলে হৃদরোগে ঝুঁকি ২০% কমায় এবং স্টকের ঝুঁকি কমায় ২৫ শতাংশ।
অপকারিতা 
  1. অতিরিক্ত ব্লাড কপি পান করলে শরীরের হরমোনের চাপ বাড়ে এতে করে মানসিক চাপ বাড়ে তাই ব্লাক কফি পরিমিত পান করা উচিত।
  2. আপনি যদি ঘুমের আগে অতিরিক্ত ব্লাক কপি পান করেন তাহলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে সেই জন্য পুষ্টিবিদরা রাতে ঘুমানোর আগে ব্লাক কপি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
  3. অতিরিক্ত ব্ল্যাক কফি খেলে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম লৌহ ও জিংক শোষণ করতে বাধা পায়।
  4. অতিরিক্ত ব্লাক কপি পান করলে শরীরের হাড়ের ক্ষয় বাড়াতে সাহায্য করে।
  5. অতিরিক্ত ব্লাক কফি খেলে শরীরের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি দেখা যায়।
  6. অধিক পরিমাণে ব্ল্যাক কফি পান করলে শরীরের ক্লান্তির দেখা দিতে পারে অতি দ্রুত।
  7. অধিক পরিমাণে ব্ল্যাক কফি খেলে শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যাবে এছাড়াও অতিরিক্ত ব্লাক কফি পান করলে আরো নানান রকমের সমস্যা আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে। তাই ব্ল্যাক কফি খাওয়ার সময় পরিমিত ব্ল্যাক কফি পান করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মারিয়া অনলাইন ব্লকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url